Ajker Patrika

পটিয়ায় বাবাকে নির্যাতনের ঘটনায় কারাগারে ছেলে 

প্রতিনিধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
পটিয়ায় বাবাকে নির্যাতনের ঘটনায় কারাগারে ছেলে 

নিজের নামে সম্পত্তি লিখে দিতে বৃদ্ধ বাবাকে মারধর ও ঘরবন্দী করে রাখেন ছেলে মো. আবু রফিক (৩৫)। আপন বড় ভাইকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যায় ব্যর্থ হয়ে মরিয়া সম্পত্তি দখলে। অবশেষ বাবা হাজী নুরুল আলমের (৭৫) করা মামলায় যেতে হলো জেলে। পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালত ছেলে মো. আবু রফিককে কারাগারে পাঠানো হয়। 

গতকাল বুধবার দুপুরে পটিয়া আদালতে উপস্থিত হয়ে রফিকের জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পিতার দায়েরকৃত সিআর মামলা নম্বর ৫ / ২১ এর অভিযোগের বর্ণনায় উল্লেখ করেন হাজী নুরুল আলম (৭৫) একজন বয়োবৃদ্ধ পিতা। উচ্ছৃঙ্খল ও বদমেজাজি ছেলে আবু রফিক পিতা মাতাকে কোন ভরণপোষণ দেন না। উল্টো পিতার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য মারধর করেন পিতাকে। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার সহ একাধিকবার সালিস দরবার করেও রফিককে থামানো যায়নি। এ ছাড়া আবু রফিক তাঁর আপন বড় ভাইকে বাড়ির ছাদ থেকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টাও করেন। সর্বশেষ বাবা হাজী নুরুল আলমকে বাড়িতে ঘরবন্দী করে রাখেন। বাবাকে সম্পত্তি লিখে দিতে বলেন এবং হত্যার হুমকি দেন। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে আসলে অন্য ভাই-বোনকেও আঘাত করেন রফিক। 

বাবার করা মামলায় আসামি আবু রফিকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩২৩,৪৪০, ৫০৬ (২) ধারায় মামলা আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গতকাল বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়েও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন তিনি। পরে আদালত আসামি আবু রফিককে কারাগারে পাঠান। 

আসামির পিতা হাজি নুরুল আলম জানান, আবু রফিক সব সময় বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলে। হঠাৎ এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি যোগসাজশে আওয়ামী লীগের অ্যাডহক কমিটির সদস্য হয় তিনি। তিনি তাঁর ছোট ভাইয়ের টাকা আত্মসাৎ ও শহরের স্থাপিত দালান জবরদখল করে ব্যবহারের করছেন। তাঁর কারণে তিনি ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ বলে জানান ভুক্তভোগী পিতা। 

আইনজীবী মো. ফোরকান বলেন, বুধবার সিআর মামলায় আসামি আবু রফিক আদালতে তাঁর আইনজীবীদের নিয়ে জামিন চাইতে আসলে আমরা তার জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করলে বিচারক এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুক্ত আসামিকে জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত