Ajker Patrika

বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩০ জলদস্যু আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩০ জলদস্যু আটক

চট্টগ্রামে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩০ জলদস্যুকে আটক করেছে র‍্যাব। এ সময় ডাকাতির চেষ্টায় ব্যবহৃত তাঁদের কাছ থেকে দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়। 

গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১১টার পর বঙ্গোপসাগরের পতেঙ্গা চ্যানেলের শেষ মাথা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। 

আজ সোমবার দুপুরে র‍্যাবের পক্ষ থেকে পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাটে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যু কর্তৃক ডাকাতির ঘটনায় অনেক জেলে হত্যার শিকার হন। সে সময় আমাদের অভিযানের মুখে অনেক জলদস্যু গ্রেপ্তার হয়েছিল। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যাতে পরবর্তীতে সংঘটিত না হয়, সে জন্য আমরা নজরদারি অব্যাহত রেখেছিলাম। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, ৩০-৪০ জনের একটি গ্রুপ বঙ্গোপসাগরে গণডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সর্বশেষ ওই গ্রুপটির বিষয়ে গতকাল রোববার রাতে আমরা জানতে পারি তাঁরা চট্টগ্রামে পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছে। 

রাত ১১টার দিকে গ্রুপটি ডাকাতির উদ্দেশ্যে পতেঙ্গা ঘাট থেকে ট্রলারে করে রওনা দিয়েছিল। গ্রুপটি যে ট্রলারে করে রওনা দিয়েছিল সেই দুটি ট্রলার আমরা চিহ্নিত করি। পরে তাঁদেরকে পতেঙ্গা চ্যানেলের শেষ মাথা থেকে ট্রলারসহ আটক করতে সক্ষম হই। 

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ, দেশীয় চাপাতি-রামদাসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

র‍্যাব-৭ প্রধান বলেন, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, এসব জলদস্যুরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। 
প্রথম গ্রুপটির নেতৃত্ব দিয়েছিল শাহেদ মাঝি বা শাহেদ বাহিনী, যিনি কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ডাকাতিসহ একাধিক মামলা হয়েছে। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রলার, অস্ত্রসহ অন্যান্য যা যা লজিস্টিক সাপোর্ট প্রয়োজন হতো তা দেখত শাহেদ মাঝি। 

এসব কনফার্ম করার পর দ্বিতীয় গ্রুপের নেতা-ইউসুফ মাঝির ট্রলারগুলো নিয়ে গভীর সমুদ্র যায়। সেখানে গিয়ে ডাকাতিতে সরাসরি জড়িত থাকত। তাঁর দলে মোট ১১ জন সদস্য রয়েছে। 

তৃতীয় গ্রুপটির নেতা হচ্ছেন করিম মাঝি। তাঁর মূল কাজ হচ্ছে, ডাকাতির পর লুণ্ঠিত মাছ, জাল, ট্রলারসহ অন্যান্য মালামাল তাঁর হেফাজতে নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিত। মালামাল বিক্রির টাকা পরে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দলগতভাবে বণ্টন করত। করিম মাঝির দলে ১০ জন জলদস্যু রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। 

তাঁদের দেওয়া ভাষ্যমতে, গত একবছরে বাঁশখালী, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বরিশালসহ অনেক এলাকায় বিভিন্ন সময় ডাকাতি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এই গ্রুপটি ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার ডাকাতি করার পরিকল্পনা ছিল। সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখি, আটককৃতদের মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, আটক ৩০ জনের মধ্যে পূর্বে ডাকাতি করবে না বলে একজন আত্মসমর্পণও করেছিল। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন করিম মাঝি (৩৩), রুবেল (৩৩), জফুর (৩৫), শফি আলম (৪০), আব্দুর রহিম (২৫), শামীম (২১), ইউসুফ (২৯), শাজাহান বেগম (৩৭), সাহাব উদ্দিন (৩৫), শওকত (৩৭), ইসমাইল (২৬), দেলোয়ার ইসলাম (৪২), নুর মোহাম্মদ (১৭), আব্দুর রহিম সিকদার (৩৪), মফিজুর রহমান (৩০), ফজল হক (৪০), গিয়াস উদ্দিন (২৬), কাছেদ (১৯), আকিদ খান (৩৭), দিদারুল ইসলাম (৩৩), নাইম (১৯), হারুন (৪৪), ইয়াছিন (২৯), খলিলুর রহমান (২৫), ইকবাল হোসেন (২৪), শাহেদ (২২), হোসেন (২৭), আলী হোসেন (২৪), আব্দুল মান্নান (৪০), সোলায়মান (৩৮)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৩৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে নিহতের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি একজন ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’

এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।

মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়াল পথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়াল পথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্যেই মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্গাপুর সীমান্ত থেকে মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
জব্দ করা ফেনসিডিল। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা ফেনসিডিল। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা সীমান্ত থেকে ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। জব্দ করা এসব মাদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম কারুজ্জামান।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফান্দা নামক এলাকা থেকে এসব মাদক জব্দ করেন বিজিবির সদস্যরা।

বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ বিজিবির অধিনায়ক জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বারমারী বিওপির (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) ছয় সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১১৬২ নম্বর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফান্দা নামক এলাকা থেকে টহল দলটি মালিকবিহীন ২৬৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করতে সক্ষম হয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রীর মৃত্যু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে গত মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের এমপি পাড়ায় ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী শামীম মিয়া (৪২) গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের বেতগারড়া গ্রামের মাফু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক।

নিহত আজেদা বেগম উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে। আট বছর বয়সী ছেলে আতিক ও ১৬ বছর বয়সী মেয়ে সোনিয়াকে নিয়ে তাঁরা কোনোমতে জীবন যাপন করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভাবের সংসারে আজেদা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। শামীম হোটেলে কাজ করলেও নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্তি ও মোবাইল ফোনে জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত নারীর মৃত্যুর খবর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষকের সর্বনাশ: ভেজাল কীটনাশকের অভিযোগ

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর) 
উপজেলার তেরাইল-দেবীপুর মাঠের কৃষক মিরাজুল ইসলামের ক্ষতিগ্রস্ত জমি থেকে গতকাল সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার তেরাইল-দেবীপুর মাঠের কৃষক মিরাজুল ইসলামের ক্ষতিগ্রস্ত জমি থেকে গতকাল সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্তিকের এই সময়ে যখন কৃষকের মাঠভরা ধান দেখে আনন্দের নিশ্বাস ফেলার কথা, তখন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর-তেরাইল মাঠের রোপা আমনচাষি মিরাজুল ইসলামকে হতাশা নিয়েই ছুটতে হচ্ছে মাঠে। কারেন্ট পোকার (ঘাসফড়িং) আক্রমণে তাঁর দেড় বিঘা জমির ধান একেবারে শেষ হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে তেমন সঠিক কোনো দিকনির্দেশনাও পাইনি। কৃষি অফিস থেকে যদি সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যেত কোন কীটনাশক ব্যবহার করলে ভালো হবে, তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মজুরি খরচ, সার ও কীটনাশকের বাড়তি দামে কৃষকের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যেই আমনে কারেন্ট পোকার আক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পোকার আক্রমণে কৃষক মিরাজুল ইসলামের ধানের গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে শুধু খড় দেখা যাচ্ছে। যেটুকু আছে, তা-ও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় চাষি আব্দুল মজিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে থাইডন, বাসোডিনের মতো বিষ ছিল, যা প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ হতো। কিন্তু এখনকার বিষে কোনো কাজ হয় না, এগুলো ভেজালে পরিপূর্ণ। বিষ কোম্পানিগুলো আসলে কী বিষ দেয়? এভাবে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোথায় যাবে?’

আরেক ধানচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিরাজ নামের এই চাষির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বিচালি (খড়) করাও সম্ভব না। ধানের জমি খড়ের মতো হয়ে গেছে। এই মাঠে তার ধান অত্যন্ত সুন্দর হয়েছিল এবং সে তার ধানের প্রতি খুবই যত্নবান ছিল। সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত মিয়া বলেন, ‘রোপা আমন মৌসুমে স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের রোগ দেখা দেয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে এনেছি পুরোপুরি। বাজারে বিভিন্ন ভেজাল কীটনাশক রয়েছে। এর মধ্য থেকে আসলটা বাছাই করে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব উপসহকারী রয়েছে, তাদের বলা আছে কৃষকদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত