চবি সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়েছে।
আহতদের প্রাথমিকভাবে চবি মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ককটেল বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, সংঘর্ষ শুরুর পরও সেখানে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য উপস্থিত নেই।
ঘটনার সূত্রপাত
শনিবার (৩০ আগস্ট) দিনগত রাতে চবির ২ নম্বর গেট এলাকার একটি ভাড়া বাসার সামনে প্রথম সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ওই বাসায় এক শিক্ষার্থী ভাড়া থাকেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসায় ফিরলে দারোয়ান গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘক্ষণ তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে গেট খুলে ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন দারোয়ান।
এরপর ছাত্রী তাঁর সহপাঠীদের খবর দিলে তাঁরা সেখানে গিয়ে দারোয়ানের ওপর চড়াও হন। এ সময় দারোয়ান পালিয়ে যান। কিন্তু বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আরও শিক্ষার্থী জড়ো হন। শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে খুঁজতে গেলে স্থানীয়রা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘গেটে অনেকক্ষণ ধাক্কা দেওয়ার পরও খোলা হয়নি। পরে গেট খুলে আমাকে মারধর করা হয়। এরপর আমি সহপাঠীদের খবর দিলে ঘটনাটি বড় আকার নেয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়রা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। শিক্ষার্থীদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের দুটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ও প্রক্টরিয়াল বডির একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আজ সকালের ঘটনা
রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ আলোচনার পর উভয়পক্ষ নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি না হলে প্রো-ভিসি অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ফিরে আসার সময় পেছন দিক থেকে ইট ছুড়ে আঘাত করা হয় তাঁর মাথায়। এ সময় গ্রামবাসীর হামলায় আরও সাত শিক্ষার্থী আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. টিপু সুলতান বলেন, ‘আহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। শুধু চমেকে আমরা ২৪ জনকে পাঠিয়েছি, আরও অনেকে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রোববারের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে। শনিবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সংঘর্ষে অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন। ।
উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা ন্যক্কারজনক। অনেকেই আহত হয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রোববারের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়েছে।
আহতদের প্রাথমিকভাবে চবি মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ককটেল বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, সংঘর্ষ শুরুর পরও সেখানে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য উপস্থিত নেই।
ঘটনার সূত্রপাত
শনিবার (৩০ আগস্ট) দিনগত রাতে চবির ২ নম্বর গেট এলাকার একটি ভাড়া বাসার সামনে প্রথম সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ওই বাসায় এক শিক্ষার্থী ভাড়া থাকেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসায় ফিরলে দারোয়ান গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘক্ষণ তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে গেট খুলে ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন দারোয়ান।
এরপর ছাত্রী তাঁর সহপাঠীদের খবর দিলে তাঁরা সেখানে গিয়ে দারোয়ানের ওপর চড়াও হন। এ সময় দারোয়ান পালিয়ে যান। কিন্তু বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আরও শিক্ষার্থী জড়ো হন। শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে খুঁজতে গেলে স্থানীয়রা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাফিয়া খাতুন বলেন, ‘গেটে অনেকক্ষণ ধাক্কা দেওয়ার পরও খোলা হয়নি। পরে গেট খুলে আমাকে মারধর করা হয়। এরপর আমি সহপাঠীদের খবর দিলে ঘটনাটি বড় আকার নেয়।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়রা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। শিক্ষার্থীদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের দুটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ও প্রক্টরিয়াল বডির একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আজ সকালের ঘটনা
রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ আলোচনার পর উভয়পক্ষ নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি না হলে প্রো-ভিসি অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ফিরে আসার সময় পেছন দিক থেকে ইট ছুড়ে আঘাত করা হয় তাঁর মাথায়। এ সময় গ্রামবাসীর হামলায় আরও সাত শিক্ষার্থী আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. টিপু সুলতান বলেন, ‘আহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। শুধু চমেকে আমরা ২৪ জনকে পাঠিয়েছি, আরও অনেকে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রোববারের সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে। শনিবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সংঘর্ষে অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন। ।
উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলা ন্যক্কারজনক। অনেকেই আহত হয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রোববারের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থীকে সদস্যপদ দিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।
২৭ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলীতে গড়ে উঠছে অন্যতম বৃহৎ বিসিক শিল্পপার্ক। উত্তরবঙ্গকে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চলে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল এ প্রকল্প ঘিরে। তবে ৭১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই উদ্যোক্তাদের কাছে প্লট হস্তান্তর করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
৩০ মিনিট আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো (পণ্য) কমপ্লেক্সে বিভিন্ন আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক দ্রব্যও মজুত ছিল। স্তূপাকারে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে বাজেয়াপ্ত পুরোনো ও নষ্ট মালামাল। ঢাকা কাস্টমস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
৩৪ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় একটি কারখানার ফটকে দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ফোরকান মোল্লা। ছয় দিন আগে পাশের রাস্তায় রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনার পরদিন তাঁর চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্ট ও বমিভাব দেখা দেয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে