আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
পাহাড়ে নানা জাতের আমের ফলন হয়। কিন্তু এবার দৃশ্য ভিন্ন। বৃষ্টির দেখা নেই এখনো। খরায় ঝরে যাচ্ছে মুকুল। এ নিয়ে আমচাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাঁরা বলছেন, মুকুল আসার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে এবার আমের ফলনে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
আমচাষিরা বলছেন, তীব্র খরায় উঁচু টিলার মাটিতে পা রাখাও দায়! খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার আমবাগানগুলোর কয়েকটিতে নামকাওয়াস্তে গভীর নলকূপ থেকে গাছে পানি ছিটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে মাটি ভিজিয়ে গাছের গোড়া শীতল করা যাচ্ছে না। ফলে গত বছরের চেয়ে এবার আম উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, মানিকছড়িতে ৪৫০ হেক্টর টিলা এলাকাজুড়ে আমবাগান রয়েছে। এসব বাগানে এবার যথাসময়ে মুকুল এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মুকুল ঝরে যাচ্ছে। ঝরে যাচ্ছে আমের গুটিও। কয়েকটি বাগানে গভীর নলকূপ বা আশপাশের লেক থেকে পানি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না।
গত মঙ্গলবার উপজেলার কুমারী, চাইল্ল্যার চর এলাকায় কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানে নানা প্রজাতির আমগাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। কিন্তু সেগুলো থেকে আমের গুটি হয়েছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ। গাছের গোড়ায় অনেক আমের গুটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ সময় এফ কে অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আবদুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের ৩৩ একর টিলার এক-চতুর্থাংশে আম্রপালি, বারি-৪, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমন, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ব্ল্যাকস্টোন, ফজলি, মালিসহ নানা প্রজাতির ১ হাজার ৬০০ আমগাছে যথাসময়ে মুকুল এসেছিল। কিন্তু তীব্র খরায় বেশির ভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কৃষিবিদদের পরামর্শে নিয়মিত গাছের গোড়ায় পানি দিলেও কিছুতেই শীতল রাখা যাচ্ছে না। মুহুর্তেই শুকিয়ে যায়। তারপরও গাছে যে পরিমাণ ফল এখনো আছে, তা অক্ষত রাখার চেষ্টা করছি। তবে এবার সার্বিকভাবে পাহাড়ে ফলন বিপর্যয় হবে।’
এদিকে উপজেলার সবচেয়ে বড় আমবাগান শেম্প্রুপাড়ার তাহের গার্ডেনের মালিক মো. আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ২৯ একর বাগানে কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, চাকাপাত, সাথোইরাজ গাছে আসা মুকুলে ওষুধ ছিটানোতে কিছুটা গরমিল হওয়ায় এবার ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছি। পানি সেচের পর্যাপ্ত সুবিধা আমার আছে। গত বছর কালবৈশাখীতে মুকুলের কিছুটা ক্ষতি হলেও শেষমেশ বাজারদর ভালো থাকায় মোটামুটি লাভ হয়েছিল।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত মৌসুমে উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর বাগানে আম উৎপাদিত হয়েছিল প্রায় ২৯ হাজার টন। এবার তীব্র খরায় কিছুটা ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে যেসব বাগানমালিক পানি সেচ ও নিয়মিত ওষুধ স্প্রে করছেন, তাঁদের বাগানে ফলন ভালো হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বাগানমালিকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।
পাহাড়ে নানা জাতের আমের ফলন হয়। কিন্তু এবার দৃশ্য ভিন্ন। বৃষ্টির দেখা নেই এখনো। খরায় ঝরে যাচ্ছে মুকুল। এ নিয়ে আমচাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাঁরা বলছেন, মুকুল আসার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে এবার আমের ফলনে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
আমচাষিরা বলছেন, তীব্র খরায় উঁচু টিলার মাটিতে পা রাখাও দায়! খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার আমবাগানগুলোর কয়েকটিতে নামকাওয়াস্তে গভীর নলকূপ থেকে গাছে পানি ছিটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে মাটি ভিজিয়ে গাছের গোড়া শীতল করা যাচ্ছে না। ফলে গত বছরের চেয়ে এবার আম উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র বলেছে, মানিকছড়িতে ৪৫০ হেক্টর টিলা এলাকাজুড়ে আমবাগান রয়েছে। এসব বাগানে এবার যথাসময়ে মুকুল এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মুকুল ঝরে যাচ্ছে। ঝরে যাচ্ছে আমের গুটিও। কয়েকটি বাগানে গভীর নলকূপ বা আশপাশের লেক থেকে পানি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না।
গত মঙ্গলবার উপজেলার কুমারী, চাইল্ল্যার চর এলাকায় কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানে নানা প্রজাতির আমগাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। কিন্তু সেগুলো থেকে আমের গুটি হয়েছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ। গাছের গোড়ায় অনেক আমের গুটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ সময় এফ কে অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আবদুল মজিদ বলেন, ‘আমাদের ৩৩ একর টিলার এক-চতুর্থাংশে আম্রপালি, বারি-৪, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমন, হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ব্ল্যাকস্টোন, ফজলি, মালিসহ নানা প্রজাতির ১ হাজার ৬০০ আমগাছে যথাসময়ে মুকুল এসেছিল। কিন্তু তীব্র খরায় বেশির ভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কৃষিবিদদের পরামর্শে নিয়মিত গাছের গোড়ায় পানি দিলেও কিছুতেই শীতল রাখা যাচ্ছে না। মুহুর্তেই শুকিয়ে যায়। তারপরও গাছে যে পরিমাণ ফল এখনো আছে, তা অক্ষত রাখার চেষ্টা করছি। তবে এবার সার্বিকভাবে পাহাড়ে ফলন বিপর্যয় হবে।’
এদিকে উপজেলার সবচেয়ে বড় আমবাগান শেম্প্রুপাড়ার তাহের গার্ডেনের মালিক মো. আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ২৯ একর বাগানে কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, চাকাপাত, সাথোইরাজ গাছে আসা মুকুলে ওষুধ ছিটানোতে কিছুটা গরমিল হওয়ায় এবার ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছি। পানি সেচের পর্যাপ্ত সুবিধা আমার আছে। গত বছর কালবৈশাখীতে মুকুলের কিছুটা ক্ষতি হলেও শেষমেশ বাজারদর ভালো থাকায় মোটামুটি লাভ হয়েছিল।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত মৌসুমে উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর বাগানে আম উৎপাদিত হয়েছিল প্রায় ২৯ হাজার টন। এবার তীব্র খরায় কিছুটা ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে যেসব বাগানমালিক পানি সেচ ও নিয়মিত ওষুধ স্প্রে করছেন, তাঁদের বাগানে ফলন ভালো হবে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বাগানমালিকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। রোটেশন প্রথা ভেঙে এবার এই রুটে ১০ থেকে ১২টি লঞ্চ চলতে পারে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম দিনে যাত্রীর ওপর নির্ভর করে এই সংখ্যা চার থেকে ছয়টি হতে পারে। নৌযান কর্তৃপক্ষের আশা, যাত্রী উপস্থিতি বাড়বে ঈদের বিশেষ...
৫ ঘণ্টা আগেউজানের ঢল নেমে আসছে সিলেট অঞ্চলে। এতে অঞ্চলের কুশিয়ারা নদীতে পানি বাড়ছে। নদীটির ডাইকে (নদী রক্ষা বাঁধ) ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি ঢুকে পড়ছে গ্রামগুলোয়। এর ফলে প্রায় ১০০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মৌলভীবাজারে মনু নদের পানি বাঁধ উপচে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
৫ ঘণ্টা আগেপবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানী ঢাকায় বসেছে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাট। হাটগুলোতে দেশীয় গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়ার পাশাপাশি উঠেছে দুম্বা এবং উট। তবে বেচাকেনা তেমন শুরু হয়নি। এবার দেশীয় পশুতেই কোরবানির সক্ষমতার কথা জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এক যুগ আগেও...
৬ ঘণ্টা আগেরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেন্দ্র করে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার মননধর্মী সংগঠন খামখেয়ালি সভা ‘সন্জীদা খাতুন স্মরণাঞ্জলি’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক পুরোধা ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে...
৮ ঘণ্টা আগে