কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) তিন শীর্ষ কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার রাতে আশ্রয়শিবিরের কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন আরসার ওলামা বিভাগের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার মৌলভী হামিদ হোসেন প্রকাশ ডাক্তার হামিদ, অর্থ সমন্বয়ক আবু তৈয়ব প্রকাশ সোনা মিয়া এবং গোয়েন্দা সেলের কমান্ডার ওসমান গনি।
আজ সোমবার কক্সবাজার র্যাব–১৫ এর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র্যাবের অধিনায়ক লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
এ ছাড়া র্যাবের পৃথক আরেকটি অভিযানে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে তিন কেজি আফিমসহ এক মাদক কারবারি এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে আটক করেছে।
র্যাব অধিনায়ক লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার বেশ কয়েকজন কমান্ডার অবস্থান করছে। সেই সূত্র ধরে র্যাবের কয়েকটি টিম গতকাল রোববার রাতে কুতুপালং ১৭ ও ৪ নম্বর ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরসার তিন বিভাগীয় কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করে। তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে তিনটি বন্দুক, গুলি এবং বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন কমান্ডার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। তারা রোহিঙ্গা শিবিরে খুন, অপহরণ, মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, নাশকতাসহ নানা অপরাধে জড়িত। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওসমান গনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে অর্থ সংগ্রহ ও প্রতিবেশী দেশে গোয়েন্দা তথ্য পাচারসহ অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আরসার গোয়েন্দা টিমের কমান্ডার ওসমান গনি তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইংরেজি ভাষায় বেশ দক্ষ। সে আরসার তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়েও দেখভাল করত। এই সুযোগে সে ক্যাম্পে পরিচালিত এনজিও ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য আরসার শীর্ষ নেতাদের সরবরাহ করে। পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতির খবরাখবর পৌঁছাতো। তা ছাড়া বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধি নজর রাখত।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব এই পর্যন্ত তিনজনসহ ৭৬ জন আরসার বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডার ও সাধারণ সশস্ত্র সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ সোমবার ভোরে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল এলাকা থেকে ছয়জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাবের একটি দল। তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশে তৈরি এলজি, একটি একনলা বন্দুক, ছয় রাউন্ড কার্তুজসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
অপরদিকে র্যাবের আরেকটি দল গতকাল রোববার রাতে বান্দরবান-থানচি সড়কে অভিযান চালিয়ে তিন কেজি ২০০ গ্রাম আফিমসহ অনারমা ত্রিপুরা (৪৮) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে। এসব বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) তিন শীর্ষ কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার রাতে আশ্রয়শিবিরের কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন আরসার ওলামা বিভাগের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার মৌলভী হামিদ হোসেন প্রকাশ ডাক্তার হামিদ, অর্থ সমন্বয়ক আবু তৈয়ব প্রকাশ সোনা মিয়া এবং গোয়েন্দা সেলের কমান্ডার ওসমান গনি।
আজ সোমবার কক্সবাজার র্যাব–১৫ এর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র্যাবের অধিনায়ক লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
এ ছাড়া র্যাবের পৃথক আরেকটি অভিযানে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে তিন কেজি আফিমসহ এক মাদক কারবারি এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে আটক করেছে।
র্যাব অধিনায়ক লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার বেশ কয়েকজন কমান্ডার অবস্থান করছে। সেই সূত্র ধরে র্যাবের কয়েকটি টিম গতকাল রোববার রাতে কুতুপালং ১৭ ও ৪ নম্বর ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরসার তিন বিভাগীয় কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করে। তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে তিনটি বন্দুক, গুলি এবং বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন কমান্ডার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। তারা রোহিঙ্গা শিবিরে খুন, অপহরণ, মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, নাশকতাসহ নানা অপরাধে জড়িত। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওসমান গনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে অর্থ সংগ্রহ ও প্রতিবেশী দেশে গোয়েন্দা তথ্য পাচারসহ অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
লে কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আরসার গোয়েন্দা টিমের কমান্ডার ওসমান গনি তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইংরেজি ভাষায় বেশ দক্ষ। সে আরসার তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়েও দেখভাল করত। এই সুযোগে সে ক্যাম্পে পরিচালিত এনজিও ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তথ্য আরসার শীর্ষ নেতাদের সরবরাহ করে। পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতির খবরাখবর পৌঁছাতো। তা ছাড়া বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধি নজর রাখত।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব এই পর্যন্ত তিনজনসহ ৭৬ জন আরসার বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডার ও সাধারণ সশস্ত্র সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ সোমবার ভোরে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল এলাকা থেকে ছয়জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাবের একটি দল। তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশে তৈরি এলজি, একটি একনলা বন্দুক, ছয় রাউন্ড কার্তুজসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
অপরদিকে র্যাবের আরেকটি দল গতকাল রোববার রাতে বান্দরবান-থানচি সড়কে অভিযান চালিয়ে তিন কেজি ২০০ গ্রাম আফিমসহ অনারমা ত্রিপুরা (৪৮) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে। এসব বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
বক্তারা বলেন, জনসমক্ষে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন যুবককে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, এটি চরম বর্বরতা। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে দেশে এমন সহিংসতা চলতেই থাকবে।
৩৯ মিনিট আগেথানা-পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে সাব্বির রহমান বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। রাতে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে নাতিকে ভাসমান অবস্থায় দেখে চিৎকার করে উঠেন দাদা আছির উদ্দিন।
৪১ মিনিট আগেমিছিলে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, “ব্যবসায়ী সোহাগকে যেভাবে আদিম কায়দায় হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
৪৩ মিনিট আগেবিএনপি ত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে দলের রাজনৈতিক অবস্থান বামপন্থী ধাঁচে ধাবিত হচ্ছে। পাশাপাশি ইসলামপন্থী দল ও চিন্তাবিদদের প্রতি দলের নেতিবাচক মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা তাঁর ভাষায় "চেতনাসম্মত রাজনীতির পরিপন্থী।"
১ ঘণ্টা আগে