Ajker Patrika

বরিশালে সড়ক খুঁড়ে রাখায় দুর্ভোগ, ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ৪২
বরিশাল নগরের হজরত কালু শাহ সড়ক। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল নগরের হজরত কালু শাহ সড়ক। ছবি: আজকের পত্রিকা

বর্ষা আসছে। আশঙ্কা বাড়ছে বরিশাল মহানগরবাসীর। কেননা সংস্কারের জন্য এক ডজন সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে প্রায় এক বছর। সেসব সড়কে এমনিতেই চলা দায়, বর্ষার আগে সংস্কার না হলে দুর্ভোগ কয়েক গুণ বাড়বে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এ জন্য আন্দোলনও করছে ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, গত বছরের ৬ মে শুরু হয় বরিশাল নগরে ৭৯৭ কোটি টাকার সড়ক সংস্কারের কাজ। ওই বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অনেক দিন বন্ধ থাকে কাজ। বিসিসির বর্তমান প্রশাসকের উদ্যোগে অসম্পূর্ণ প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাজের কিছু অংশ চালু হলেও অধিকাংশ স্থবির হয়ে পড়ে রয়েছে।

নগরের কাজীপাড়ার সড়ক সংস্কার সপ্তাহখানেক আগে থমকে যায় পাশের এক ডজন অবৈধ দোকানের কারণে। এর প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। স্থানীয় আবু সাঈদ বলেন, একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে সড়ক। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এর চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নগরের হজরত কালু শাহ সড়কের। খুঁড়ে রাখা সড়কে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসী আজ শুক্রবার মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক জি এম আতায়ে রাব্বি বলেন, বর্ষার আগে সড়কটি মেরামত শেষ না করলে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এই গাফিলতির জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়ী করেন তিনি।

একই অবস্থা নগরের নিউ সার্কুলার রোড গাজী বাড়ি মসজিদ-সংলগ্ন দক্ষিণ দিকের শাখা সড়কের। স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘একটু বৃষ্টিতে রাস্তাটি জলাবদ্ধতায় একাকার হয়ে গেছে। ময়লা জমে ড্রেন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।’

সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

এভাবে নগরীর গোরস্থান রোড, জিয়ানগর, নতুন বাজার-সংলগ্ন খালপাড় সড়ক, হরিণাফুলিয়া, পোর্ট রোড, জিয়া সড়কসহ এক ডজন সড়ক সংস্কারের জন্য খুঁড়ে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঠিকাদারেরা পালিয়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, বর্ষার আগেই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শুরু না করলে টেন্ডার বাতিল করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত