Ajker Patrika

অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলা

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি-জজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ২০: ৪৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাৎ ও নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক, সাবেক জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। কক্সবাজারে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতির পৃথক মামলায় আদালত এই আদেশ দেন।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এই আদেশ দেন। দুদকের কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ ও অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ দিন মামলার ধার্য তারিখে অন্তর্বর্তী জামিনে থাকা পাঁচ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। তাঁরা হলেন কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল।

মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে একটি মামলা করেন। এতে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনকে আসামি করা হয়। এ সময় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুদককে তদন্তের জন্য আদেশ দেন।

এই মামলায় ২০১৭ সালের ২২ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক সাবেক জেলা প্রশাসক রহুল আমিনকে কারাগারে পাঠান। কারাভোগ শেষে পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। কারাগার থেকে বের হয়ে ওই আত্মসাতের মামলা থেকে বাদ যেতে তৎপরতা শুরু করেন বলে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পরে তদন্তে উঠে আসে, তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে।

জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আরও একটি জালিয়াতির মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

তদন্তে নথি জালিয়াতির ঘটনায় সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে। মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমানকে।

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কক্সবাজারের বিশেষ জজ আদালতে জালিয়াতির বিষয়ে দুদকের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়। ২৩ জানুয়ারি আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তাঁরা আদালতে হাজির হয়ে অন্তর্বর্তী জামিন পান। সম্প্রতি মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

ফাঁস হওয়া অডিওতে তুষারের সঙ্গে অন্য নারী, দাবি তাসনুভা জাবিনের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত