Ajker Patrika

কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা মা-ছেলেসহ নিহত ৩ জনের গলায় ওড়না, মাথায় আঘাত: পুলিশ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮: ১২
কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা মা-ছেলেসহ নিহত ৩ জনের গলায় ওড়না, মাথায় আঘাত: পুলিশ

কুমিল্লার হোমনায় এক কক্ষ থেকে উদ্ধার করা তিনটি লাশের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। শ্বাসরোধের পর তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের বড় ঘাগুটিয়ায় গ্রামের এক ঘরের বিছানা থেকে মা-ছেলেসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। 

নিহতরা হলেন—ওই গ্রামের শাহপরানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫) ও একমাত্র ছেলে শাহেদ (৯) এবং শাহ পরানের মামাতো ভাই মো. রেজাউল করিমের মেয়ে তিশামণি। তিশামণি উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমণি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। 

নিহত মাহমুদা বেগমের স্বামী শাহপরান বলেন, তিনি ঢাকায় একটি জুতার কারখানায় চাকরি করেন। তাঁর স্ত্রী মাহমুদা একমাত্র ছেলে শাহেদকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে রাতে তাঁর মামাতো ভাই রেজাউল করিমের মেয়ে তিশামণি মাহমুদা বেগমের সঙ্গে থাকতেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। আজ সকালে আমার স্ত্রী, ছেলেসহ, তিশামণি খুন হয়েছে খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এর উপযুক্ত বিচার চাই।’ 

তিশামণির বাবা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘তিশামণি মাঝেমধ্যে রাতে আমার ফুপাতো ভাই শাহপরানের ঘরে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকত। গত রাতেও শাহপরানের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘরে ছিল। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আমার ছোট মেয়ে মিম তিশামণিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে তিনজনের রক্তাক্ত লাশ দেখে চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে আমরা দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। আমার কোনো শত্রুতা নেই। এই মুহূর্তে আমি কাউকে সন্দেহও করতে পারছি না।’ 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, তিনজনের গলায়ই ওড়না প্যাঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে ঘরের কোনো মালামাল তছনছ দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কোনো আলামত দেখা যায়নি। 

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনে এবং খুনিদের ধরতে চেষ্টা চলছে।

এদিকে খুনের ঘটনায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. আসফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা, ওসি মো. জয়নাল আবেদীন, র‍্যাব, সিআইডি, পিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত