Ajker Patrika

রামু কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত কমিটি 

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪, ১৯: ১৬
রামু কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত কমিটি 

কক্সবাজারের রামু সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ হোছাইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাত দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রতীম বড়ুয়াকে প্রধান করে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হক, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ ম ম জহির ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হুমাইরা আকতারকে সদস্য করে চার সদস্যর এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম।

তবে জরুরি সভায় উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষকেরা বলেন, তাঁদের উপস্থিতিতে এ কমিটি গঠন করা হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষক হোছাইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভা আহ্বান করা হলেও প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় অধ্যক্ষের বক্তব্যে প্রাধান্য পেয়েছে, সৃষ্ট ঘটনার বিচারের দাবিতে কেন মানববন্ধন করা হয়েছে, কারা করেছে, এ কর্মসূচির পেছনে কার কার ইন্ধন রয়েছে, কে ব্যানার করেছে, কে পোস্টার করেছে এসব বিষয়। মূলত অভিযুক্ত শিক্ষক হোছাইন অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তাই তাঁকে বাঁচানোর কৌশল খুঁজছেন অধ্যক্ষ।

গত রোববার কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন করেন। এর আগে, গত ৭ মার্চ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কবিতা চত্বর এলাকা থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইনের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে রোববার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির পাশাপাশি ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া কলেজের অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনের পরদিন গতকাল সোমবার শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা ডাকেন অধ্যক্ষ। এ সভায় প্রায় ৩০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষকেরা জানান, কলেজে যেসব উন্নয়ন প্রকল্পে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে, এসব প্রকল্প হোছাইনকে দিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন অধ্যক্ষ। ফলে তদন্ত কমিটিও তিনি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।

তদন্ত কমিটি গঠনে জ্যেষ্ঠতা মেনে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম। তিনি বলেন, শতভাগ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম চালানোর জন্য কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। সরকারি বিধি মেনেই তদন্ত কার্যক্রম হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচানোর প্রশ্নই আসে না। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে শিক্ষককে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে আজ মঙ্গলবার থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তদন্ত কমিটির প্রধান সুপ্রতীম বড়ুয়া বলেন, এর মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকেও এ বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই কমিটি কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত