Ajker Patrika

মায়ের প্রেমিককে হত্যা, ১৫ মাস পর চার্জশিট

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ২০: ৩০
মায়ের প্রেমিককে হত্যা, ১৫ মাস পর চার্জশিট

মায়ের প্রেমিককে কুমিল্লায় খুন করে চট্টগ্রামের পটিয়ার জঙ্গলে ফেলে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রামের পটিয়া আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মনির হোসেন এটি দাখিল করেন। 

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, ভৈরবের ছাগাইয়া গ্রামের প্রেমিকা শিউলী বেগম (৪৫), তাঁর ছেলে আশরাফুল হক ওরফে সাব্বির (২৩), গাড়ি চালক মো. সুমন মিয়া (২১), হেলপার তুষার মিয়া (২২) ও আশিক মিয়া। এদের মধ্য তুষার ছাড়া বাকি চারজন বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আছেন। 

আসামি শিউলীর স্বামী মো. আনোয়ার হোসেন, জাকির মিয়া ও নাজমুল হোসেনকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই তিনজন খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। 

জানা গেছে, ভৈরবের ছাগাইয়া গ্রামের গৃহবধূ শিউলি বেগম আগানগর গ্রামের নবী হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শিউলির স্বামী আনোয়ার হোসেন সৌদিপ্রবাসী। প্রেমের সম্পর্ক থেকে নবী হোসেন শিউলিকে বিয়ে করেন। 

কিন্তু মায়ের সঙ্গে নবী হোসেনের প্রেম ও বিয়ের ঘটনাটি শিউলীর ছেলে সাব্বির মেনে নিতে পারেননি। ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর কৌশলে মায়ের প্রেমিক নবী হোসেনকে দাওয়াতের কথা বলে অপহরণ করেন সাব্বির। চলন্ত প্রাইভেটকারের ভেতর কুমিল্লায় গিয়ে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা দুজন। 

তারপর তার মরদেহ এনে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার একটি জঙ্গলে ফেলে তারা ভৈরব চলে যান। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুলিশ পটিয়া থেকে নবী হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে তাঁর পরিবারকে খবর দেয়। এরপর নিহতের ভাই কবির হোসেন মরদেহ শনাক্ত করে পটিয়া থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা করেন। 

পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে গত বছরের ৮ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সাব্বির (২৩) এবং তার মা শিউলী বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে মা-ছেলে দুজনই খুনের কথা স্বীকার করেন। 

এর আগে ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর প্রাইভেটকারের চালক আশিক ও হেলপার সুমনকে ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁরা দুজন চট্টগ্রাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার ঘটনাটি স্বীকার করেন। প্রায় ১৫ মাস তদন্তের পর গত বৃহস্পতিবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করল পুলিশ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত