Ajker Patrika

চট্টগ্রামে লোকো মাস্টারদের ক্ষোভ, চালাচ্ছেন না ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম 
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ২১: ১৯
চট্টগ্রামে লোকো মাস্টারদের ক্ষোভ, চালাচ্ছেন না ট্রেন

অতিরিক্ত ডিউটিতে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা বাতিল করার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের লোকো মাস্টারেরা (ট্রেন চালক)। এ জন্য ট্রেন নিয়ে যাচ্ছেন না তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সোনার বাংলা ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও, সেটি প্রায় ৪০ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে যায়।

একইভাবে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও লোকো মাস্টার না থাকায় ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্তও ছেড়ে যায়নি।

বেশ কয়েকজন লোকো মাস্টারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১২০ জন লোকো মাস্টারের জায়গায় কর্মরত আছেন মাত্র ৬৫ জন। অর্থাৎ ১২০ জনের কাজ করছেন ৬৫ জন। অতিরিক্ত কাজের জন্য মাইলেজসহ (একটি ভাতা) বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আগে দেওয়া হতো। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় সেই সুযোগ-সুবিধা বাতিল করার খবরে লোকো মাস্টারেরা অতিরিক্ত কাজ করছেন না। 

লোকো মাস্টার মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ডিউটি করার পর এসেও লোকবল সংকট থাকায় আমরা এত দিন অতিরিক্ত কাজ করে যেতাম। এই জন্য সুযোগ-সুবিধাও দিত। কিন্তু হঠাৎ করে সেই সুবিধা বাতিল করেছে। তাই আমরা অতিরিক্ত ডিউটি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' 

বাংলাদেশ রানিং স্টাফ শ্রমিক ও কর্মচারী সমিতির (ট্রেন চালক) সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, রেলওয়ের ১০৩৯ মোতাবেক ১০০ মাইল বা প্রতি ৮ ঘণ্টা ট্রেন পরিচালনার জন্য রানিং স্টাফগণ এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ রানিং ভাতা/মাইলেজ হিসাবে প্রাপ্য হবেন। 

রেলওয়ে আইন-১৮৯০ আইন অনুযায়ী একজন রেলওয়ে কর্মচারী সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৮৪ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করবে না। সাপ্তাহিক রবিবার বিশ্রামের দিনও উল্লেখ আছে। অর্থাৎ রোববার বা সাপ্তাহিক যে কোনো বন্ধের দিনে ডিউটি করলে হলিডে মাইলেজ প্রাপ্তির বিধান আছে। যা বর্তমানে বিলুপ্ত। ভোল্টেজ মাইলেজ ও বিলুপ্ত। 

একজন রানিং স্টাফ দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে মাসে সর্বোচ্চ ৩৬০ ঘণ্টা (৪৫ দিন মাইলেজ) কর্মঘণ্টার বিধান আছে। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়েতে ট্রেন চালক স্বল্পতার কারণে প্রতি মাসে লোকো মাস্টারদের ৪৮০ ঘণ্টা (৬০ দিন মাইলেজ) থেকে ৫৬০ ঘণ্টা (৭০ দিন মাইলেজ) বা তাঁর অধিক হয়ে থাকেন। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সিস্টেমে (IBAS++) রানিং কর্মচারীদের মাইলেজ তথ্য ইনপুটের ক্ষেত্রে এরর (Error) জটিলতা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ আইবিএএস প্লাস (IBAS++) সফটওয়্যারটি ৩০ দিনের বেশি মাইলেজ ভাতা ইনপুট নিচ্ছে না। 

মো. মজিবুর রহমান বলেন, শুনেছি মাইলেজ বাতিল করা হয়েছে। তাই লোকো মাস্টারেরা অতিরিক্ত ডিউটি না করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। 

পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, `আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি। যোগাযোগ করছি, তাঁরা ট্রেন চালাবেন বলেছেন। বিষয়টি আমরা দেখতেছি।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে হঠাৎ ৬৩ শিক্ষকের বেতন বন্ধ, ভোগান্তিতে পরিবার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জে হঠাৎ ৬৩ শিক্ষকের বেতন বন্ধ, ভোগান্তিতে পরিবার

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী শিক্ষক ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের সুবিধা পান। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সাল থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁদের প্রথম উচ্চতর গ্রেড প্রদান করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেই সুবিধা ভোগ করলেও পূর্বঘোষণা বা লিখিত নির্দেশনা ছাড়াই অক্টোবর মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রের আলোকে মুন্সিগঞ্জ হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর মেহেদী হাসান শরীফ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানান, এসব শিক্ষকের উচ্চতর গ্রেড বাতিল হতে পারে। এরপর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বেতন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা বা লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়নি।

সদরের নৈরপুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা হঠাৎ দেখি বেতন বন্ধ। জানতে শিক্ষা অফিসে গেলে বলা হয় জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের নির্দেশ এসেছে। কিন্তু সেই চিঠি কেউ আমাদের দেখাতে পারেনি।’

একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, বেতন বন্ধের বিষয়ে জানতে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে গেলে সেখানে দায়িত্বে থাকা অডিটর অফিসার মেহেদী হাসান শরীফ তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

