Ajker Patrika

তেলভর্তি ১৬ ওয়াগন দাঁড়িয়ে ৯ দিন ধরে, ইঞ্জিনের দেখা নেই

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 
Thumbnail image
তেলের ওয়াগন। ফাইল ছবি

সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে পরিবহনের জন্য রেলের ১৬টি ওয়াগনে তেল ভরে রাখা হয়েছে। ইঞ্জিন এলেই ওয়াগনগুলো রওনা হবে গন্তব্যে। কিন্তু ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও আসেনি ইঞ্জিন। ফলে আজ শনিবারও ওয়াগনগুলো চট্টগ্রামের পতেঙ্গার গুপ্তখালে পড়ে আছে নিশ্চল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ১৭ জানুয়ারি ওয়াগনগুলোয় তেল ভর্তি করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রায় দুই লাখ লিটার পেট্রল, ডিজেল ও অকটেন রয়েছে এসব ওয়াগনে। রেলের ইঞ্জিন-সংকটের কারণে এসব জ্বালানি তেল পরিবহন আটকে আছে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আসিফ মালেক বলেন, রেলের ইঞ্জিন না পাঠানোয় ওয়াগনগুলো আটকে আছে।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম কোম্পানির প্রধান ডিপো পতেঙ্গার (গুপ্তখাল) ইনস্টলেশন ম্যানেজার (আইএম) আবুল মেরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জ্বালানি তেল লোড করে ১৬টি ওয়াগন ১৭ জানুয়ারি থেকে আছে। রেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের পাওয়ার (ইঞ্জিন) নেই। তাই ওয়াগনগুলো সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে পাঠানো যাচ্ছে না।

যমুনা অয়েলের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতি মাসে সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে ২০০টি ওয়াগন পাঠানো গেলে তেলের কোনো সংকট হয় না। কিন্তু রেলের ইঞ্জিন না থাকায় সময়মতো জ্বালানি তেল পাঠানো যায় না।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলের ইঞ্জিন-সংকটের কারণে প্রায়ই জ্বালানি তেল পরিবহন আটকে থাকে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান স্থাপনা থেকে সিলেট-শ্রীমঙ্গল, হাটহাজারী-দোহাজারী এবং রংপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল পাঠাতে খুবই সমস্যা হয়। রেল কর্তৃপক্ষ প্রায়ই বলে, তাদের ইঞ্জিন-সংকট রয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে বিপিসি ও রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল থেকে দফায় দফায় পত্র দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ওয়াহিদুর রহমান ইঞ্জিন-সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, রেলের পাওয়ার (ইঞ্জিন) নেই। তাই ওয়াগনগুলো সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে পাঠানো যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত