নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শারীরিক প্রতিবন্ধী। হাঁটতে না পারলেও কথা বলতে পারেন মো. আকবর আলী। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন তিনি। বলছিলেন, ‘আমাকে বাঁচান, বাঁচার যে খুব ইচ্ছা! কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারলে তো মারাই যাব।’
চমেক হাসপাতালে চালু থাকা কিডনি ডায়ালাইসিস সেবার ফি ৫১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৩৫ টাকা করা হয়েছে। ফি কমানোর দাবিতে অনেকের সঙ্গে শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আকবর আলীও যোগ দেন। জন্ম থেকে এই শারীরিক প্রতিবন্ধী বেশ কয়েক বছর ধরে কিডনির ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন। এত দিন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে অনেক কষ্টে চিকিৎসার ব্যয় মেটাচ্ছিলেন। এখন চিকিৎসার ব্যয় বাড়ায়, মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে তাঁর।
বাঁচার স্বপ্নও ক্ষীণ হয়ে আসছে তাঁর। কারণ, প্রতি মাসে তাঁর ১২ বার ডায়ালাইসিস দিতে হয়। খরচ পড়ে প্রায় ৬ হাজার। এখন আরও টাকা বাড়ালে চিকিৎসা খরচ চালাতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
আকবর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেই হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ থেকে প্রতি সপ্তাহে তিনবার চমেকে আসতে হয়। একবার ডায়ালাইসিস করাতে ৫০০ টাকার বেশি লাগে। ভাইয়ের বাসায় থাকি। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে চিকিৎসার ব্যয় মেটাই। এখন ব্যয় আরও বাড়লে, চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের কাছে আবেদন আমাদের বাঁচান।’
আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শত শত কিডনি রোগী। তাঁদের দাবি, টাকা না বাড়িয়ে আরও কমানো দরকার। কারণ, এখানে যাঁরা ডায়ালাইসিস করান, তাঁরা সবাই আর্থিকভাবে অসচ্ছল।
সুজন নামে এক কিডনি রোগী বলেন, ‘মাসে ৬ হাজার টাকা শুধু ডায়ালাইসিস পেছনে খরচ করতে হয়। এর বাইরে পরিবার সামলানো অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে চিকিৎসা খরচ বাড়ালে একসঙ্গে এক পরিবারের মৃত্যু হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর ডায়ালাইসিসের প্রতি সেশনে সরকারি ফি ছিল ৫১০ টাকা এবং বেসরকারিভাবে প্রতি সেশনে ফি ছিল ২ হাজার ৭৯০ টাকা। এ ছাড়া চমেকে সারা বছর মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র রোগীরা ৬৫০ সেশন ফ্রিতে সেবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু নতুন বছরে ফি বাড়ানোর পরে হয়েছে ৫৩৫ টাকা, আর বেসরকারি ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৩০ টাকায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে স্যান্ডর কর্তৃপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর তারা ৫ শতাংশ হারে ফি বাড়াচ্ছে। এ বছরও বেড়েছে। আমরা তো চুক্তির বাইরে যেতে পারছি না। তার ওপর সেশনও নির্ধারিত। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেশিন কেনার কথা জানিয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন হলে কিডনি রোগীরা কম টাকায় সেবা পাবেন।’
শারীরিক প্রতিবন্ধী। হাঁটতে না পারলেও কথা বলতে পারেন মো. আকবর আলী। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন তিনি। বলছিলেন, ‘আমাকে বাঁচান, বাঁচার যে খুব ইচ্ছা! কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারলে তো মারাই যাব।’
চমেক হাসপাতালে চালু থাকা কিডনি ডায়ালাইসিস সেবার ফি ৫১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৩৫ টাকা করা হয়েছে। ফি কমানোর দাবিতে অনেকের সঙ্গে শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আকবর আলীও যোগ দেন। জন্ম থেকে এই শারীরিক প্রতিবন্ধী বেশ কয়েক বছর ধরে কিডনির ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন। এত দিন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে অনেক কষ্টে চিকিৎসার ব্যয় মেটাচ্ছিলেন। এখন চিকিৎসার ব্যয় বাড়ায়, মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে তাঁর।
বাঁচার স্বপ্নও ক্ষীণ হয়ে আসছে তাঁর। কারণ, প্রতি মাসে তাঁর ১২ বার ডায়ালাইসিস দিতে হয়। খরচ পড়ে প্রায় ৬ হাজার। এখন আরও টাকা বাড়ালে চিকিৎসা খরচ চালাতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
আকবর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেই হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ থেকে প্রতি সপ্তাহে তিনবার চমেকে আসতে হয়। একবার ডায়ালাইসিস করাতে ৫০০ টাকার বেশি লাগে। ভাইয়ের বাসায় থাকি। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে চিকিৎসার ব্যয় মেটাই। এখন ব্যয় আরও বাড়লে, চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের কাছে আবেদন আমাদের বাঁচান।’
আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শত শত কিডনি রোগী। তাঁদের দাবি, টাকা না বাড়িয়ে আরও কমানো দরকার। কারণ, এখানে যাঁরা ডায়ালাইসিস করান, তাঁরা সবাই আর্থিকভাবে অসচ্ছল।
সুজন নামে এক কিডনি রোগী বলেন, ‘মাসে ৬ হাজার টাকা শুধু ডায়ালাইসিস পেছনে খরচ করতে হয়। এর বাইরে পরিবার সামলানো অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে চিকিৎসা খরচ বাড়ালে একসঙ্গে এক পরিবারের মৃত্যু হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর ডায়ালাইসিসের প্রতি সেশনে সরকারি ফি ছিল ৫১০ টাকা এবং বেসরকারিভাবে প্রতি সেশনে ফি ছিল ২ হাজার ৭৯০ টাকা। এ ছাড়া চমেকে সারা বছর মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র রোগীরা ৬৫০ সেশন ফ্রিতে সেবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু নতুন বছরে ফি বাড়ানোর পরে হয়েছে ৫৩৫ টাকা, আর বেসরকারি ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৩০ টাকায়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে স্যান্ডর কর্তৃপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর তারা ৫ শতাংশ হারে ফি বাড়াচ্ছে। এ বছরও বেড়েছে। আমরা তো চুক্তির বাইরে যেতে পারছি না। তার ওপর সেশনও নির্ধারিত। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মেশিন কেনার কথা জানিয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন হলে কিডনি রোগীরা কম টাকায় সেবা পাবেন।’
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা। আর প্রতি ফুটে খরচ পড়ছে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা। অভিযোগ উঠেছে...
২৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মৎস্য বিভাগের নেওয়া ৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে। এরপরও মৎস্য বিভাগের ছয়টি হ্যাচারির মধ্যে মাত্র দুটি সচল। বাকিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলোয় ডিম ফোটানোর সাকুলার ও সিস্টেন ট্রাংকের অবস্থা করুণ।
৪৪ মিনিট আগেকক্সবাজারে সমন্বিত মানবিক সহায়তা জোরদার করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘হিউম্যানিটারিয়ান-ডেভেলপমেন্ট কোএক্সিসটেন্স নেক্সাস টু অ্যাড্রেস রোহিঙ্গা ক্রাইসিস ইন কক্সবাজার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের যাত্রা...
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আফতাবনগরের দুটি ব্লক এবং স্যানভ্যালির আংশিক জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৪ ঘণ্টা আগে