শিক্ষকেরা দাবি করেছেন, ওই কর্মকর্তা তাঁদের ‘অকথ্য ভাষায় গালাগাল’ করেন এবং অফিসে প্রবেশের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

শিক্ষকেরা এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কোনো ভুল থাকলে তা যাচাই করে সংশোধন করা হোক, কিন্তু একযোগে বেতন বন্ধ রাখা অযৌক্তিক ও মানবিকভাবে অন্যায়।

জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিট অফিসার অভিযুক্ত মেহেদী হাসান শরীফ বলেন, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গালাগালি করার দাবি মিথ্যা। তাঁরা উল্টো ২০-২৫ জন নিয়ে এসে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। তাঁদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের চিঠির কারণে।’

সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন মিঞা বলেন, ‘জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের লিখিত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকদের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রেড উন্নীতকরণ সমস্যায় বেতন আটকে গেছে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ১০-১৫ দিন লাগবে। এরপর ওই শিক্ষকেরা আগের গ্রেডে নিয়মিত বেতন পাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার সামনেই ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মো. আকবর (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে থানার মাইজপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী ব্যত্তির বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর ওই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে।

হালিশহর থানা-পুলিশ জানায়, বাড়ির সামনে আকবরকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্বজনেরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই বিষয়ে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, ছুরিকাহত যুবককে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করার কথাও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অঙ্ক না পারায় পিটিয়েছেন শিক্ষক; অচেতন ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আহত ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গণিতের ক্লাস চলাকালে অঙ্ক না পারায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম মারধর করেন। এতে এই ছাত্রী শ্রেণিকক্ষেই অচেতন হয়ে পড়ে। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে ক্লাসে অঙ্ক না পারায় শিক্ষক রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। বেত্রাঘাতে তার মেরুদণ্ডে আঘাত পায়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না।’

এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিমান চন্দ্র আশ্চর্য জানান, ‘সে হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শরীরের কোনো একটা অংশে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাতিয়ার বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘অঙ্ক না পারায় তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দিয়েছি। এই আঘাতের কারণে সে অসুস্থ হওয়ার কথা না। এরপরও সে অসুস্থ হওয়ায় আমরা তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর: জব্দ করা মাছ নিয়ে ‘হরিলুট’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
গতকাল রাত ৯টার দিকে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাত ৯টার দিকে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের কম্পাউন্ডে জব্দ করা জাটকা মাছ নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও ‘হরিলুটের’ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শত শত মানুষ কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে জব্দ করা জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ঘটনাস্থলে থাকা চারজন আনসার সদস্য।

জাটকা বিতরণের সময় মৎস্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কার্টন সরিয়ে রেখে অল্প কিছু মাছ বিতরণের অভিযোগ উঠলে হট্টগোল শুরু হয়। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সেখানে চরম বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে।

সরেজমিনে গতকাল রাত ৯টার দিকে দেখা যায়, গ্যারেজের পাশে মৎস্য অফিসের কয়েকজন স্টাফকে অন্তত তিনটি জাটকাভর্তি কার্টন ধরে রাখতে দেখা যায়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা একটি কার্টনভর্তি জাটকা লুট করে নিয়ে যায়। লুটের সময় অনেক নারীকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক নারী অভিযোগ করেন, কর্মকর্তারা প্রতারণা করেছেন। তাঁরা সব মাছ নিজেদের জন্য সরিয়ে রেখে অল্প কিছু অফিসের সামনে রেখে গেট খুলে দেন। এরপর শত শত সাধারণ মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

আমিন হাওলাদার নামের একজন বলেন, মাছ ছিল ১০-১২ কার্টন। কিন্তু একটি কার্টনের মাছ বণ্টন করতে গেট খুলে দিলে হরিলুট চলে। তাদের থামাতে আনসাররা চেষ্টা করেও পারেননি।

নীহারিকা মণ্ডল নামের এক গৃহিণী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘একটা জাটকাও পাইনি। সব লুট হয়েছে। স্যাররা পেছনে কার্টন ভর্তি করে রেখেছে।’ মহসীন মিয়া নামে শেরেবাংলা সড়কের এক যুবক বলেন, ‘কয়েকটি মাদ্রাসার লোকজনকে বস্তা ভরে জাটকা দিয়েছে। কিন্তু গরিবেরা দাঁড়িয়ে থেকেও পায়নি।’

এ বিষয়ে জানতে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কামরুল হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অভিযান পরিচালনা করতে নিষেধ করেছিলাম। তারপরও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসানের নেতৃত্বে অফিসের সামনেই বাস থামিয়ে অভিযান চালানো হয় এবং বেশ কিছু মাছ উদ্ধার করা হয়।’ তবে কী পরিমাণ মাছ উদ্ধার হয়েছিল, তা তিনি জানাতে পারেননি।

রিপন কান্তি স্বীকার করেন, ‘দুস্থদের মধ্যে বিতরণকালে কিছু মাছ লোকজন লুট করেছে। সেখানে চারজন আনসার ছিল।’ তবে তার স্টাফরা মাছ সরিয়ে ফেলেছেন, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, ‘যারা বলেছে, তারা গুজব ছড়িয়েছে। আমার স্টাফদের জাটকা নেওয়ার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত