নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে শিশুকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দুজনকে আলাদা ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. জীবন (২৫) ও ইমন হাসান (২৬)। ঘটনার সময় তারা পাঁচলাইশ থানার বহদ্দারহাট এলাকায় লোহা কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পিপি আবু নাসের চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয় আদালত। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের আবারও একই সাজা দেয় আদালত।’
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, খুনের শিকার শিশু সালমা আক্তার (৯) নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মো. সোলায়মানের মেয়ে। ২০১৭ সালের ১৩ জুন দুপুরের দিকে সালমা বাসা থেকে বের হয়। বেলা ২টার পরও বাসায় ফিরে না যাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রিকশায় করে আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয় তার সন্ধানে। কিন্তু খোঁজ না মেলায় ওই দিন সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাবা সোলায়মান।
১৪ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে সালমার মামা মহিউদ্দিন নঈমী মার্কেটের সামনে গেলে তার নাকে গন্ধ লাগে। বিষয়টি তিনি ভগ্নিপতি সোলায়মানকে জানান। এরপর পরিবারের সদস্যরা ওই ভবনের তৃতীয় তলায় সিঁড়িঘরের পাশে ময়লা স্তূপের ভেতর থেকে সালমার নিথর দেহ উদ্ধার করেন।
পরে এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন সোলায়মান। পুলিশ ওই বছরের ২২ জুন জীবন এবং পরদিন ইমনকে গ্রেপ্তার করে। নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়।
২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে শিশুটিকে ফুসলিয়ে মার্কেটের ভেতর নির্জনস্থানে নিয়ে দু’জন মিলে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মামলা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।’
চট্টগ্রামে শিশুকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় দুজনকে আলাদা ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. জীবন (২৫) ও ইমন হাসান (২৬)। ঘটনার সময় তারা পাঁচলাইশ থানার বহদ্দারহাট এলাকায় লোহা কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পিপি আবু নাসের চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয় আদালত। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের আবারও একই সাজা দেয় আদালত।’
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, খুনের শিকার শিশু সালমা আক্তার (৯) নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মো. সোলায়মানের মেয়ে। ২০১৭ সালের ১৩ জুন দুপুরের দিকে সালমা বাসা থেকে বের হয়। বেলা ২টার পরও বাসায় ফিরে না যাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রিকশায় করে আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয় তার সন্ধানে। কিন্তু খোঁজ না মেলায় ওই দিন সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাবা সোলায়মান।
১৪ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে সালমার মামা মহিউদ্দিন নঈমী মার্কেটের সামনে গেলে তার নাকে গন্ধ লাগে। বিষয়টি তিনি ভগ্নিপতি সোলায়মানকে জানান। এরপর পরিবারের সদস্যরা ওই ভবনের তৃতীয় তলায় সিঁড়িঘরের পাশে ময়লা স্তূপের ভেতর থেকে সালমার নিথর দেহ উদ্ধার করেন।
পরে এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন সোলায়মান। পুলিশ ওই বছরের ২২ জুন জীবন এবং পরদিন ইমনকে গ্রেপ্তার করে। নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়।
২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে শিশুটিকে ফুসলিয়ে মার্কেটের ভেতর নির্জনস্থানে নিয়ে দু’জন মিলে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ২৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মামলা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।’
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
২ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
২ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
২ ঘণ্টা আগে