Ajker Patrika

তুমরু সীমান্তে মুহুর্মুহু গোলার আওয়াজ, এবার এসে পড়ল গোলার খোসা

মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২: ০৯
তুমরু সীমান্তে মুহুর্মুহু গোলার আওয়াজ, এবার এসে পড়ল গোলার খোসা

নাইক্ষ‍্যংছড়ির তুমরু সীমান্তের ৩৫-৩৯ পিলারের বিপরীতে মিয়ানমারের সেনারা ব্যাপক গোলা বর্ষণ করেছে। বিশেষ করে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা আর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বেশি গোলা ছোড়ে তারা। এ সময়ের মধ্যে চার দফায় ১২টি রকেট লাঞ্চার শব্দ পাওয়া গেছে। বিকেল ৪টার একটি গোলার খোসা এসে পড়ে তুমরু কোনার পাড়ার সিএনজি অটোরিকশা চালক শাহ আলমের বাড়ির সামনে। সেটি কুড়িয়ে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা লোকজনের হাতে তুলে দিয়েছে পাড়ার শিশুরা। 

গোলাগুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তুমরু বাজার ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনাপাড়ার শাহ আলম জানান, মর্টার শেলের ছেয়ে ছোট আকারের গোলার খোসা কুড়িয়ে পাওয়ার পর তিনি চরম আতঙ্কে আছেন। গ্রামের লোকজনও আতঙ্কিত। 

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার বিকেলে বেশি গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায় ৩৭ নম্বর পিলারের বিপরীতে মন্ডু মেধাই এলাকায়। সেখানে ৪০ সদস্যের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমার সেনা বাহিনীর পোশাক পরিহিত লোকজনের একটি ক্যাম্প দখল করে নেয় বিকেল ৪টায়। এর পরপর এটি উদ্ধারে মিয়ানমার সেনারা পাল্টা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে। পাশাপাশি ১২টি রকেট লাঞ্চার ছোড়ে তারা। 

ঘুমধুমের ব‍্যবসায়ী সরোয়ার কামাল জানান, ঘুমধুমের ভাজাবুনিয়ার চাকপাড়া গ্রামের বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা ভয়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন। 

তুমরুর কোনার পাড়ার শাহ আলমের বাড়ির সামনে এসে পড়ে গোলার খোসা। ছবি: সংগৃহীতস্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগেকার বিস্ফোরণের শব্দের ধরন আর আজকের শব্দের ধরনে পার্থক্য রয়েছে। আজকের বিস্ফোরণের আওয়াজ ছিল আগের চাইতে বেশি তীব্র। 

এ বিষয়ে গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিস্ফোরণগুলো হলো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আর্টিলারি মর্টার শেল। 

যোগাযোগ করা হলে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, প্রতিদিনের মতো তিনিও লোকমুখে বিস্ফোরণের কথা শুনেছেন। 

এলাকার বাসিন্দা ফয়েজুর রহমান বলেন, আজ প্রায় একমাস যাবৎ সীমান্তঘেঁষা সবজির বাগানসহ জুমচাষ রয়েছে তাঁর। সীমান্তের চলমান সমস্যার কারণে খেতে যেতে পারছেন না। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত