নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে রুবেল নামে এক কারাবন্দীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ করে কারা প্রধান, ওসিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। আজ মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী পুরবী পালিত।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি চোলাই মদ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলা বোয়ালখালী থানা–পুলিশ আসামি রুবেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কারাগার থেকে রুবেলের মৃত্যুর খবর পান স্বজনেরা।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদীপক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদনটি জমা দিয়েছেন। কিন্তু আদালত এখনো আবেদন গ্রহণ করেননি। আদালত আগে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখবেন, তারপর প্রয়োজন হলে শুনানি হবে কিনা তা জানাবেন।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী অজয় ধর বলেন, ‘বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে গ্রহণযোগ্যতা শুনানির তারিখ দেবেন বলে আদালত মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়েছেন।’
মামলায় যাদের বিবাদী করতে আবেদন করা হয়েছে তাঁরা হলেন-বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন, একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম আবু মুসা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাঈন উদ্দিন, এএসআই মো. সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল কামাল ও আসাদুল্লাহ, এসআই রিজাউল জব্বার, ঘটনার দিন থানার ডিউটি অফিসার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন, জেলার মোহাম্মদ এমরান হোসেন মিঞা, ডেপুটি জেলার নওশাদ মিয়া, মো. আখেরুল ইসলাম, সুমাইয়া খাতুন ও ইব্রাহিম এবং কারাগারের পদ্মা ১৫ নম্বর ওয়ার্ড মাস্টার।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বোয়ালখালী থানা-পুলিশের একটি দল রুবেলকে (রুবেল দে) গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে থানা থেকে রুবেলের পরিবারকে ফোন দিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করা হয় এবং টাকা না দিলে রুবেলকে ৫০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধারের মামলা সাজিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে হুমকি দেয়।
কথামতো টাকা না দেওয়ায় ২৭ জানুয়ারি রুবেলকে ২০০ লিটার মদ উদ্ধার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত রুবেলকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। পরবর্তীতে ২ ফেব্রুয়ারি রুবেলকে তার স্বজনরা কারাগারে দেখতে যান। সেদিন তাকে হুইল চেয়ারে করে স্বজনদের সামনে আনা হয় এবং ওই দিন স্বজনরা রুবেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
এর কারণ জানতে চাইলে স্বজনদের তাড়িয়ে দিয়ে কারারক্ষীরা রুবেলকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ৪ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে রুবেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেন স্বজনেরা। এরই মধ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কারাগার থেকে খবর আসে রুবেল মারা গেছেন এবং তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুবেলকে চোলাই মদসহ গ্রেপ্তারের পরদিন আদালতে চালান করে দেওয়া হয়। কারাগারের নেওয়ার পর ওখানে কি হয়েছে তা আমরা জানি না। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ওসি বলেন, রুবেল মাদক ব্যবসার পাশাপাশি সে নিজে মাদক সেবন করত। এটা এলাকাবাসী সবাই জানে। শুনেছি কারাগারে থাকাকালে মাদক সেবন করতে না পারায় তাঁর শরীরে খিঁচুনি হয়েছিল। পরে হয়তো কোনো কারণে সে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, বোয়ালখালী এলাকার একপাশে পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর চোলাই মদ এই রুট দিয়ে আসে। আমাদের কাজ অভিযান পরিচালনা করা। রুবেলকেও ঘটনার সময় চোলাই মদসহ আটক করা হয়েছিল। পরে এ বিষয়ে কথা বলেতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও জেলারের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রামে রুবেল নামে এক কারাবন্দীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ করে কারা প্রধান, ওসিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। আজ মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী পুরবী পালিত।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি চোলাই মদ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলা বোয়ালখালী থানা–পুলিশ আসামি রুবেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কারাগার থেকে রুবেলের মৃত্যুর খবর পান স্বজনেরা।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদীপক্ষ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদনটি জমা দিয়েছেন। কিন্তু আদালত এখনো আবেদন গ্রহণ করেননি। আদালত আগে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখবেন, তারপর প্রয়োজন হলে শুনানি হবে কিনা তা জানাবেন।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী অজয় ধর বলেন, ‘বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে গ্রহণযোগ্যতা শুনানির তারিখ দেবেন বলে আদালত মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়েছেন।’
মামলায় যাদের বিবাদী করতে আবেদন করা হয়েছে তাঁরা হলেন-বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন, একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম আবু মুসা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাঈন উদ্দিন, এএসআই মো. সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল কামাল ও আসাদুল্লাহ, এসআই রিজাউল জব্বার, ঘটনার দিন থানার ডিউটি অফিসার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন, জেলার মোহাম্মদ এমরান হোসেন মিঞা, ডেপুটি জেলার নওশাদ মিয়া, মো. আখেরুল ইসলাম, সুমাইয়া খাতুন ও ইব্রাহিম এবং কারাগারের পদ্মা ১৫ নম্বর ওয়ার্ড মাস্টার।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বোয়ালখালী থানা-পুলিশের একটি দল রুবেলকে (রুবেল দে) গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে থানা থেকে রুবেলের পরিবারকে ফোন দিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করা হয় এবং টাকা না দিলে রুবেলকে ৫০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধারের মামলা সাজিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে হুমকি দেয়।
কথামতো টাকা না দেওয়ায় ২৭ জানুয়ারি রুবেলকে ২০০ লিটার মদ উদ্ধার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত রুবেলকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। পরবর্তীতে ২ ফেব্রুয়ারি রুবেলকে তার স্বজনরা কারাগারে দেখতে যান। সেদিন তাকে হুইল চেয়ারে করে স্বজনদের সামনে আনা হয় এবং ওই দিন স্বজনরা রুবেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
এর কারণ জানতে চাইলে স্বজনদের তাড়িয়ে দিয়ে কারারক্ষীরা রুবেলকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ৪ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে রুবেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেন স্বজনেরা। এরই মধ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কারাগার থেকে খবর আসে রুবেল মারা গেছেন এবং তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুবেলকে চোলাই মদসহ গ্রেপ্তারের পরদিন আদালতে চালান করে দেওয়া হয়। কারাগারের নেওয়ার পর ওখানে কি হয়েছে তা আমরা জানি না। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ওসি বলেন, রুবেল মাদক ব্যবসার পাশাপাশি সে নিজে মাদক সেবন করত। এটা এলাকাবাসী সবাই জানে। শুনেছি কারাগারে থাকাকালে মাদক সেবন করতে না পারায় তাঁর শরীরে খিঁচুনি হয়েছিল। পরে হয়তো কোনো কারণে সে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, বোয়ালখালী এলাকার একপাশে পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর চোলাই মদ এই রুট দিয়ে আসে। আমাদের কাজ অভিযান পরিচালনা করা। রুবেলকেও ঘটনার সময় চোলাই মদসহ আটক করা হয়েছিল। পরে এ বিষয়ে কথা বলেতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও জেলারের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে রিসিভ না করায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে