আকাশ আহমেদ, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)
করোনার এই মহামারি মানুষকে ঘরবন্দী করে ফেলেছে। কঠোর লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরোতে পারছেন না। ঘরে বসে বসে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছেন কিশোর-যুবারা। নেট দুনিয়ার ভালো দিকগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাঁরা আসক্ত হয়ে পড়ছেন বিপজ্জনক অনলাইন গেম আর অশ্লীল অ্যাপে। লেখাপড়া শিকেয় উঠেছে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন মা-বাবারা। এমন আঁধার সময়ে আলোর আহ্বান নিয়ে এগিয়ে এসেছে ‘পাঠশালা রাঙ্গুনিয়া (বই পড়ুয়া) উন্মুক্ত পাঠাগার’। করোনাকালে ঘরবন্দী এসব কিশোর-যুবাদের বইমুখী করতে ও বই পড়ার আনন্দকে সঙ্গী করে চমৎকার সময়যাপনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের পাঠাগার।
পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার সময়ে নিবন্ধন ফি দিয়ে সদস্য হয়ে বই পড়ার সুযোগ পেতেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে একদম বিনা মূল্যে বই পড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, ঘরবন্দী সময়ে মানুষকে বইমুখী করা এবং বই পড়ার আনন্দকে সঙ্গী করে মননকে আলোকিত করা।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ‘পাঠশালা রাঙ্গুনিয়া (বই পড়ুয়া) উন্মুক্ত পাঠাগার’ এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে। পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সবাই শিক্ষার্থী। বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। পাঠাগারটির অবস্থান পৌর এলাকার সৈয়দবাড়ি হরিণগেট এলাকায়।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শিশির মোরশেদ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বাংলায় মাস্টার্স করেছেন। তিনি বলেন, করোনাকালে অনেকে ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন। জড়িয়ে পড়ছেন অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন বিপজ্জনক গেম আর অশ্লীল ভিডিও অ্যাপে। বয়স্করাও ঘরে বসে বসে হতাশ হয়ে পড়ছেন।
সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তাও তাঁদের গ্রাস করে ফেলছে। অবসাদে ভোগা এই সব মানুষের করোনাকালীন সময় আনন্দময় করতে পাঠাগার থেকে বই নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এতে তাঁরা অবসাদ কাটিয়ে একটি সুন্দর সময় উপভোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর আগে অনলাইনে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী বই পৌঁছানো হতো। সেই সময় আমার নিজের ২০০ বই দিয়ে অনলাইন পাঠাগার শুরু করি। সপ্তাহে এক দিন কয়েকটি বইয়ের নাম গ্রুপে পোস্ট করতাম। পরে পাঠকদের চাহিদামতো বইগুলো বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হতো। উপজেলার দূরদূরান্তে বই পৌঁছানো গেলেও বই ফেরত দেওয়া নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়। তাই পাঠাগারটি একটি ঘর ভাড়া নিয়ে নির্দিষ্ট একটি স্থানে স্থাপন করা হয়। পাঠাগারে এখন বইয়ের সংখ্যা এক হাজারের মতো। এখানে বর্তমানে এখন ৫০ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। নতুনভাবে আরও প্রতিনিধি নেওয়া হচ্ছে। এই প্রতিনিধিরা পাঠক সৃষ্টি করতে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন। পাশাপাশি পাঠকদের কাছ থেকে বই ফেরত নিতেও সহযোগিতা করছেন। পাঠাগারে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, শিশুসাহিত্যসহ রকমারি বই রয়েছে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য সহায়ক বইও রাখা হবে।’
পাঠাগারের প্রতিনিধি সোহেল আরাফাত ও মো. আজগর বলেন, তাঁরা নিজেরা পাঠাগারের পাঠক। পাশাপাশি পাঠাগারের পাঠকদের বই দিতে বা ফেরত নিতে সহযোগিতা করেন। পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক রয়েছেন তিন শতাধিক। করোনাকালে নতুনভাবে আরও শতাধিক পাঠক সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। তাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে যেতে না পেরে পাঠাগার থেকে বই নিয়ে ঘরে বসে পড়ছেন।
পোমরা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের কিশোরবেলায় আমরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে প্রচুর গল্প-উপন্যাসের বই পড়েছি। সেই সময় গ্রামের প্রতিটি ক্লাবে পাঠাগারের ব্যবস্থা ছিল। সময়ের পরিবর্তনে পাঠাগার তো দূরের কথা, গ্রাম থেকে ক্লাবই উঠে গেছে। করোনার এই নিদানকালে “পাঠশালা রাঙ্গুনিয়া (বই পড়ুয়া) উন্মুক্ত পাঠাগার” চমৎকার একটি উদ্যোগ নিয়েছে।’
করোনার এই মহামারি মানুষকে ঘরবন্দী করে ফেলেছে। কঠোর লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরোতে পারছেন না। ঘরে বসে বসে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছেন কিশোর-যুবারা। নেট দুনিয়ার ভালো দিকগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাঁরা আসক্ত হয়ে পড়ছেন বিপজ্জনক অনলাইন গেম আর অশ্লীল অ্যাপে। লেখাপড়া শিকেয় উঠেছে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন মা-বাবারা। এমন আঁধার সময়ে আলোর আহ্বান নিয়ে এগিয়ে এসেছে ‘পাঠশালা রাঙ্গুনিয়া (বই পড়ুয়া) উন্মুক্ত পাঠাগার’। করোনাকালে ঘরবন্দী এসব কিশোর-যুবাদের বইমুখী করতে ও বই পড়ার আনন্দকে সঙ্গী করে চমৎকার সময়যাপনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের পাঠাগার।
পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার সময়ে নিবন্ধন ফি দিয়ে সদস্য হয়ে বই পড়ার সুযোগ পেতেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে একদম বিনা মূল্যে বই পড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, ঘরবন্দী সময়ে মানুষকে বইমুখী করা এবং বই পড়ার আনন্দকে সঙ্গী করে মননকে আলোকিত করা।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ‘পাঠশালা রাঙ্গুনিয়া (বই পড়ুয়া) উন্মুক্ত পাঠাগার’ এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে। পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সবাই শিক্ষার্থী। বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। পাঠাগারটির অবস্থান পৌর এলাকার সৈয়দবাড়ি হরিণগেট এলাকায়।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শিশির মোরশেদ চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বাংলায় মাস্টার্স করেছেন। তিনি বলেন, করোনাকালে অনেকে ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন। জড়িয়ে পড়ছেন অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন বিপজ্জনক গেম আর অশ্লীল ভিডিও অ্যাপে। বয়স্করাও ঘরে বসে বসে হতাশ হয়ে পড়ছেন।
সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তাও তাঁদের গ্রাস করে ফেলছে। অবসাদে ভোগা এই সব মানুষের করোনাকালীন সময় আনন্দময় করতে পাঠাগার থেকে বই নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এতে তাঁরা অবসাদ কাটিয়ে একটি সুন্দর সময় উপভোগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর আগে অনলাইনে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পাঠকদের চাহিদা অনুযায়ী বই পৌঁছানো হতো। সেই সময় আমার নিজের ২০০ বই দিয়ে অনলাইন পাঠাগার শুরু করি। সপ্তাহে এক দিন কয়েকটি বইয়ের নাম গ্রুপে পোস্ট করতাম। পরে পাঠকদের চাহিদামতো বইগুলো বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হতো। উপজেলার দূরদূরান্তে বই পৌঁছানো গেলেও বই ফেরত দেওয়া নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়। তাই পাঠাগারটি একটি ঘর ভাড়া নিয়ে নির্দিষ্ট একটি স্থানে স্থাপন করা হয়। পাঠাগারে এখন বইয়ের সংখ্যা এক হাজারের মতো। এখানে বর্তমানে এখন ৫০ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। নতুনভাবে আরও প্রতিনিধি নেওয়া হচ্ছে। এই প্রতিনিধিরা পাঠক সৃষ্টি করতে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন। পাশাপাশি পাঠকদের কাছ থেকে বই ফেরত নিতেও সহযোগিতা করছেন। পাঠাগারে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, শিশুসাহিত্যসহ রকমারি বই রয়েছে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য সহায়ক বইও রাখা হবে।’
পাঠাগারের প্রতিনিধি সোহেল আরাফাত ও মো. আজগর বলেন, তাঁরা নিজেরা পাঠাগারের পাঠক। পাশাপাশি পাঠাগারের পাঠকদের বই দিতে বা ফেরত নিতে সহযোগিতা করেন। পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক রয়েছেন তিন শতাধিক। করোনাকালে নতুনভাবে আরও শতাধিক পাঠক সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। তাঁরা করোনা পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে যেতে না পেরে পাঠাগার থেকে বই নিয়ে ঘরে বসে পড়ছেন।
পোমরা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের কিশোরবেলায় আমরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে প্রচুর গল্প-উপন্যাসের বই পড়েছি। সেই সময় গ্রামের প্রতিটি ক্লাবে পাঠাগারের ব্যবস্থা ছিল। সময়ের পরিবর্তনে পাঠাগার তো দূরের কথা, গ্রাম থেকে ক্লাবই উঠে গেছে। করোনার এই নিদানকালে “পাঠশালা রাঙ্গুনিয়া (বই পড়ুয়া) উন্মুক্ত পাঠাগার” চমৎকার একটি উদ্যোগ নিয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগরে আবর্জনার স্তূপ থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম আবুল হাশেম হাছু (৬০)। আজ সোমবার দুপুরে নগরের চন্দনপুরা এলাকার বাকলিয়ায় আবর্জনার স্তূপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি একই এলাকার পশ্চিম গলির বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী হালিমা মোহাম্মদ (১৮)। এবার তার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। ঈদুল আজহায় বাড়িতে বেড়াতে এসে বাবা বাবুল আহমেদ বাবুর (৬০) সঙ্গে পুকুরে নেমেছিল সাঁতার শিখতে। কিন্তু হালিমার সাঁতার শেখা আর হয়নি। বাবার হাত ফসকে ডুবে মারা যায়।
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারী জেলা শহরে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-ঘ ১১-৮২২৩) আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল রোববার (৮ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার সময় কারটি জব্দ করা হয়। তবে, গাড়ির চালক দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগেঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান। সোমবার চাচা নাছির উদ্দীন ভাতিজা আরিয়ানকে সাঁতার শিখাতে নিয়ে যান বাড়ির পুকুরে। সাঁতার শেখানোর একপর্যায়ে হাত থেকে ভাতিজা ছুটে ডুবে যায়। ভাতিজাকে খুঁজতে গিয়ে পানির
৩ ঘণ্টা আগে