আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের জুনিয়র আইটি অফিসার হিসেবে ২০১২ সালের নভেম্বরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান শহিদুর রহমান। এর পর থেকে প্রায় ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। একই পদে শহিদুরের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন আরও ২৭ জন। কিন্তু চাকরির দীর্ঘ সময় পার করলেও স্থায়ী করা হয়নি তাঁদের। এ ছাড়া প্রায় ২০ বছর ধরে চাকরি করা ৮৯ জন কর্মচারীকে স্থায়ী করা হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ১১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কেউ চাকরি করছেন ২০ বছর ধরে, আবার কারও চাকরির বয়স ১২ বছর। কিন্তু তাঁদের চাকরি স্থায়ী করেনি কর্তৃপক্ষ। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরির বয়স বাড়ে কেবল কিন্তু তাঁদের বেতন শুরুতে যা ছিল তা-ই আছে।
কোম্পানির চাকরি প্রবিধানমালা ২০২১ এবং ২০১৯ সালের বোর্ড অব ডিরেক্টরদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলপূর্বক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরও ১১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টি আটকে আছে বছরের পর বছর। অভিযোগ উঠেছে মোটা অঙ্কের নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে অনেকের চাকরি স্থায়ী হলেও ১১৬ জনের বিষয়টি আটকে আছে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি সূত্র জানায়, কোম্পানিতে কর্মরত অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক থেকে স্থায়ী হন। ইতিপূর্বে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী-কর্মকর্তাদের অনেকেরই চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে পদ্মা অয়েলে চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা বাবদ পাচ্ছেন ৩০ হাজার টাকা। আর কর্মচারীরা পান ১০-১২ হাজার টাকা। পদ্মা অয়েলের ২৭ জন কর্মকর্তা ও ৮৯ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না রহস্যজনক কারণে। এতে তাঁরা কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, চিকিৎসা ভাতা, ছুটিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেখানে কোম্পানির একজন স্থায়ী শ্রমিক, স্টাফ ও গাড়িচালক বেতন-ভাতাসহ মাসে ৫০-৭০ হাজার টাকা পান, সেখানে একজন অস্থায়ী শ্রমিক পান মাসে মাত্র ১০-১২ হাজার টাকা। একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা পাচ্ছেন মাসে ৩০ হাজার টাকা, অন্যদিকে একজন স্থায়ী কর্মকর্তা পান ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুক্তিভিত্তিতে পদায়িত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমান তালে চাকরি করলেও তাঁদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে শতাধিক পদ খালি রয়েছে। আগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী না করে এখন নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কথা বলতে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মীর মো. ফখরুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব কর্মকর্তার (অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত) জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ দুটি বোনাসসহ কিছু সুবিধা ঘোষণা করেছে। এতে তাঁরা কিছুটা উপকৃত হবেন। তবে আপাতত এঁদের চাকরি স্থায়ী করার চিন্তা সরকারের নেই।’
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের জুনিয়র আইটি অফিসার হিসেবে ২০১২ সালের নভেম্বরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান শহিদুর রহমান। এর পর থেকে প্রায় ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। একই পদে শহিদুরের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন আরও ২৭ জন। কিন্তু চাকরির দীর্ঘ সময় পার করলেও স্থায়ী করা হয়নি তাঁদের। এ ছাড়া প্রায় ২০ বছর ধরে চাকরি করা ৮৯ জন কর্মচারীকে স্থায়ী করা হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ১১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কেউ চাকরি করছেন ২০ বছর ধরে, আবার কারও চাকরির বয়স ১২ বছর। কিন্তু তাঁদের চাকরি স্থায়ী করেনি কর্তৃপক্ষ। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরির বয়স বাড়ে কেবল কিন্তু তাঁদের বেতন শুরুতে যা ছিল তা-ই আছে।
কোম্পানির চাকরি প্রবিধানমালা ২০২১ এবং ২০১৯ সালের বোর্ড অব ডিরেক্টরদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলপূর্বক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এরপরও ১১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টি আটকে আছে বছরের পর বছর। অভিযোগ উঠেছে মোটা অঙ্কের নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে অনেকের চাকরি স্থায়ী হলেও ১১৬ জনের বিষয়টি আটকে আছে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি সূত্র জানায়, কোম্পানিতে কর্মরত অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক থেকে স্থায়ী হন। ইতিপূর্বে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী-কর্মকর্তাদের অনেকেরই চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে পদ্মা অয়েলে চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মকর্তারা বেতন-ভাতা বাবদ পাচ্ছেন ৩০ হাজার টাকা। আর কর্মচারীরা পান ১০-১২ হাজার টাকা। পদ্মা অয়েলের ২৭ জন কর্মকর্তা ও ৮৯ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না রহস্যজনক কারণে। এতে তাঁরা কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, চিকিৎসা ভাতা, ছুটিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেখানে কোম্পানির একজন স্থায়ী শ্রমিক, স্টাফ ও গাড়িচালক বেতন-ভাতাসহ মাসে ৫০-৭০ হাজার টাকা পান, সেখানে একজন অস্থায়ী শ্রমিক পান মাসে মাত্র ১০-১২ হাজার টাকা। একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা পাচ্ছেন মাসে ৩০ হাজার টাকা, অন্যদিকে একজন স্থায়ী কর্মকর্তা পান ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুক্তিভিত্তিতে পদায়িত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমান তালে চাকরি করলেও তাঁদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে শতাধিক পদ খালি রয়েছে। আগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী না করে এখন নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কথা বলতে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মীর মো. ফখরুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব কর্মকর্তার (অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত) জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ দুটি বোনাসসহ কিছু সুবিধা ঘোষণা করেছে। এতে তাঁরা কিছুটা উপকৃত হবেন। তবে আপাতত এঁদের চাকরি স্থায়ী করার চিন্তা সরকারের নেই।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৩ ঘণ্টা আগে