ফেনী প্রতিনিধি
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১৪টি স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বাঁধ ভাঙার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও পানিবন্দী মানুষের অনেকে এখনো শুকনো খাবার বা বিশুদ্ধ পানি পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনা, অলকা, শালধর এবং ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর, দেড়পড়া, দৌলতপুরসহ অন্তত ১৪টি স্থানে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এসব এলাকায় তীব্র স্রোতের পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে, মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু জায়গা বা পাশের বাড়িগুলোতে।
মুন্সিরহাট গাইনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আছমা আক্তার বলেন, ‘রাতেই ঘরে পানি ঢুকেছে। কিছু জিনিস ওপরে তুলতে পেরেছি। খাবারদাবার কিছুই নেই, পানি খেতেও ভয় লাগছে।’
নাপিতকোনা গ্রামের জাহানারা বেগম বলেন, ‘গতকাল বাঁধ রক্ষা করতে স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করেছি, লাভ হয়নি। এখন প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয়ে আছি, কিন্তু খাবার-পানি নেই। বিদ্যুৎ-নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।’
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, ‘দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে। যাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন, তাঁদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তবে আজ বুধবার বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন মজুমদার জানান, মুহুরী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তিনি আরও জানান, উজানে বৃষ্টি বন্ধ না হলে ভাঙনের ঝুঁকি থাকবে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ফুলগাজী ও পরশুরামে ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রান্না করা খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১৪টি স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বাঁধ ভাঙার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও পানিবন্দী মানুষের অনেকে এখনো শুকনো খাবার বা বিশুদ্ধ পানি পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনা, অলকা, শালধর এবং ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুর, দেড়পড়া, দৌলতপুরসহ অন্তত ১৪টি স্থানে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এসব এলাকায় তীব্র স্রোতের পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে, মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু জায়গা বা পাশের বাড়িগুলোতে।
মুন্সিরহাট গাইনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আছমা আক্তার বলেন, ‘রাতেই ঘরে পানি ঢুকেছে। কিছু জিনিস ওপরে তুলতে পেরেছি। খাবারদাবার কিছুই নেই, পানি খেতেও ভয় লাগছে।’
নাপিতকোনা গ্রামের জাহানারা বেগম বলেন, ‘গতকাল বাঁধ রক্ষা করতে স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করেছি, লাভ হয়নি। এখন প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয়ে আছি, কিন্তু খাবার-পানি নেই। বিদ্যুৎ-নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।’
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, ‘দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে। যাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন, তাঁদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। তবে আজ বুধবার বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন মজুমদার জানান, মুহুরী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তিনি আরও জানান, উজানে বৃষ্টি বন্ধ না হলে ভাঙনের ঝুঁকি থাকবে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, ফুলগাজী ও পরশুরামে ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রান্না করা খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে।
ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পরশুরাম উপজেলা।
২১ মিনিট আগেটানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর অন্তত ২০টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে ৩০টি গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এক লাখের বেশি মানুষ।
২৬ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘২০০০ সাল থেকে ২৫ বছরে সীমান্তে বিএসএফ ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেছে। বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, একটি খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা শুধু খুন করতে চায়। খুন করা তাদের নেশা। বিএসএফ মানবতাবিরোধী বাহিনী। আমরা সীমান্ত হত্যা মেনে নেব না। আমরা ভারত
৩৪ মিনিট আগেঢাকার সাভারে সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য দখলদারদের নোটিশ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা। আজ বুধবার বিকেলে শ্যামলাশী এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার কর্মকর্তার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা।
৪১ মিনিট আগে