Ajker Patrika

চট্টগ্রাম আদালতে ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি

আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৩৩
চট্টগ্রাম আদালতে ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি

কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। আজ চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনশি আবদুল মজিদের আদালতে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। তবে এই মামলায় অব্যাহতি চেয়ে প্রদীপ হাইকোর্টে আবেদন করায় চট্টগ্রাম আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। 

গত বছরের ২৬ জুলাই দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পত্তি অর্জনের মামলায় প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন হয়। 

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রদীপ দুর্নীতি মামলায় অব্যাহতির দরখাস্ত (ডিসচার্জ পিটিশন) দিয়ে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তাঁর দরখাস্ত নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন হয়। ওই অভিযোগ গঠন আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রদীপ হাইকোর্টে (মামলা কোয়াশমেন্ট) আবেদন করেছেন। তাই উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। 

প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে অবৈধ আয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি ও পাঁচলাইশ থানার ষোলোশহরের একটি বাড়ি, একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, কক্সবাজারে চুমকির নামে একটি ফ্ল্যাট। বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রদীপ দম্পতির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হদিস মেলে। যার মধ্যে বৈধ আয় থেকে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার সম্পদ পায় দুদক। বাকি ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। 

চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী বলে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও এর সমর্থনে প্রমাণ দিতে পারেননি। এ মামলার অভিযোগপত্রে সাক্ষীর তালিকায় ২৯ জনের নাম রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হন। এ ঘটনায় সিনহার বোনের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ওসি প্রদীপ ২০২০ সালের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। ওই মামলায় গত বছর ২৭ জুন প্রদীপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। কক্সবাজার আদালতে বর্তমানে মামলাটির বিচার চলছে। 

এদিকে গত বছর ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামে মামলা করে দুদক। ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালত চুমকির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারন পলাতক। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত