খাল খননের সময় ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদে নালা খনন কাজের সময় হেলে পড়াসহ ঝুঁকিপূর্ণ আরও চারটি ভবনে বাস করা ১০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতেই ভবনগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে জেলা প্রশাসন ঘটনা তদন্তের জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি ভবনে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে বসবাস করতে না পারে সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের আশপাশের বিদ্যালয়ে আশ্রয় গ্রহণের জন্য খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপপরিচালককে (স্থানীয় সরকার) প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সিএমপি, সিটি করপোরেশন, সিডিএ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পিডব্লিউডি প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, কমিটি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে।

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ রৌফাবাদে তৈয়বিয়া হাউজিং সোসাইটি এলাকায় খোরশেদ ম্যানশন নামের চারতলার একটি আবাসিক ভবন হেলে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, জায়গাটিতে সরকারিভাবে একটি খাল খনন করা হচ্ছে। কাজ চলাকালে খালের পাশের ওই ভবনটির নিচের মাটি সরে গিয়ে দুটি কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতে ভবনটি পাশের আরেকটি ভবনের ওপর হেলে পড়ে।

• চট্টগ্রামে নালা খননের সময় হেলে পড়েছে ৪ তলার ভবন 

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় নগরের বিভিন্ন খাল খনন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীন মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। প্রকল্পের এই পর্যায়ে রৌফাবাদে শীতল ঝরনা নামের খালটির খনন কাজ চলছে।

সিডিএ কর্মকর্তারা বলেন, খালে প্রতিরোধ দেয়ালের কাজ শুরুর আগে মালিক পক্ষকে বারবার সতর্ক করা হয়। নির্মাণকাজের সুবিধার জন্য জায়গাও ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ বিষয়টি কানে নেয়নি। কাজ শুরু হলে শেষ পর্যন্ত গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভবনটি হেলে পড়ে। সাধারণত খালের অ্যালাইনমেন্ট থেকে ১৫ ফুট দূরত্বে ভবন নির্মাণ করতে হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন মালিক তা তো করেইনি, বরং খালের সীমানার ওপর ভবন নির্মাণ করে।