কক্সবাজার প্রতিনিধি
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের একটি যৌথ কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ চলাচল দেখভাল করবে।
গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। ওই কমিটিতে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আহ্বায়ক এবং পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালককে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
এতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও টুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজারের প্রতিনিধি সদস্য থাকবেন।
ওই আদেশে পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যেতে কী কী নির্দেশনা মেনে চলতে হবে তা কমিটির কর্মপরিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের ভ্রমণ নিশ্চিত করা, জাহাজে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বহন না করার বিষয়টি কার্যকর করা, পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে জাহাজ ছাড়ার এবং দ্বীপে প্রবেশের পয়েন্টে নির্দেশনামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি পর্যটকেরা কোন হোটেলে অবস্থান করবেন তার তথ্য সংরক্ষণ ও নিবন্ধন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় সার্বিক বিষয় ও যোগাযোগ সমন্বয় করবে। কাজের সুবিধার্থে এ কমিটির আকার প্রয়োজনে বাড়াতে পারবে বলে জানানো হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন।
সম্প্রতি সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে পর্যটক নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৮ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসমা শাহীন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে, সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে পাঁচটি বিষয় কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সেন্ট মার্টিনে নৌযান বা জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিতে হবে। তারপর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ বা নৌযান চলাচলে অনুমতি দিতে পারবেন।
পরিপত্র অনুযায়ী নভেম্বর মাসে দ্বীপে পর্যটক গেলেও দিনেই ফিরে আসতে হবে। রাত যাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পর্যটকেরা সেন্ট মার্টিনে গিয়ে রাত যাপন করতে পারবেন। তবে পর্যটকের সংখ্যা দৈনিক দুই হাজারের বেশি হতে পারবে না। এ ছাড়া দ্বীপে রাতে আলো ব্যবহার, শব্দদূষণ এবং বারবিকিউ পার্টির মতো কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
এসব বিধিনিষেধ তুলে নিতে কয়েক দিন ধরে সেন্ট মার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নেমেছেন। সবশেষ গত মঙ্গলবার দ্বীপের হাজারো মানুষ কক্সবাজার শহরে এসে সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসন তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের একটি যৌথ কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ চলাচল দেখভাল করবে।
গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। ওই কমিটিতে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আহ্বায়ক এবং পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালককে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
এতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও টুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজারের প্রতিনিধি সদস্য থাকবেন।
ওই আদেশে পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যেতে কী কী নির্দেশনা মেনে চলতে হবে তা কমিটির কর্মপরিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের ভ্রমণ নিশ্চিত করা, জাহাজে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বহন না করার বিষয়টি কার্যকর করা, পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে জাহাজ ছাড়ার এবং দ্বীপে প্রবেশের পয়েন্টে নির্দেশনামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি পর্যটকেরা কোন হোটেলে অবস্থান করবেন তার তথ্য সংরক্ষণ ও নিবন্ধন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার কার্যালয় সার্বিক বিষয় ও যোগাযোগ সমন্বয় করবে। কাজের সুবিধার্থে এ কমিটির আকার প্রয়োজনে বাড়াতে পারবে বলে জানানো হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন।
সম্প্রতি সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে পর্যটক নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৮ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসমা শাহীন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে, সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে পাঁচটি বিষয় কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সেন্ট মার্টিনে নৌযান বা জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিতে হবে। তারপর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ বা নৌযান চলাচলে অনুমতি দিতে পারবেন।
পরিপত্র অনুযায়ী নভেম্বর মাসে দ্বীপে পর্যটক গেলেও দিনেই ফিরে আসতে হবে। রাত যাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পর্যটকেরা সেন্ট মার্টিনে গিয়ে রাত যাপন করতে পারবেন। তবে পর্যটকের সংখ্যা দৈনিক দুই হাজারের বেশি হতে পারবে না। এ ছাড়া দ্বীপে রাতে আলো ব্যবহার, শব্দদূষণ এবং বারবিকিউ পার্টির মতো কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
এসব বিধিনিষেধ তুলে নিতে কয়েক দিন ধরে সেন্ট মার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নেমেছেন। সবশেষ গত মঙ্গলবার দ্বীপের হাজারো মানুষ কক্সবাজার শহরে এসে সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসন তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
ভিডিও দেখা গেছে, গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা কয়েকজনকে হাতে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে আশপাশে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, ফুলপ্যান্ট ও হাফপ্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া স্পিডবোট নিয়ে তাদের অস্ত্র তাক করে আসতে দেখা যায়।
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁরা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁরা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে কাঁটা ঝুলিয়ে দেন।
৯ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে ১ কেজি ৪৩০ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেকোস্ট গার্ডের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিক ও তাঁর ছেলেসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঈদে নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে হস্তক্ষেপ করায় কোস্ট গার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে