Ajker Patrika

এমভি আবদুল্লাহ: জাহাজটি চলছিল ধীরে, ছিল না জলকামান

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪, ১১: ৩৮
এমভি আবদুল্লাহ: জাহাজটি চলছিল ধীরে, ছিল না জলকামান

ভারত মহাসাগরে পূর্ব আফ্রিকার উপকূল দিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমালিয়ার জলদস্যুরা প্রথমে একটি ছোট যানে করে আসে। এক জলদস্যু জাহাজটিতে ওঠার চেষ্টা করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাহাজটিতে জলকামানের ব্যবস্থা থাকলে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঠেকানো যেত। দস্যুতা থেকে রক্ষায় এ রকম আটটি নির্দেশনা রয়েছে ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস বা ইউকেএমটিওর। কিন্তু জাহাজটিতে এমন কোনো সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় তা সহজে ছিনতাই হয়ে যায়।

এই অবস্থায় জাহাজের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তর। এতে আন্তর্জাতিক নিয়ম মানার পাশাপাশি জাহাজে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী রাখার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, একটি জাহাজ চলাচলে জলকামানসহ যেসব সুরক্ষা থাকা দরকার, এমভি আবদুল্লাহে কিছুই ছিল না। এত দূর থেকে জাহাজটি ছিনতাই হওয়াও দুর্ভাগ্যজনক।

তবে জাহাজটিতে সব রকমের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল বলে দাবি করেছেন এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম। এমভি আবদুল্লাহ দেশে ফেরার পর নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তর মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর, ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে দস্যুতা প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস বা ইউকেএমটিও। জাহাজ সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে তাদের বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে দস্যুতা প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য আটটি সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলকামান। কারণ, এটি ব্যবহার করে অবৈধভাবে জাহাজে ওঠা ঠেকানো যায়। কামানের পানির তীব্র বেগের কারণে ছোট নৌযানের পক্ষে জাহাজের কাছাকাছি থাকাই কঠিন হয়ে পড়ে।

এমভি আবদুল্লাহে শুরুর দিকে আক্রমণ করার একটি ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই ভিডিও করেছেন জাহাজের নাবিকেরা। এতে দেখা যায়, প্রথমে একটি ছোট যানে এসে জাহাজটির পাশ ঘেঁষে চলতে থাকে। একপর্যায়ে এক জলদস্যু জাহাজটিতে ওঠার চেষ্টা করে। জাহাজটি কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি।

দস্যুতা প্রতিরোধে আরও একটি সুরক্ষার কথা বলেছে ইউকেএমটিও। সেটি হলো কাঁটাতার বা রেজর ওয়্যার। এমভি আবদুল্লাহে এই ব্যবস্থাও ছিল না। ইউকেএমটিও জানায়, জাহাজে ঠিকঠাকভাবে এটি স্থাপন করতে পারলে এটাই সবচেয়ে কার্যকর সুরক্ষা পদ্ধতি। ৭৩০ বা ৯৮০ মিলিমিটার ব্যাস রেখে চক্রাকারে ভালো মানের তার ব্যবহার করলে হাতে ব্যবহৃত কোনো সরঞ্জাম দিয়ে সেগুলো কাটা যে কারও পক্ষে কঠিন। ডাবল রোল ব্যবহার করতে পারলে ভালো। এটি সম্ভব না হলে জাহাজের কাঠামোর বাইরের দিকে এটি রাখার কথা বলা হয়েছে।

ইউকেএমটিওর দেওয়া আরেকটি সুরক্ষা ব্যবস্থা হলো অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী। ঝুঁকি বিবেচনায় প্রাইভেট মেরিটাইম সিকিউরিটি-সংক্রান্ত নীতিমালা মেনে এই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আজকের পত্রিকা নিশ্চিত হয়েছে, জিম্মি জাহাজটিতে কোনো অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। এ ছাড়া চালনা-কৌশল বা মাস্টার ও কর্মকর্তাদের দক্ষতার সঙ্গে চক্রাকারে বা এলোপাতাড়ি চালানোর বিষয়টিও সুরক্ষার মধ্যে এনেছে ইউকেএমটিও। কারণ, এই দক্ষতায় চারপাশে প্রবল ঢেউ সৃষ্টি হয়। দস্যুদের নৌযান আর ভিড়তে পারে না। জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহর গতি ছিল খুব কম।

একটি মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান বলেন, ‘এসব নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকলে ভালো। তবে যেহেতু গত কয়েক বছর জাহাজ অ্যাটাক হওয়ার ঘটনা ঘটেনি, সে কারণে এখন এগুলো বাধ্যতামূলক না।’

এ ব্যাপারে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘জাহাজটি এখনো উদ্ধার হয়নি। এ ছাড়া সেখানকার কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে আমরা কথাও বলতে পারিনি। উদ্ধার হওয়ার পর জাহাজটিতে যেসব নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখার কথা, সেসব ছিল কি না, তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।’

এদিকে নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনায় এখন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে চলাচলকারী ৯৭টি বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, এই নির্দেশনা প্রতিপালনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিয়মও মানতে হবে। এত দিন কোনো কোনো জাহাজ অস্ত্র নিরাপত্তা নিত, আবার কেউ কেউ নিত না। 

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ট্রেন লাইচ্যুত। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রেন লাইচ্যুত। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অন্যান্য ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।

বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে শুধু ছেড়ে যেতে পারেনি রাজশাহী থেকে পাবনার ঢালারচর স্টেশনের মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি।

রেলওয়ের একজন ওয়েম্যান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢালারচরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় অন্য লাইনে থাকা দুটি বগির সঙ্গে ট্রেনটির ধাক্কা লাগে। এতে ঢালারচর এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

তবে রাজশাহী থেকে ঢাকা ও অন্যান্য রুটে ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। শুধু ঢালারচরই আটকে যায়।

রাজশাহী রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার ময়েনউদ্দিন জানান, বনলতা এক্সপ্রেসের দুটি বগি অন্য ট্রেনে লাগানোর জন্য স্টেশনে এনে রাখা হয়েছিল। সানটিংয়ের জন্য অপেক্ষমাণ ইঞ্জিন ছাড়া এ বগি দুটি নিজে নিজেই পেছনের দিকে সরে যায়। আর তখনই স্টেশন থেকে বের হচ্ছিল ঢালারচর এক্সপ্রেস। এ সময় ওই দুটি বগির সঙ্গে ঢালারচরের দুটি বগির সংঘর্ষ হয়।

ময়েনউদ্দিন জানান, ঢালারচরের লাইনচ্যুত দুটি বগির উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেনও আসছে। ট্রেনটি আসার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হবে। এরপরই ট্রেনটি তার গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিপব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন দুই কমিশনার

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ১৮
শিপব্রেকিং অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন দুই কমিশনার

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের আগে তিন সদস্যের কমিশনের দুজনই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাকি একজন কমিশনারও পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

২৫ অক্টোবর নির্বাচন হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন বিএসবিআরএর ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, সংগঠনের নির্বাহী কমিটি আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করবেন।

অ্যাসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে মোট ১১টি পদের জন্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। সবগুলো পদের ক্ষেত্রেই একক প্রার্থী থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। ২৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করার কথা ছিল।

কিন্তু প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন ও মন্ত্রণালয় নির্ধারিত কাগজপত্র সময়মতো জমা না পড়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায় পড়ে। ১৩ অক্টোবর ছিল প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন। সেই সময়ের মধ্যে অনেক প্রার্থী প্রয়োজনীয় নথি জমা দেননি। যারা জমা দিয়েছেন, তাদের কাগজপত্রও এখনো মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই হয়ে ফেরত আসেনি।

এই অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু গত ১৪ অক্টোবর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগের দিন ১৩ অক্টোবর কমিশনের আরেক সদস্য জহিরুল ইসলাম চৌধুরীও পদত্যাগ করেন। কমিশনে এখন একমাত্র সদস্য খায়রুল আলম সুজন রয়েছেন। তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

পদত্যাগের বিষয়ে কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্ধারিত কাগজপত্র জমা না দেওয়া এবং আইনি শর্ত মানতে অনীহাসহ নানা কারণে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মো. সাজ্জাদ হোসেন খান । ছবি: সংগৃহীত
মো. সাজ্জাদ হোসেন খান । ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইজিবাইকচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানকে (৫০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ হোসেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শরীফ সাইফুল কবীর।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর বিচারের কার্যক্রম শেষে আদালত অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা মজিবর ফকির লাশটি তাঁর মেয়ের (১৫) বলে শনাক্ত করেন।

ঘটনার পর মজিবর ফকির মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় তদন্তে নামে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৮। তদন্তে বেরিয়ে আসে ইজিবাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন কিশোরী দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।

নিহতের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের হত্যাকারীর আজ ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

মামলার পিপি শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, ‘মামলায় একমাত্র আসামির সাজ্জাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা। আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।’ নিহত মেয়েটি বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আটক পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত
আটক পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার রূপালী এলাকায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানির পর নির্যাতিত শিশুর চাচা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ওই শিশুটি ঢাকার কলাবাগান এলাকায় যে বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত, সেখানকার কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তী সময় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিনের (৪১) সঙ্গে ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাবরেটরিসংলগ্ন রাস্তায় শিশুটির দেখা হয়।

এ সময় রুহুল ওই শিশুটিকে ফুসলিয়ে তাঁর সঙ্গে রূপালী এলাকায় নিজ ভাড়াবাসায় নিয়ে আসেন। এরপর রাতভর ধর্ষণ করেন।

আজ সকালে পুনরায় কলাবাগান নিয়ে যাওয়ার সময় পথে নারায়ণগঞ্জের সদর থানার ২ নম্বর রেলগেটসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে শিশুটি চিৎকার শুরু করে। তখন আশপাশের লোকজন অভিযুক্ত রুহুলকে আটক করে মারধর করে এবং সদর থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ প্রথমে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল বন্দর থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা রুহুলকে হেফাজতে নেয়।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় ওই শিশুর চাচা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নির্যাতিত শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত