Ajker Patrika

কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জেলা প্রশাসকের

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম 
কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জেলা প্রশাসকের

এক কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) ও দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। আজ রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নির্দেশে মো. শাহাদাত হোসেন (৪৫) নামের এক তহসিলদার ও অফিস সহায়ক এমদাদকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পুলিশের হাতে ও দুদকের কাছে তুলে দেওয়া হয়। 

অভিযুক্তরা হলেন, কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের ইউনিয়ন বর্তমানে কর্মরত ভূমি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, অফিস সহায়ক এমদাদ এবং বর্তমানে কর্ণফুলী ভূমি অফিসের আওতাধীন শিকলবাহা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী। 

জানা যায়, অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন আগের কর্মস্থল মহানগর আগ্রাবাদ সার্কেলের দক্ষিণ পাহাড়তলি ভূমি অফিসে কাজ করার সময় সহযোগী এমদাদসহ ভূমি উন্নয়ন করের চালান জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ভূমি উন্নয়ন করের টাকা সরকারের কোষাগারে চালানের মাধ্যমে জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তাঁরা জমা না দিয়ে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। 

চলমান অভিযানের অংশ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন ও অফিস সহায়ক এমদাদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পরে মহানগর আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল শাহাদাতকে আটক করে ডবলমুরিং থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। বর্তমানে অফিস সহায়ক এমদাদও দুদকের কাছে আটক রয়েছেন। 

অন্যদিকে সুমন চৌধুরী একইভাবে শিকলবাহা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত অবস্থায় চালান জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন করের ৩০ লাখ ৩৭ হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। একই ব্যক্তি এর আগে রাঙ্গুনিয়া ভূমি অফিসের আওতাধীন ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালীনও ভূমি উন্নয়ন করের প্রায় ৭১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। সরকারি কোষাগারে ওই সব অর্থ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনিও চালান জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে এক কোটি দুই লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। বর্তমানে অভিযুক্ত সুমন পলাতক থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যেখানেই দুর্নীতির বিষয়টি পাওয়া যাচ্ছে ও যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এল এ শাখায় দুর্নীতি করার কারণে দুই দালালসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে এর আগে পাঁচজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। অনেককে বরখাস্ত করা হয়েছে ও দুর্গম এলাকায় বদলি করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

অস্থিরতার সামান্য ইঙ্গিত পেলেই আমরা চলে যাব

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

টাঙ্গাইলে মারধরের জেরে মুখোমুখি বণিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠন, পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত