Ajker Patrika

জলাবদ্ধতায় কারণে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে ৬ হাজার হেক্টর জমি

প্রতিনিধি, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম)
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২১, ১২: ৪২
জলাবদ্ধতায় কারণে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে ৬ হাজার হেক্টর জমি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ফসলি জমির পরিমাণ ৬ হাজার ৩২৫ হেক্টর। এর মধ্যে জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি হয়ে পড়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। অনাবাদি বিস্তীর্ণ জমিতে এখন কচুরিপানা আর আগাছা।

এক দশক আগেও এসব জমিতে আমন চাষাবাদসহ বিভিন্ন রকমের শাকসবজির চাষ হতো। মাঠজুড়ে ছিল বিভিন্ন ফসলের সমারোহ। বিপুল এ জমিতে চাষ না হওয়ার কারণ হিসেবে জলাবদ্ধতা ও কৃষকদের অনীহাকে দায়ী করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ।

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নগরীর কাছাকাছি হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ শহরে বসবাস করে। নিজেদের কৃষি জমি আছে, অথচ চাষাবাদ করেন না এবং বর্গাও দেন না।

অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আনতে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে স্লুইসগেট ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া কথা জানিয়ে এ কৃষিবিদ বলেন, অনাবাদি এ জমিগুলো পুনরায় চাষাবাদের আওতায় আনতে পারলে এলাকায় কর্মসংস্থান বাড়বে। এর পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

সরেজমিনে উপজেলার চরণদ্বীপ, কধুরখীল, পোপাদিয়া, পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা ও সারোয়াতলী ইউনিয়নে দেখা যায়, এক সময় এসব এলাকার জমিতে চাষাবাদ হলেও বর্তমানে জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ হচ্ছে না।

কধুরখীল ইউনিয়নের কৃষক সুনীল দে বলেন, কধুরখীল কৃষ্ণ দিঘির পাড় সংলগ্ন হদর বিল ও মুরাদ মুন্সীর হাট বিলে দীর্ঘদিন ধরে কোনো চাষবাদ না হচ্ছে না। স্থায়ী জলাবদ্ধতার ফলে আগাছা জন্মেছে। এ ছাড়া ইঁদুর ও জোঁকের উপদ্রব বেড়েছে।

পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়নের কৃষক মফিজুর রহমান ও আহম্মদ নবী বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে তাঁরা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে অপরিকল্পিত কালভার্ট নির্মাণ ও পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে মৌখিক ও লিখিতভাবে বলার পরও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করলেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত