Ajker Patrika

জায়নামাজে বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ, মেয়ের সন্দেহের তির ভাবির দিকে

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
জায়নামাজে বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ, মেয়ের সন্দেহের তির ভাবির দিকে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রাশেদা বেগম (৫৫) নামের এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের গোহারুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত রাশেদা বেগম একই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে, ছেলে এক বছর আগে বিয়ে করার কিছুদিন পর বেলজিয়াম চলে যান। সেই থেকে পুত্রবধূ তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। তবে কিছুদিন আগে ছেলের বউ বাবার বাড়ি যান। 

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বুধবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাশেদা বেগমকে জায়নামাজে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোটের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাশেদার একমাত্র মেয়ে জান্নাত বেগম বলেন, ‘এক বছর আগে আমার ভাইয়ের সঙ্গে পাশের গ্রামের তাসলিম বেগম কাঞ্চনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাস পর ভাই প্রবাসে চলে যান। এরপর থেকে মায়ের সঙ্গে বিরোধ চলছিল কাঞ্চনের। গত ১৩ জানুয়ারি ভাইয়ের বউ স্বর্ণালংকার নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর থেকে মা বাড়িতে একাই থাকতেন।’

জান্নাত বেগম আরও বলেন, ‘গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় আমি এসে দেখি মা রক্তাক্ত অবস্থায় জায়নামাজে পড়ে আছেন। আমার চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসে। মাকে কাঞ্চনের পরিবার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। হত্যাকারীরা আমার মায়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রাশেদা বেগমের ছেলের বউ তাসলিম বেগম কাঞ্চন বলেন, ‘লোক মারফত আমার শাশুড়ির মৃত্যুর সংবাদ শুনে ছুটে আসি। তাঁর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে আমি কিছুই জানি না।’ এ কথা বলেই তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

স্থানীয় জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি, রাশেদা বেগম নামের এক নারীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আশা করছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্তে হত্যার প্রমাণ পেলে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হবে। পুলিশ তাঁর মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছে। তদন্তের স্বার্থে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত