Ajker Patrika

কক্সবাজারে ১২ হাজার একর জমি বন বিভাগকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারে বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারে বাঁকখালী নদীর দখল-দূষণ পর্যবেক্ষণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ অন্যরা। ছবি: সংগৃহীত

তথাকথিত উন্নয়নের নামে বরাদ্দ দেওয়া জমি বন বিভাগকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, কক্সবাজারে আনুমানিক ১২ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার করে বন বিভাগকে দিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা তথাকথিত উন্নয়ন এবং ব্যক্তিস্বার্থে দেওয়া হয়েছিল।

সময়টা বিবেচনা করে কক্সবাজারের কয়েকটি কাজ অগ্রাধিকার হিসেবে ধরা হয়েছে জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কক্সবাজারের ৭০০ একরের একটা বন, ১৫৫ একর বনের জায়গা নিয়ে একজন ব্যক্তির নামে স্থাপনা হচ্ছে, ২০ একর জমিতে ফুটবল ট্রেনিং সেন্টার হওয়া কথা ছিল, সোনাদিয়ায় বেজাকে দেওয়া জায়গায় চিংড়িঘের করা হয়েছে। এসব তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল করে জমিগুলো বন বিভাগকে ফেরত দেওয়া হবে।

কক্সবাজারের মানুষের অনেক দিনের দাবি, বাঁকখালী নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার—এমন মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যখন পরিবেশকর্মী ছিলাম, পরিবেশকর্মী হিসেবে আসতাম। এখন যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, সে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এসেছি এবং তারা বলছে, অবৈধ দখল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উচ্ছেদ করবে।’ তিনি বলেন, কোন কোন জায়গায় আইনি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে স্থিতি অবস্থা নিয়ে আসা হয়েছে, সেটাও আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে।

কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত দেখতে গিয়ে দেদার নির্মাণকাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, যদি লাগাম টেনে ধরা না হয়, তবে সাধারণ মানুষের সি বিচ ব্যক্তির সি বিচ বা প্রতিষ্ঠানের সি বিচ হয়ে যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকায় কার প্রতিষ্ঠান আছে, তা আমার দেখার বিষয় না। আমার কাজ ইসিএ এলাকায় পরিবেশ, বন ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, তা দেখা। অনুমোদন ছাড়া যার প্রতিষ্ঠান থাকবে তা উচ্ছেদ করা হবে।’ এ সময় তিনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ৫১ একর ভূমির অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে বলে মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টার পরিদর্শনের সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত