Ajker Patrika

নাশকতার অভিযোগে হাজীগঞ্জে ‘জামায়াতের ১১ নারী সদস্য’ কারাগারে

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
নাশকতার অভিযোগে হাজীগঞ্জে ‘জামায়াতের ১১ নারী সদস্য’ কারাগারে

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ১১ জন নারীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা প্রত্যেকে জামায়াতে ইসলামের সদস্য বলে দাবি পুলিশের। 

আজ সোমবার গএপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারের কিউসি (কাতার-কানাডা) টাওয়ারে ১১ তলার সাবেক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালামের ভাড়া বাসা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। 

এ তথ্য জানিয়েছেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ। 

গ্রেপ্তার নারীরা হলেন—হাজীগঞ্জ উপজেলা সদরের ফাতেমা বেগম (৪২), হাসিনা বেগম (৪৭), সালমা আহম্মদ (৩৮), কচুয়া উপজেলার নাছরিন খানম (৫২), শাহানা বেগম (৪৩), সাচার উপজেলার আঞ্জুমারা লাকি (৪০), শাহরাস্তি উপজেলার জেসমিন আক্তার (৪৮), নিহারা বেগম (৫৭), শিরিনা বেগম (৪২), মাসুদা বেগম (৪০) ও সেলিনা আক্তার (৪৩)। 

থানা–পুলিশ বলছে, কিউসি টাওয়ারের ১১ তলার ‘বি’ ব্লকে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন আসছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম। তিনি বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত ওই বাসায় জামায়াতের নারী সদস্যেরা আসা-যাওয়া করতেন এবং সেখানে গোপন বৈঠক করতেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসাসহ ভবনটি নজরদারিতে রাখে পুলিশ। গতকাল রোববার গোপন বৈঠক চলাকালে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলামসহ তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করেন। 

অভিযানে জামায়াতের ১১ নারী সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসা থেকে জামায়াতের মতাদর্শের বই, প্রচারপত্র, চাঁদা আদায়ের রসিদ বই ও দাওয়াতি কার্ডসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

এ বিষয়ে কিউসি টাওয়ারের ‘বি’ ব্লকের দারোয়ান মো. সিদ্দিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ওই বাসায় প্রায়ই বেশ কিছু মহিলা আসা-যাওয়া করতেন। তবে তাঁরা কি কারণে আসা-যাওয়া করতেন তা তিনি জানেন না। এখন ওই নারীদের আটক হওয়ার পর তিনি বিষয়টি জেনেছেন। 

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত ও আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের অনেক পরিকল্পনার কথা জানতে পারি। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত