সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

‘পাহাড় ভাঙ্গি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙ্গি পড়ি মরণ অইলেও আঁরার যাইবার কোনো জায়গা নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা আসমা বেগম। ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরের জোয়ারে তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি পাহাড়ের পাড়ে থাকছেন।
শুধু আসমা বেগম নন। যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যুঝুঁকি জেনেও সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে প্রায় ২০ হাজার পরিবার বসবাস করছে। একটানা বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নিরাপদ স্থানে সরে যাননি পাহাড়ে বসবাসরত লোকজন। প্রাণ সংশয়ে থাকা লোকজন আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করলেও নিজ বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন তাঁরা।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে বর্ষা মৌসুম শুরুর পর পাহাড়ধসের আশঙ্কায় কয়েক দফা মাইকিং করে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করলেও এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেননি কেউ। পাহাড়ের বসতি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জায়গা না থাকায় মৃত্যুর ভয় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করছেন তাঁরা।
বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যানে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা, পৌর সদর, কুমিরা, সলিমপুর ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ২৪৪ একর বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার একর জায়গা বেদখলে। অবৈধ দখল হওয়া জায়গার ওপর প্রায় ২০ হাজার পরিবার ঘরবাড়ি তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে।
একইভাবে পৌর সদর, কুমিরা ও সোনাইছড়ির পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক আদিবাসী পরিবার। ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ স্থান হিসেবে উপকূলীয় এলাকার লোকজনও এ পাহাড়ে বসতি স্থাপন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর, সোনাইছড়ি, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বারৈয়ারঢালা, লতিফপুর, ছোট দারোগারহাট ও বাড়বকুণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্প, সীতাকুণ্ড পৌর সদর এলাকায় পাহাড়ের টিলায় ও ঢালুতে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছেন লোকজন। এ ছাড়া লতিফপুর, সলিমপুর ও কুমিরা এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছেন অনেকেই।
এখানে বসবাস করা ব্যক্তিদের অধিকাংশই দিনমজুর, রিকশাচালক, স্থানীয় জুটমিল-টেক্সটাইল মিলের কর্মচারী ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করা লোকজন। বর্ষায় পাহাড়ধসের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার্থে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও পাহাড় থেকে সরতে রাজি নন তাঁরা। তাঁরা পাহাড়ের ঢাল কেটে টিন, শণ ও বাঁশ দিয়ে ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। আবার অনেকে মাটির দেয়াল দিয়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি গড়ে তোলা এসব লোকজনকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ প্রশাসন নিচ্ছে না। কেবল ভারী বৃষ্টি শুরু হলে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করেই দায় সারে।
কুমিরার সুলতানা মন্দির এলাকার ত্রিপুরাপল্লির মানিক ত্রিপুরা বলেন, ১৯৭২ সালে তাঁরা ছোটকুমিরা এলাকা থেকে এসে সুলতানা মন্দির এলাকায় পাহাড়ে বসবাস করতে শুরু করেন। কয়েক বছর আগে জরিপ করার সময় তাঁদের জন্য ভূমির বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়। কিন্তু কিছুই হয়নি।
দক্ষিণ সোনাইছড়ি পাহাড়ের বাসিন্দা কাঞ্চন ত্রিপুরা এ প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, পাহাড়ধসে প্রাণ গেলেও কী করার আছে? সরকার যত দিন ভূমির ব্যবস্থা করবে না, তত দিন ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হবে।
জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি শুরু হলে সরকারের লোকজন মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেন। ধসে পড়ার আশঙ্কায় তাঁদের পাহাড় ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু কোথায় যাবেন তাঁরা। কে জায়গা দেবে তাঁদের।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নে পাহাড়ে বসবাসরত ৬৫টি পরিবারই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব পরিবারকে সমতলে পুনর্বাসন করা দরকার। অব্যবহৃত ও খাসজমিতে তাঁদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে যেকোনো সময় পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই মাইকিং করা হয়েছে। তবে কোনো পরিবার পাহাড়ের বসতি ছেড়ে অন্যত্র গেছে তা আমার জানা নেই।’

‘পাহাড় ভাঙ্গি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙ্গি পড়ি মরণ অইলেও আঁরার যাইবার কোনো জায়গা নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা আসমা বেগম। ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরের জোয়ারে তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি পাহাড়ের পাড়ে থাকছেন।
শুধু আসমা বেগম নন। যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যুঝুঁকি জেনেও সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে প্রায় ২০ হাজার পরিবার বসবাস করছে। একটানা বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নিরাপদ স্থানে সরে যাননি পাহাড়ে বসবাসরত লোকজন। প্রাণ সংশয়ে থাকা লোকজন আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করলেও নিজ বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন তাঁরা।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে বর্ষা মৌসুম শুরুর পর পাহাড়ধসের আশঙ্কায় কয়েক দফা মাইকিং করে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করলেও এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেননি কেউ। পাহাড়ের বসতি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জায়গা না থাকায় মৃত্যুর ভয় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করছেন তাঁরা।
বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যানে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা, পৌর সদর, কুমিরা, সলিমপুর ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ২৪৪ একর বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার একর জায়গা বেদখলে। অবৈধ দখল হওয়া জায়গার ওপর প্রায় ২০ হাজার পরিবার ঘরবাড়ি তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে।
একইভাবে পৌর সদর, কুমিরা ও সোনাইছড়ির পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক আদিবাসী পরিবার। ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ স্থান হিসেবে উপকূলীয় এলাকার লোকজনও এ পাহাড়ে বসতি স্থাপন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর, সোনাইছড়ি, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বারৈয়ারঢালা, লতিফপুর, ছোট দারোগারহাট ও বাড়বকুণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্প, সীতাকুণ্ড পৌর সদর এলাকায় পাহাড়ের টিলায় ও ঢালুতে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছেন লোকজন। এ ছাড়া লতিফপুর, সলিমপুর ও কুমিরা এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছেন অনেকেই।
এখানে বসবাস করা ব্যক্তিদের অধিকাংশই দিনমজুর, রিকশাচালক, স্থানীয় জুটমিল-টেক্সটাইল মিলের কর্মচারী ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করা লোকজন। বর্ষায় পাহাড়ধসের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার্থে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও পাহাড় থেকে সরতে রাজি নন তাঁরা। তাঁরা পাহাড়ের ঢাল কেটে টিন, শণ ও বাঁশ দিয়ে ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। আবার অনেকে মাটির দেয়াল দিয়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি গড়ে তোলা এসব লোকজনকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ প্রশাসন নিচ্ছে না। কেবল ভারী বৃষ্টি শুরু হলে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করেই দায় সারে।
কুমিরার সুলতানা মন্দির এলাকার ত্রিপুরাপল্লির মানিক ত্রিপুরা বলেন, ১৯৭২ সালে তাঁরা ছোটকুমিরা এলাকা থেকে এসে সুলতানা মন্দির এলাকায় পাহাড়ে বসবাস করতে শুরু করেন। কয়েক বছর আগে জরিপ করার সময় তাঁদের জন্য ভূমির বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়। কিন্তু কিছুই হয়নি।
দক্ষিণ সোনাইছড়ি পাহাড়ের বাসিন্দা কাঞ্চন ত্রিপুরা এ প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, পাহাড়ধসে প্রাণ গেলেও কী করার আছে? সরকার যত দিন ভূমির ব্যবস্থা করবে না, তত দিন ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হবে।
জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি শুরু হলে সরকারের লোকজন মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেন। ধসে পড়ার আশঙ্কায় তাঁদের পাহাড় ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু কোথায় যাবেন তাঁরা। কে জায়গা দেবে তাঁদের।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নে পাহাড়ে বসবাসরত ৬৫টি পরিবারই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব পরিবারকে সমতলে পুনর্বাসন করা দরকার। অব্যবহৃত ও খাসজমিতে তাঁদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে যেকোনো সময় পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই মাইকিং করা হয়েছে। তবে কোনো পরিবার পাহাড়ের বসতি ছেড়ে অন্যত্র গেছে তা আমার জানা নেই।’


সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় উল্টো পথে গাড়ি চালানোর সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় রাজু আহমেদ (৩৫) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের পূর্ব পাশে ধোপাকান্তি ওভারব্রিজের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু আহমেদ উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার...
৮ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে সংঘর্ষে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বিকেলে নিহত মণ্ডল গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
১২ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার ইবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গঠনতন্ত্রটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
১৮ মিনিট আগে
গাছিরা বর্তমানে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এটিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘গাছ তোলা’ বা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা। এই প্রক্রিয়ায় গাছ পরিষ্কার করা হয়। প্রাথমিক পরিচর্যার এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাঁছ দিয়ে নলি ও গুজা (রস সংগ্রহের যন্ত্রাংশ) লাগানো হবে।
৪৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় উল্টো পথে গাড়ি চালানোর সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় রাজু আহমেদ (৩৫) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের পূর্ব পাশে ধোপাকান্তি ওভারব্রিজের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু আহমেদ উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়া শিকার গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এই দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত রাজু আহমেদ পাবনা রুট থেকে ভ্যান নিয়ে উল্টো পথে ঢাকা রুটের পাঁচলিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় উল্টো পথে গাড়ি চালানোর সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় রাজু আহমেদ (৩৫) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের পূর্ব পাশে ধোপাকান্তি ওভারব্রিজের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু আহমেদ উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়া শিকার গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এই দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত রাজু আহমেদ পাবনা রুট থেকে ভ্যান নিয়ে উল্টো পথে ঢাকা রুটের পাঁচলিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


পাহাড় ভাঙ্গি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙ্গি পড়ি মরন অইলেও আঁরার যাইবার কোন জায়গা নাই।’ –এসব কথা বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা আসমা বেগম। ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝরের সময় সাগরের জোয়ারে তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি পাহাড়ে
৩০ জুলাই ২০২১
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে সংঘর্ষে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বিকেলে নিহত মণ্ডল গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
১২ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার ইবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গঠনতন্ত্রটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
১৮ মিনিট আগে
গাছিরা বর্তমানে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এটিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘গাছ তোলা’ বা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা। এই প্রক্রিয়ায় গাছ পরিষ্কার করা হয়। প্রাথমিক পরিচর্যার এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাঁছ দিয়ে নলি ও গুজা (রস সংগ্রহের যন্ত্রাংশ) লাগানো হবে।
৪৩ মিনিট আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে সংঘর্ষে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বিকেলে নিহত মণ্ডল গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে পদ্মার চরে অভিযান শুরু করেন। তবে তাঁরা এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি।

গত সোমবার সকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মণ্ডল গ্রুপ ও দৌলতপুরের প্রকৌশলী কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলিতে উভয় পক্ষের তিনজন নিহত হন। তাঁরা হলেন মণ্ডল গ্রুপের আমান মণ্ডল (৩৬), নাজমুল মণ্ডল (২৬) এবং কাকন বাহিনীর লিটন আলী ঘোষ (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর মরিচা ইউনিয়নের প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি পূর্ববিরোধের জেরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিগত সময়ে কাকন বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এমন মানুষকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা হাটখোলাপাড়া এলাকার মৃত আলিম সরদারের ছেলে উজ্জ্বল সরদার (৪৫) ও তাঁর ভাই রফিকুল সরদারকে (৪৩) মামলার দুই ও তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উজ্জ্বল সরদারের ভাই হিসাব সরদার বলেন, উজ্জ্বল সরদার দৌলতপুরে নদীভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল ওই কাজ বন্ধ বা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পরিকল্পিতভাবে উজ্জ্বল ও রফিকুলকে মামলায় ফাঁসিয়েছে।
উজ্জ্বল সরদার বলেন, ‘আমি একজন ঠিকাদার। নদীভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছি। একজন সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা কাজটি বন্ধ করতে প্রতিপক্ষকে দিয়ে আমাদের দুই ভাইকে আসামি করিয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম। এর সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। কাকন বাহিনীর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
মামলার বাদী নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তাঁর ছেলে, অন্যজন ভাগনে। নিরীহ লোকজনকে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘২০০৩-২০০৪ সালের দিকে কাকন বাহিনীর (তৎকালীন পান্না বাহিনী) হাতে উজ্জ্বলের পরিবারও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন তাঁর দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়। উজ্জ্বল সরদারের মতো একজন লোক পদ্মার চরে গিয়ে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাবে, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘তদন্তে যাঁদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হবে, শুধু তাঁরাই গ্রেপ্তার হবেন। যাঁরা নির্দোষ, তাঁরা অবশ্যই অব্যাহতি পাবেন।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে সংঘর্ষে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বিকেলে নিহত মণ্ডল গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে পদ্মার চরে অভিযান শুরু করেন। তবে তাঁরা এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি।

গত সোমবার সকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মণ্ডল গ্রুপ ও দৌলতপুরের প্রকৌশলী কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলিতে উভয় পক্ষের তিনজন নিহত হন। তাঁরা হলেন মণ্ডল গ্রুপের আমান মণ্ডল (৩৬), নাজমুল মণ্ডল (২৬) এবং কাকন বাহিনীর লিটন আলী ঘোষ (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর মরিচা ইউনিয়নের প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি পূর্ববিরোধের জেরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিগত সময়ে কাকন বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এমন মানুষকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা হাটখোলাপাড়া এলাকার মৃত আলিম সরদারের ছেলে উজ্জ্বল সরদার (৪৫) ও তাঁর ভাই রফিকুল সরদারকে (৪৩) মামলার দুই ও তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উজ্জ্বল সরদারের ভাই হিসাব সরদার বলেন, উজ্জ্বল সরদার দৌলতপুরে নদীভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল ওই কাজ বন্ধ বা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পরিকল্পিতভাবে উজ্জ্বল ও রফিকুলকে মামলায় ফাঁসিয়েছে।
উজ্জ্বল সরদার বলেন, ‘আমি একজন ঠিকাদার। নদীভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছি। একজন সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা কাজটি বন্ধ করতে প্রতিপক্ষকে দিয়ে আমাদের দুই ভাইকে আসামি করিয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম। এর সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। কাকন বাহিনীর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
মামলার বাদী নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তাঁর ছেলে, অন্যজন ভাগনে। নিরীহ লোকজনকে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘২০০৩-২০০৪ সালের দিকে কাকন বাহিনীর (তৎকালীন পান্না বাহিনী) হাতে উজ্জ্বলের পরিবারও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন তাঁর দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়। উজ্জ্বল সরদারের মতো একজন লোক পদ্মার চরে গিয়ে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাবে, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘তদন্তে যাঁদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হবে, শুধু তাঁরাই গ্রেপ্তার হবেন। যাঁরা নির্দোষ, তাঁরা অবশ্যই অব্যাহতি পাবেন।’


পাহাড় ভাঙ্গি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙ্গি পড়ি মরন অইলেও আঁরার যাইবার কোন জায়গা নাই।’ –এসব কথা বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা আসমা বেগম। ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝরের সময় সাগরের জোয়ারে তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি পাহাড়ে
৩০ জুলাই ২০২১
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় উল্টো পথে গাড়ি চালানোর সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় রাজু আহমেদ (৩৫) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের পূর্ব পাশে ধোপাকান্তি ওভারব্রিজের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু আহমেদ উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার...
৮ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার ইবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গঠনতন্ত্রটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
১৮ মিনিট আগে
গাছিরা বর্তমানে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এটিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘গাছ তোলা’ বা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা। এই প্রক্রিয়ায় গাছ পরিষ্কার করা হয়। প্রাথমিক পরিচর্যার এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাঁছ দিয়ে নলি ও গুজা (রস সংগ্রহের যন্ত্রাংশ) লাগানো হবে।
৪৩ মিনিট আগেইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় পাস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সভায় গঠনতন্ত্রটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সিন্ডিকেট।
আজ শুক্রবার ইবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গঠনতন্ত্রটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার পর এটি অর্ডিন্যান্স আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ২৫টি পদ থাকবে। এর মধ্যে ২৩টি নির্বাচিত পদ। অন্যদিকে প্রতিটি হল সংসদে থাকবে ১৫টি পদ, যার মধ্যে ১৩টি নির্বাচিত পদ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় পাস হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সভায় গঠনতন্ত্রটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সিন্ডিকেট।
আজ শুক্রবার ইবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গঠনতন্ত্রটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার পর এটি অর্ডিন্যান্স আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ২৫টি পদ থাকবে। এর মধ্যে ২৩টি নির্বাচিত পদ। অন্যদিকে প্রতিটি হল সংসদে থাকবে ১৫টি পদ, যার মধ্যে ১৩টি নির্বাচিত পদ নির্ধারণ করা হয়েছে।


পাহাড় ভাঙ্গি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙ্গি পড়ি মরন অইলেও আঁরার যাইবার কোন জায়গা নাই।’ –এসব কথা বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা আসমা বেগম। ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝরের সময় সাগরের জোয়ারে তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি পাহাড়ে
৩০ জুলাই ২০২১
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় উল্টো পথে গাড়ি চালানোর সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় রাজু আহমেদ (৩৫) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের পূর্ব পাশে ধোপাকান্তি ওভারব্রিজের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু আহমেদ উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার...
৮ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে সংঘর্ষে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বিকেলে নিহত মণ্ডল গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
১২ মিনিট আগে
গাছিরা বর্তমানে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এটিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘গাছ তোলা’ বা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা। এই প্রক্রিয়ায় গাছ পরিষ্কার করা হয়। প্রাথমিক পরিচর্যার এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাঁছ দিয়ে নলি ও গুজা (রস সংগ্রহের যন্ত্রাংশ) লাগানো হবে।
৪৩ মিনিট আগেপাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। আর এই সময়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় অযত্ন-অবহেলায়পড়ে থাকা খেজুরগাছের কদর বেড়ে যায় বহুগুণ। পিঠাপুলি ও সুস্বাদু গুড়ের প্রধান উপকরণ খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য এখন চরম ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে এই এলাকার গাছিদের মধ্যে।
গাছিরা বর্তমানে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এটিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘গাছ তোলা’ বা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা। এই প্রক্রিয়ায় গাছ পরিষ্কার করা হয়। প্রাথমিক পরিচর্যার এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাঁছ দিয়ে নলি ও গুজা (রস সংগ্রহের যন্ত্রাংশ) লাগানো হবে।
পাটকেলঘাটার বিভিন্ন গ্রামে, বিশেষ করে রাস্তার পাশে এখন খেজুরগাছ তোলা ও চাঁছার দৃশ্য চোখে পড়ছে। এই রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড় ও পাটালি তৈরির উৎসব।
খলিষখালীর বাগমারা গ্রামের গাছি আব্দুস সবুর জানান, তিনি অনেক বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। বর্তমানে শীত এলে রসের চাহিদা ভালো থাকে, তাই তাঁদের উপার্জনও ভালো হয়।
জুজখোলা গ্রামের মধু মোড়ল জানান, একটি গাছ তোলা থেকে রস সংগ্রহ পর্যন্ত গাছিকে ১৫০ টাকা দিতে হয়। বর্তমানে এক ভাঁড় রস ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
গাছি শওকাত আলী খাঁ ও সুরোত আলী জানান, এক ভাঁড় রস জ্বালানোর পর তাতে প্রায় এক কেজি গুড় বা পাটালি হয়, যার বাজারমূল্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
একদিকে যখন গাছিরা ব্যস্ত, অন্যদিকে তখন খেজুরবাগান কমে আসার দৃশ্য চোখে পড়ছে। এখন আর আগের মতো মাঠজুড়ে খেজুরবাগান দেখা যায় না। রস জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী ‘বান’-এর (চুলা) সংখ্যাও নিতান্তই কম। ফলে নলেন গুড় ও পাটালি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।
পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাব্বির হোসেন এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইট পোড়ানোর কাজে এলাকার খেজুরগাছ নিধন হচ্ছে। যার প্রভাব পরিবেশের ওপর পড়ছে। এ ব্যাপারে পরিবেশবিদদের সুদৃষ্টি কামনা করি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য গাছের পরিচর্যা করছেন এবং রস সংগ্রহের জন্য নানান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। আর এই সময়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় অযত্ন-অবহেলায়পড়ে থাকা খেজুরগাছের কদর বেড়ে যায় বহুগুণ। পিঠাপুলি ও সুস্বাদু গুড়ের প্রধান উপকরণ খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য এখন চরম ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে এই এলাকার গাছিদের মধ্যে।
গাছিরা বর্তমানে খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এটিকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘গাছ তোলা’ বা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা। এই প্রক্রিয়ায় গাছ পরিষ্কার করা হয়। প্রাথমিক পরিচর্যার এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে চাঁছ দিয়ে নলি ও গুজা (রস সংগ্রহের যন্ত্রাংশ) লাগানো হবে।
পাটকেলঘাটার বিভিন্ন গ্রামে, বিশেষ করে রাস্তার পাশে এখন খেজুরগাছ তোলা ও চাঁছার দৃশ্য চোখে পড়ছে। এই রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড় ও পাটালি তৈরির উৎসব।
খলিষখালীর বাগমারা গ্রামের গাছি আব্দুস সবুর জানান, তিনি অনেক বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। বর্তমানে শীত এলে রসের চাহিদা ভালো থাকে, তাই তাঁদের উপার্জনও ভালো হয়।
জুজখোলা গ্রামের মধু মোড়ল জানান, একটি গাছ তোলা থেকে রস সংগ্রহ পর্যন্ত গাছিকে ১৫০ টাকা দিতে হয়। বর্তমানে এক ভাঁড় রস ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
গাছি শওকাত আলী খাঁ ও সুরোত আলী জানান, এক ভাঁড় রস জ্বালানোর পর তাতে প্রায় এক কেজি গুড় বা পাটালি হয়, যার বাজারমূল্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
একদিকে যখন গাছিরা ব্যস্ত, অন্যদিকে তখন খেজুরবাগান কমে আসার দৃশ্য চোখে পড়ছে। এখন আর আগের মতো মাঠজুড়ে খেজুরবাগান দেখা যায় না। রস জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী ‘বান’-এর (চুলা) সংখ্যাও নিতান্তই কম। ফলে নলেন গুড় ও পাটালি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।
পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাব্বির হোসেন এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইট পোড়ানোর কাজে এলাকার খেজুরগাছ নিধন হচ্ছে। যার প্রভাব পরিবেশের ওপর পড়ছে। এ ব্যাপারে পরিবেশবিদদের সুদৃষ্টি কামনা করি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য গাছের পরিচর্যা করছেন এবং রস সংগ্রহের জন্য নানান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।


পাহাড় ভাঙ্গি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙ্গি পড়ি মরন অইলেও আঁরার যাইবার কোন জায়গা নাই।’ –এসব কথা বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা আসমা বেগম। ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝরের সময় সাগরের জোয়ারে তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি পাহাড়ে
৩০ জুলাই ২০২১
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় উল্টো পথে গাড়ি চালানোর সময় অজ্ঞাতনামা একটি দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় রাজু আহমেদ (৩৫) নামের এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের পূর্ব পাশে ধোপাকান্তি ওভারব্রিজের নিচে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু আহমেদ উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার...
৮ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে সংঘর্ষে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বিকেলে নিহত মণ্ডল গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
১২ মিনিট আগে
আজ শুক্রবার ইবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গঠনতন্ত্রটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয়েছে। এখন ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
১৮ মিনিট আগে