কক্সবাজার প্রতিনিধি
দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রোববার পড়েছে বড়দিনের ছুটি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও শেষ। তাই কর্মব্যস্ত জীবনের অবসাদ দূর করতে দূরদূরান্ত থেকে কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন নানা বয়সের লাখো পর্যটক। সৈকতের নোনাজলে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন তাঁরা।
পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর বিজয় দিবস পড়েছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। ওই সময় বার্ষিক পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের ভর্তি, বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার কারণে পর্যটকের চাপ কম ছিল। এবার তিন দিনের ছুটি কাটাতে পর্যটন-নগরীতে ছুটে এসেছেন পর্যটকেরা। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। পর্যটকদের এই ঢল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
টুরিস্ট পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, এখন কক্সবাজারে দুই লাখ পর্যটক অবস্থান করছেন। এ মাসের বাকি দিনগুলোতে অন্তত ১০ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বেশির ভাগ পর্যটক সৈকতের নোনাজলে নেমেছেন। কেউ টায়ার টিউবে ভাসছেন, কেউ জলযান নিয়ে দূর সাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার ঘোড়া ও বিচ বাইকে চক্কর দিচ্ছেন সৈকতে।
নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষক আতিকুর রহমান ও শিক্ষিকা নুসরাত জাহান দম্পতি একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন। নুসরাত বলেন, পর্যটকের ভিড় বেশি হলেও ভালো লাগছে। ছেলেটি বেশ আনন্দ করছে।
ঢাকার বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা সরকারি চাকরিজীবী নুরুল হুদা পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন। তিনি সুগন্ধা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের ছবি তুলছিলেন ও ভিডিও করছিলেন। তিনি বলেন, হালকা শীতে ভ্রমণ খুবই আনন্দদায়ক। সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি কক্সবাজারের পাহাড়, ঝিরি ও ঝরনা দেখার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
পর্যটকদের সেবা দিতে বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সৈকতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। কারও কথা বলার ফুরসত নেই। শুঁটকি, আচার, শামুক-ঝিনুক ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের তৈরি নানা পণ্যের দোকানে বেচাকেনার ধুম পড়েছে।
সমুদ্রসৈকতে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বরত বিচকর্মী বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তিন পয়েন্টে এক লাখেরও বেশি পর্যটক সাগরে নেমেছেন।
কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে। এতে অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের থাকার সুবিধা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্টের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, এখন কক্সবাজার পর্যটকে ভরপুর। বেশির ভাগ হোটেল-গেস্ট হাউসের শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। সবাই পর্যটকদের ভালো সেবা দিতে তৎপর।
জেলা প্রশাসনের (পর্যটন সেল) মাসুম বিল্লাহ বলেন, পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত টহল বাড়ানো হয়েছে।
দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রোববার পড়েছে বড়দিনের ছুটি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও শেষ। তাই কর্মব্যস্ত জীবনের অবসাদ দূর করতে দূরদূরান্ত থেকে কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন নানা বয়সের লাখো পর্যটক। সৈকতের নোনাজলে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন তাঁরা।
পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর বিজয় দিবস পড়েছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। ওই সময় বার্ষিক পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের ভর্তি, বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার কারণে পর্যটকের চাপ কম ছিল। এবার তিন দিনের ছুটি কাটাতে পর্যটন-নগরীতে ছুটে এসেছেন পর্যটকেরা। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। পর্যটকদের এই ঢল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
টুরিস্ট পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, এখন কক্সবাজারে দুই লাখ পর্যটক অবস্থান করছেন। এ মাসের বাকি দিনগুলোতে অন্তত ১০ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বেশির ভাগ পর্যটক সৈকতের নোনাজলে নেমেছেন। কেউ টায়ার টিউবে ভাসছেন, কেউ জলযান নিয়ে দূর সাগর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার ঘোড়া ও বিচ বাইকে চক্কর দিচ্ছেন সৈকতে।
নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষক আতিকুর রহমান ও শিক্ষিকা নুসরাত জাহান দম্পতি একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন। নুসরাত বলেন, পর্যটকের ভিড় বেশি হলেও ভালো লাগছে। ছেলেটি বেশ আনন্দ করছে।
ঢাকার বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা সরকারি চাকরিজীবী নুরুল হুদা পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন। তিনি সুগন্ধা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের ছবি তুলছিলেন ও ভিডিও করছিলেন। তিনি বলেন, হালকা শীতে ভ্রমণ খুবই আনন্দদায়ক। সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি কক্সবাজারের পাহাড়, ঝিরি ও ঝরনা দেখার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
পর্যটকদের সেবা দিতে বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সৈকতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। কারও কথা বলার ফুরসত নেই। শুঁটকি, আচার, শামুক-ঝিনুক ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের তৈরি নানা পণ্যের দোকানে বেচাকেনার ধুম পড়েছে।
সমুদ্রসৈকতে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বরত বিচকর্মী বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তিন পয়েন্টে এক লাখেরও বেশি পর্যটক সাগরে নেমেছেন।
কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কলাতলী ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট রয়েছে। এতে অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের থাকার সুবিধা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, কটেজ ও রিসোর্টের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, এখন কক্সবাজার পর্যটকে ভরপুর। বেশির ভাগ হোটেল-গেস্ট হাউসের শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। সবাই পর্যটকদের ভালো সেবা দিতে তৎপর।
জেলা প্রশাসনের (পর্যটন সেল) মাসুম বিল্লাহ বলেন, পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত টহল বাড়ানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
২ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
২ ঘণ্টা আগে