Ajker Patrika

‘দেশের সবচেয়ে লাভজনক’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ১৮: ৩২
‘দেশের সবচেয়ে লাভজনক’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে। দেশের সবচেয়ে লাভজনক কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ। বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

আজ বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেন বন্ধ রাখতে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে (ডিআরএম) চিঠি দিয়েছে রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগ। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটি চালু করেছিল কর্তৃপক্ষ। যাত্রী চাহিদা ও স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ট্রেনটি চালু রাখার সময়সীমা ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। 

কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি দেশের সবচেয়ে লাভজনক ছিল বলে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। 

পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ জানায়, ট্রেনটিতে প্রতি মাসে আয় ছিল ৬৫ লাখ টাকার বেশি, যা দেশে চলা অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন, সুবর্ণসহ অন্য আন্তনগর ট্রেনের সঙ্গে তুলনা করলে এই কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের আয় বেশি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে। ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ নির্মাণের পরে শুধু রাজধানীবাসীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজার দুটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জনগণ জমিজমা, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নদী-নালা, খাল-বিল বিলীন করে রেলপথের জায়গা জন্য ছেড়ে দিলেও এই ট্রেন সার্ভিস চালুর পর থেকে তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 

চট্টগ্রামের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) তারেক মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কক্সবাজার স্পেশাল ৯ / ১০ ঈদ উপলক্ষে মাত্র চলেছে ১৮ দিন। এই সময়ে ট্রেনটি থেকে আয় হয়েছে ৪২ লাখ টাকা। ট্রেনটি গত ৮ এপ্রিল থেকে চলাচল শুরু করে। ৮ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিলের (১১,১৫ ও ১৬ তারিখ বন্ধ ছিল) হিসেবে দেখা যায়, প্রতিদিনই যাত্রীদের চাপ ছিল। 

তারেক মো. ইমরান বলেন, চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রেনটি ১০ / ২০ লোড নিয়ে চলাচল করেছে। ট্রেনটিতে সিট ছিল ৪৩৮টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির সিট ৫৪টি, প্রথম শ্রেণির চেয়ার ৫৪ ও শোভন ৩৩০টি। এটি চট্টগ্রামের ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামুতে থামত। 

বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, গত মাসে (এপ্রিল) এই ট্রেনের আয় ছিল ৬৫ লাখ টাকা। যা অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে বেশি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্বাঞ্চল রেলের পাঁচজন কর্মকর্তা বলেন, এই ট্রেন চালানোর মতো সব রকমের প্রস্তুতি তাঁদের রয়েছে। তারপরও রেল কেন চালাচ্ছে না, সেটি তাঁরা বুঝতে পারছেন না। 

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আলাদা ট্রেন দরকার। অন্য কোনো ট্রেনকে চট্টগ্রামে স্টপেজ দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নিয়ে গেলে চট্টগ্রামের যাত্রীরা কোনো সুফলই পাবে না। কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি স্থায়ীভাবে চলাচল করলে চট্টগ্রামের মানুষ উপকৃত হবে বলে জানান তাঁরা। 

বন্ধের চিঠিতে, ইঞ্জিন ও কর্মী সংকটে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী একমাত্র ও বিশেষ ট্রেনটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে ট্রেন বন্ধ রাখতে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে (ডিআরএম) চিঠি দিয়েছে রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগ। ফলে বুধবার (২৯ মে) শেষবারের মতো জনপ্রিয় ট্রেনটি চলেছে। 

রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রেনটি না চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই।’ 

প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার রেলপথ গত বছরের ১১ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ডিসেম্বর থেকে দুই ধাপে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে দুটি বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন চালু করে রেলওয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সঞ্চয়পত্রের সার্ভারে জালিয়াতির অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা, একজন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্র সার্ভারে জালিয়াতি করে কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে অতিরিক্ত পরিচালক আবুল খায়ের মো. খালিদ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আরিফুর রহমান মিম ও আল আমিন। এর মধ্যে আরিফুর রহমানকে মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার আরিফুর রহমান পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাকি তিনজনের খোঁজে অভিযান চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ মারুফ এলাহী রনি একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা। আরিফুর রহমান মিম এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার গ্রাহক। বাকি দুজন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমে পরিচয় শনাক্তকারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জালিয়াতকারী চক্র জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এনএসসি সার্ভারে অননুমোদিতভাবে প্রবেশের পর গ্রাহকের তথ্য পরিবর্তন এবং সঞ্চয়পত্রের অর্থ অন্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইউজার আইডি ব্যবহার করে একাধিক সঞ্চয়পত্র নগদায়ন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চালায়।

গত ২৩ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে তিনটি সঞ্চয়পত্রের তথ্য পরিবর্তন করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের হিসাবে মোট ৭৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের চেষ্টা করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্রুত পদক্ষেপে ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করে সরকারি খাতে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মহা-হিসাব নিরীক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা এস এম রেজভীর নামে কেনা ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভুয়া প্রক্রিয়ায় নগদায়ন করে তা আরিফুর রহমান মিমের হিসাবে জমা হয়। পরে ঢাকার দুটি শাখা থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। যদিও তার লেনদেন সীমা ছিল ২ লাখ টাকা, কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে সেটি ১০ লাখ টাকায় বাড়ানো হয়।

একইভাবে রাজনৈতিক দলের সাবেক নেতা মারুফ এলাহী রনির নামে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের হিসাবে দুটি সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৫০ লাখ টাকা জমা হয়। উভয় সঞ্চয়পত্রই ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র। তবে সময়মতো জালিয়াতি ধরা পড়ায় টাকা উত্তোলনের আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা স্থগিত করে।

ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএফআইইউ ও এনআরবিসি ব্যাংক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংশ্লিষ্ট ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডধারী তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাঁদের ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও নগদায়ন বন্ধ রয়েছে। এদিকে বিএফআইইউ সন্দেহভাজন সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে, যাতে আর কোনো অর্থ লেনদেন করা না যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল গ্যাস সরবরাহ। পাইপলাইন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মধ্যে।

এর আগে বিকেলে সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকায় চার লেন মহাসড়ক প্রকল্পের কাজ করার সময় গ্যাস সরবরাহের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার গ্রাহক।

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিকুল হক জানান, মহাসড়কের নিচে থাকা গ্যাস সরবরাহের ৬ ইঞ্চি পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে গ্যাস লিকেজ হতে থাকলে দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। পরে বাখরাবাদের কারিগরি দল ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামত শেষে রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্তে ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা সীমান্তে ১৯ নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৯ জন নারী-পুরুষকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, আটজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. মোস্তফা ও বিএসএফের পক্ষে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ভবানীপুর নিউনিদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার দীপংকর সাহার নেতৃত্বে একটি দল।

ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা হলো মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত এসকেন তালুকদারের ছেলে ইমরান হোসেন, চাঁদপুর সদরের লোধের গাঁও গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন গাজীর মেয়ে নাসরিন বেগম, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পূর্বচিপা বারইখালী গ্রামের আলম শিকদারের ছেলে রেজাউল শিকদার ও তাঁর স্ত্রী তানজিলা বেগম, একই জেলার চরহোগলা বুনিয়া গ্রামের মো. রুস্তম আলী শেখের ছেলে শাহিন শামীম, সদর উপজেলার আতাইকাঠি গ্রামের মৃত দলিলুদ্দিন শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ, আবুল শেখের স্ত্রী রিমা বেগম, পিরোজপুর সদর উপজেলার মধ্য দুর্গাপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী সুখী বেগম ও তাঁর ছেলে আবু বক্কর (৫) এবং একই এলাকার আউয়াল হালদারের স্ত্রী নাসরিন।

আরও হলো বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের মৃত সোলেমান মাঝির ছেলে রিয়াজ মাঝি, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীর চর আমিরগঞ্জ গ্রামের সুলতান ব্যাপারীর ছেলে হাসান ব্যাপারী, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত গাহুর মৃধার ছেলে আলমগীর মৃধা ও তাঁর ছেলে খাইরুল মৃধা, একই এলাকার মৃত গাহুর মৃধার ছেলে জাকির মৃধা, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে লাবনী আক্তার, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চান্দ গ্রামের মৃত শওকত আলীর মেয়ে মোমেনা বেগম, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কদমতলার (গুসার গ্রাম) মৃত আতিয়ার রহমান শেখের মেয়ে অন্তরা শেখ (২৮) ও একই এলাকার মৃত আতিয়ার শেখের মেয়ে নাজমা খাতুন।

সূত্র জানায়, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এরপর তারা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজাও খেটেছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে বিষয়টি জানানো হলে তারা বাংলাদেশি কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হয়। আজ সীমান্ত পিলার ২১০৪/৭-এস-এর আওতাধীন এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ সমন্বয় বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ৮টায় বিজেপির পক্ষ থেকে ১৮ নারী-পুরুষ, একটি শিশুসহ ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে বিজিবি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।

এহছানুল হক মিলন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাঁর বিদেশযাত্রা স্থগিত করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তবে কেন বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি, তা নিজেও জানেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলে তার কাগজপত্র দেখাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা কিছুই দেখাননি। কেন এমন করা হলো, আমি বুঝতে পারিনি।’ তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মিলন। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে পরাজিত করে তিনি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসির তালিকায় যুক্ত নতুন নির্বাচনী প্রতীক ‘শাপলা কলি’

‘আমি আওয়ামী লীগ করি, এটাই অপরাধ’

প্রতারণার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গেছে এই সরকার: মান্না

সময়ক্ষেপণ করবেন না, আগামীকালের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করুন— প্রধান উপদেষ্টাকে জামায়াত

বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার কথা বলে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত