Ajker Patrika

২২ বছর পর সৌদি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফিরলেন মিজানুর, ফেসবুকে খুঁজে পেল পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২২ বছর পর সৌদি থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফিরলেন মিজানুর, ফেসবুকে খুঁজে পেল পরিবার

অবশেষে পরিবার খুঁজে পেলেন সৌদি ফেরত চট্টগ্রামের মিজানুর রহমান। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি দেখে দুবাইয়ে থাকা তাঁর এক ভাই পরিবারকে জানান। আজ রোববার রাতে ঢাকার আশকোনায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন সেন্টার থেকে তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান ও এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। 

মিজানুরের এক ভাই রেজাউল করিম ও আরেক আত্মীয় আমির হামজা তাঁকে নিয়ে রাতেই চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার জান্নাতুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি–১৩৬ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি এলোমেলোভাবে ঘুরছিলেন। তিনি স্বজনদের ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। কোথায় যাবেন বলতে পারছিলেন না। এ ধরনের ঘটনায় পরিবারের সন্ধান পেতে তাঁরা ব্র্যাকের সহায়তা নেন। মিজানুর রহমানকে তাঁর পরিবারের খোঁজ করার জন্য বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ গতকাল শনিবার ভোরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করে। আজ পরিবারের কাছে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পারায় ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানান তিনি। 

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, ‘মিজানুর শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। তাঁর বাম পায়ে গভীর ক্ষত। পাসপোর্টে জরুরি যে নম্বর দেওয়া আছে সেই নম্বরে ফোন করে আমরা জেনেছি সেটি পরিবারের কারও নম্বর নয়। বরং যে দালাল পাসপোর্ট করে দিয়েছিল তার নম্বর। চট্টগ্রামের পুলিশকে ছবি ও পাসপোর্টের বিস্তারিত জানাই। পরে ফেসবুকে তাঁর ছবি ও পাসপোর্টের ছবি দিয়ে পরিবারের খোঁজ করি। পরে দুবাই থেকে ওসমান গনি নামে একজন ফোন দিয়ে জানান মিজানুর তাঁদের ভাই।’

পাসপোর্ট অনুযায়ী মো. মিজানুর রহমানের বয়স ৫৭। বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি থানার ১২০ সদরঘাট রোড। বাবার নাম আব্দুল জব্বার, মা ফাতেমা বেগম, বোন আনোয়ারা।

পরিবারের সদস্যরা জানান, মিজানুর রহমান ২০০১ সালে সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে দেশে আসেননি। যোগাযোগও ছিল না। তিনি সেখানে গাড়ি চালাতেন। তাঁর দেশে আসার খবর পরিবার জানত না।

মিজানুরের আত্মীয় আমির হামজা জানান, দীর্ঘ দুই দশক ধরে মিজানুরের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ নেই। তাঁদের বাড়ি চকরিয়ার বদরখালী। ছেলের শোকে মিজানুরের বাবা মারা গেছেন। মা বেঁচে আছেন। তাঁরা ছয় ভাই। মিজানুরকে দেখার জন্য মা অস্থির হয়ে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জুলাই সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতেও প্রশ্ন তোলা যাবে না

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত