কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার ২০ নম্বর ক্যাম্পের লাল পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ১৭ নম্বর ক্যাম্পের ১০৪ নম্বর ব্লকের আহমদ হোসেন (৬০) এবং তাঁর ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮) ও মেয়ে আসমা (১৩)। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল হতাহতের তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ওয়ালাপালং পুলিশ ক্যাম্পের আওতাধীন আশ্রয়শিবিরের বর্ধিত ক্যাম্প-২০–এর লাল পাহাড়সংলগ্ন এস-৪ ও বি-৭ ব্লক এলাকা দিয়ে ১৫-২০ জন একটি দুর্বৃত্ত দল প্রবেশ করে ওই ব্লকের অস্থায়ীভাবে বসবাসরত আহমদ হোসেন ও তাঁর পরিবারের ওপর গুলি ছোড়ে। এলোপাতাড়ি গুলিতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আহত অবস্থায় আসমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে তাঁরও মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত সৈয়দুল আমিন মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে প্রতিপক্ষের অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তের পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও রোহিঙ্গাদের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সাড়ে ৯ মাসে আশ্রয়শিবিরগুলোতে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৭৪ জন রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন। এসব সংঘর্ষের মধ্যে আরসা ও আরএসও এবং ক্যাম্পে সক্রিয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে ঘটেছে।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। এর মধ্যে আট লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে আশ্রয় নেওয়া। এ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতারা বলছেন, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সক্রিয় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তার, মতাদর্শগত বিরোধ, মাদক পাচার ও চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ক্যাম্পে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার ২০ নম্বর ক্যাম্পের লাল পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ১৭ নম্বর ক্যাম্পের ১০৪ নম্বর ব্লকের আহমদ হোসেন (৬০) এবং তাঁর ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮) ও মেয়ে আসমা (১৩)। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল হতাহতের তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ওয়ালাপালং পুলিশ ক্যাম্পের আওতাধীন আশ্রয়শিবিরের বর্ধিত ক্যাম্প-২০–এর লাল পাহাড়সংলগ্ন এস-৪ ও বি-৭ ব্লক এলাকা দিয়ে ১৫-২০ জন একটি দুর্বৃত্ত দল প্রবেশ করে ওই ব্লকের অস্থায়ীভাবে বসবাসরত আহমদ হোসেন ও তাঁর পরিবারের ওপর গুলি ছোড়ে। এলোপাতাড়ি গুলিতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আহত অবস্থায় আসমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে তাঁরও মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত সৈয়দুল আমিন মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে প্রতিপক্ষের অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তের পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও রোহিঙ্গাদের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সাড়ে ৯ মাসে আশ্রয়শিবিরগুলোতে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৭৪ জন রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন। এসব সংঘর্ষের মধ্যে আরসা ও আরএসও এবং ক্যাম্পে সক্রিয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে ঘটেছে।
বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। এর মধ্যে আট লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে আশ্রয় নেওয়া। এ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতারা বলছেন, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সক্রিয় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে ক্যাম্পের আধিপত্য বিস্তার, মতাদর্শগত বিরোধ, মাদক পাচার ও চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ক্যাম্পে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কোনো ধরনের তথ্য যাচাই ছাড়া এ ধরনের গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী। যে কেউ এ বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছে বাহিনী।
১ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর রেল স্টেশনে প্রবেশের সময় আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে করে ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের (ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা-ময়মনসিংহ) একটি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও অপর একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
১৮ মিনিট আগেবিমান দুর্ঘটনায় নিহত রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহেরিন চৌধুরীর সমাধিস্থলে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছে নীলফামারী জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে জেলার জলঢাকা পৌর এলাকার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়াস্থ পারববারিক কবরস্থানে যান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
২৪ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইলে এক পোশাক শ্রমিক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা গতকাল মঙ্গলবার নান্দাইল মডেল থানায় ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবার।
৩৩ মিনিট আগে