Ajker Patrika

ট্রেনে একসঙ্গে এত দৃশ্য দেখা দেশের আর কোথাও নেই

জমির উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক
ট্রেনে একসঙ্গে এত দৃশ্য দেখা দেশের আর কোথাও নেই

চট্টগ্রামের দুপাশে সারি সারি গর্জন বন। দেখা মিলতে পারে হাতি, বানরসহ অন্য বন্যপ্রাণীও। হঠাৎ আবার দুইদিকে পাহাড়, মধ্যে খানে এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে ট্রেন। পাহাড়ি ছড়া থেকে রাবার ড্যাম, কিংবা নদ-নদীর অপরূপ সৌন্দর্য; এসব দৃশ্য দেখে দেখে কখন যে আড়াই ঘণ্টার ভ্রমণ শেষ, তা টেরও পাবেন না যাত্রীরা। 

আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে যাওয়ার পথে এসব দৃশ্য দেখবেন ভ্রমণপিপাসুরা। কক্সবাজার যাওয়ার পথে ডানে-বাঁয়ে চোখ ফেরালে ধরা দেবে দোহাজারী থেকে সাতকানিয়ার নয়নাভিরাম গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। লোহাগাড়া পার হওয়ার পর আসতে আসতে পাল্টে যাবে দৃশ্যপট। এবার দেখা মিলবে সবুজ-শ্যামল মাখা আবছা আলোর প্রকৃতি। 

বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য চুনতি যাওয়ার পথে আবারও দুপাশে বন, সারি সারি গাছ। হারবাং থেকে চকরিয়া আগ পর্যন্ত দেখা মিলবে এসব। চকরিয়া সদরে ঢোকার পর কিছু দূর সমতল। তারপর ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা পর্যন্ত আবারও সবুজ বন। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কও সামনে পড়বে যাওয়ার পথে। এ ছাড়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঝখান দিয়েও যাবে ট্রেন। 

ঈদগাঁও রাবার ড্যামের পাশ ঘেঁষে যাবে ট্রেন। সেই অপরূপ সৌন্দর্যটি উপভোগ করতে করতে সামনে চলে আসবে রামুর রাবার বাগানও। এই এলাকায় সরকারি বনের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সবুজ বনও দেখবেন ভ্রমণকারীরা। এভাবে দেখতে দেখতে কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন তারা। 

রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চুনতি, ফাঁসিয়াখালী, মেধাকচ্ছপিয়ার মতো সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাবে। এসব এলাকা বন্য-প্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃত। এ ছাড়া নদ-নদীর মধ্যে লোহাগাড়ায় টঙ্কাবতী খাল ও চকরিয়ার মাতামুহুরির কিছু অংশ দেখতে পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া দোহাজারী অংশে দেখতে পাবে সাঙ্গু নদী। 

হিমশীতল, স্বচ্ছ-নীল জলরাশি আর দুই তীরে বারোমাসি ফসলের সমারোহ যার বুকে গড়ে উঠে, সেই বাঁকখালী নদীর পাশ ঘেঁষেও যাবে ট্রেন। এঁকে বেঁকে যাওয়া কক্সবাজার-রামুর হৃৎপিণ্ড হিসেবে খ্যাত এ নদীর সৌন্দর্য বিমোহিত করে সবাইকে। সেই বাঁকখালী নদীর অনেকাংশ এবং ওই নদী অতিক্রম করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার। 

ট্রেন থেকে নামার পর কক্সবাজার বাস টার্মিনালের অপরপাশে চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত নান্দনিক রেলওয়ে স্টেশন দেখে অনেকে বিস্মিত হবেন। কারণ বিশাল ঝিনুক আকৃতির স্টেশনে। এই ঝিনুকের ভেতরেই হবে প্ল্যাটফর্ম ও যাত্রী আসা-যাওয়া ও বসার লাউঞ্জ। 

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ৯টি নয়নাভিরাম জায়গা দেখে যাত্রীরা তো বিস্মিত হবেনই। কারণ এক রুটে এমন নদ-নদী, উঁচু নিচু টিলা, বনভূমি ও সমতল সবুজ প্রান্তর পেরিয়ে যাত্রীরা যে চলে যাবেন সমুদ্রতীরের একেবারে কাছেই। 

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে সেই কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এক সঙ্গে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেশে আর অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে রেল স্টেশন-তো এই উপমহাদেশেই নেই।’ 

এই কর্মকর্তা জানান, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৫১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি চালু হলে দেশে যুগান্তকারী একটি পরিবর্তন আসবে। পর্যটন খাত তো আছে, অর্থনৈতিকভাবেও দেশ সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করবে। 

প্রস্তাবনায় ৭ জোড়া ট্রেন যেসব ট্রেন

কক্সবাজার রুট পুরোদমে চালু হলে ৭ জোড়া ট্রেনের প্রস্তাবনা দিয়েছে রেলওয়ে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কক্সবাজার রুটে ঢাকা থেকে সরাসরি তিনটি ট্রেন যাবে কক্সবাজার। ট্রেন শুধু চট্টগ্রাম থামবে। তারপর আর কোথাও না থেমে চলে যাবে কক্সবাজার। তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি মহানগর প্রভাতী, আরেকটি স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন এবং আরেকটি আন্তনগর ট্রেন। স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি শুধু পর্যটকের জন্য। ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। মহানগর প্রভাতী ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৪টায়। আন্তনগর ট্রেনটি রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। 

কক্সবাজার থেকে স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনটি রাত ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ৭টায়। আন্তনগর ট্রেন বেলা ১টায় ছেড়ে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টায় এবং মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি তূর্ণা এক্সপ্রেস হয়ে কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এটি ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর ৬টায়। 

চট্টগ্রাম থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩টি ট্রেন কক্সবাজার যাবে। এগুলো শুধু চকরিয়া স্টেশনে থামবে। সাড়ে ৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে এই তিনটি ট্রেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন আন্তনগর ট্রেন সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজার কমিউটার নামে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। নতুন আন্তনগর ট্রেন (নাম এখনো ঠিক হয়নি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া একটি লোকাল ট্রেন দোহাজারী কমিউটার নামে চট্টগ্রাম ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। 

এ ছাড়া আরও কিছু লোকাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেন দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু পর্যন্ত থামবে। আপাতত এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে। 
 
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন করা। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষি পণ্য পরিবহন করা। 

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেঁধে মারধর, সালিসে তালাক নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জমি অধিগ্রহণ জটিলতা বন্ধ সেতুর নির্মাণকাজ

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
ময়মনসিংহের ত্রিশালের পোড়াবাড়ি বাজার এলাকায় খিরু নদের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহের ত্রিশালের পোড়াবাড়ি বাজার এলাকায় খিরু নদের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ি বাজারের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে খিরু নদ। দুই পারের মানুষের একমাত্র ভরসা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি সেতু। এর এক পাশে ত্রিশাল, অন্য পাশে ফুলবাড়িয়া উপজেলা।

এলাকাবাসীর দাবির পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বেইলি সেতুর পাশে নতুন পাকা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রায় এক বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন দুই উপজেলার লাখ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে বেইলি সেতু পার হতে হচ্ছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস (এসইউপিআরবি)’ প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণকাজ শুরু করে এমসিই-এমএলএম (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের আগস্টে। তবে জমি অধিগ্রহণের টাকা না পাওয়ায় দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মকবুল হোসেন বলেন, সেতুর তিনটি স্প্যানের মধ্যে দুটির কাজ শেষ হয়েছে। একটির কাজ আটকে আছে। ১৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় কাজ এগোচ্ছে না। জমি বুঝিয়ে দিলে ছয় মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব।

এদিকে গত মঙ্গলবার বিকেলে অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে ভূমিমালিকদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান এবং প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেইলি সেতুটি নড়বড়ে। ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করছে। কিন্তু পাশেই পাকা সেতুর অধিকাংশ কাজ শেষ হলেও তা কোনো কাজে আসছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক এনাম বলেন, ‘শুনেছি, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে পাকা সেতুর কাজ থেমে আছে। বেইলি সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগেই জরাজীর্ণ ব্রিজের পাটাতন ভেঙে পড়েছিল। ভাঙা পাটাতনে পা পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। পাশে দুটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ এই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে নদ পার হচ্ছেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণাধীন সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে অন্তত ১০টি বসতঘর ভাঙতে হবে। এর মধ্যে স্বামীহারা বাসন্তী রানীর (৫৪) তিন শতক জমি পড়েছে। অধিগ্রহণের টাকা দেওয়ার আশ্বাস পেলে তিনি জমি ছাড়তে রাজি হয়েছেন।

এলজিইডির ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেতুর ৭০ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতা নিরসন হলে দ্রুত অবশিষ্ট কাজ শেষ করা হবে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘পুরোনো বেইলি সেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৭ ধারার নোটিশ দেওয়া হবে এবং অধিগ্রহণের প্রাক্কলন তৈরি করে দ্রুত অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি, আগামী মাস দেড়েকের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে দ্রুতই শেষ করা সম্ভব হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেঁধে মারধর, সালিসে তালাক নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণ

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে পড়ে আছে নিম্নমানের ইট। পাশে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদগঞ্জের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে পড়ে আছে নিম্নমানের ইট। পাশে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিম্নমানের ইটের ওপরে কিছু ভালো ইট বিছিয়ে করা হচ্ছিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি রাস্তার কাজ। সংবাদকর্মীদের সামনে বিষয়টি ধরা পড়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের ইট ঢাকতে বালু বিছিয়ে দ্রুত কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। অথচ এই সড়ক নির্মাণে এর আগে ধীরগতির অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর। কিন্তু হঠাৎ কেন সড়কের এইচবিবির কাজ করতে গিয়ে দ্রুত করছে দেখতে গিয়ে বেরিয়ে এল নিম্নমানের ইটের বিষয়টি। তাঁদের অভিযোগ, অনিয়ম ঢাকতেই এমন কাজ করছেন ঠিকাদারের লোকজন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আইআরডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সড়কটির কাজ হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কের ৮২৫ মিটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমজেএআইজেবি।

সড়ক নির্মাণের প্রথম থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে মাটির কাজ ও সড়কের দুই পাশের পাইলিংয়ের কাজ করে বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর। তাঁরা জানান, কিছুদিন ধরে সড়কের মূল কাজ (এইবিবি) শুরু করে তারা। কিন্তু এবার ধীরগতির পরিবর্তে দ্রুতগতিতে কাজ করতে থাকে। এতে সন্দেহ হয় স্থানীয় লোকজনের। অভিযোগ ওঠে, এইচবিবি কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিচে নিম্নমানের ইট বিছিয়ে দ্রুত ওপরের স্তরের ইটও বিছিয়ে দিচ্ছে। ওপরে দিচ্ছে বালু, যাতে নিচের ইট না দেখা যায়।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা এইচবিবির কাজ করছেন। নিচে নিম্নমানের ইট বিছানোর পর দ্রুত ওপরের স্তরের ইট বসাচ্ছেন। কেউ ইট বিছাচ্ছেন, আর কেউ ওপরে বালু ছিটিয়ে দিচ্ছেন। অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ চলমান থাকলেও প্রকৌশল বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে নিম্নমানের ইটের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিম্নমানের ইটের কথা স্বীকার করে শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেন।

এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে মিজানুর রহমান, ইব্রাহীম মিয়াসহ আরও কয়েকজন বলেন, সড়ক নির্মাণকাজও ধীরগতিতে চলচিল। এখন আবার তারা নিম্নমানের ইট এনে কাজ করছে, এই ইট বেশি দিন টিকবে না। আগেও তারা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছে।

নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনাস্থলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান ভুট্টো ও শাকিল আহমেদ বলেন, ‘কিছু ইট নিম্নমানের চলে এসেছে। আমরা সড়ক থেকে সেগুলো উঠিয়ে নিচ্ছি।’ তাঁরা বলেন, এগুলোর পরিবর্তে ভালো ইট দিয়ে কাজ চলবে। এর আগে কাজের ধীরগতির বিষয়ে তাঁরা অভিযোগ করেন, এলজিইডি ছয় মাস কাজ করতে দেয়নি।

জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবরার আহাম্মদ বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি জেনেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিতে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেঁধে মারধর, সালিসে তালাক নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টাঙ্গাইলে ৯ মাসে সাপের কামড়ের শিকার ১,২৭৮ জন

  • ৯ মাসে সাপের কামড়ে মারা গেছে ১০ জন।
  • চার উপজেলায় সাপের উপদ্রব বেশি।
  • জেনারেল হাসপাতালের একমাত্র আইসিইউ বন্ধ জনবলের অভাবে।
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল 
টাঙ্গাইলে ৯ মাসে সাপের কামড়ের শিকার ১,২৭৮ জন

সাপের দংশনে আহত হয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার পালবাড়ী গ্রামের আনছের আলী (৩৬)। তাঁর খিঁচুনি শুরু হওয়ায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আনছের আলীর স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান এলাকারই এক ওঝার কাছে। সেখানে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, সাপে দংশনের পর আনছের আলী অনেকটা অচেতন ছিলেন এবং তাঁর খিঁচুনি শুরু হয়েছিল। তাঁর শরীরে অ্যান্টিভেনম দেওয়ার জন্য আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) প্রয়োজন। কিন্তু মধুপুরে তা নেই। তাই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনেরা তাঁকে মেডিকেলে না নিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মাসে ১১৯ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার (পাঠানো) করা হয়েছে। তাদের পরিণতি কি আনছের আলীর মতোই হয়েছে কি না, কেউ বলতে পারেনি।

টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে পাহাড়ি চারটি উপজেলা মধুপুর, সখীপুর, ঘাটাইল ও মির্জাপুরে সাপের উপদ্রব একটু বেশি। অন্য ৮টি উপজেলায়ও সাপের বিচরণ রয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, চলতি বছরের গত ৯ মাসে মধুপুরে ২১৫ জন, সখীপুরে ২৭০ জন, মির্জাপুরে ১৬৩ জনসহ জেলায় ১ হাজার ২৭৮ জন সাপের দংশনের শিকার হয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৫৫ জন সুস্থ হয়। ১১৯ জনকে রেফার করা হয়েছে এবং চারজন মৃত্যুবরণ করে।

এই হিসাবের বাইরেও বহু মানুষ সাপের দংশনে আহত হয়ে কবিরাজ এবং ওঝার কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। তাদের অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে, আবার কারও কারও জীবনাবসান ঘটে সাপের বিষে নীল হয়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক জানান, সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষিত চিকিৎসক আছেন। ভ্যাকসিন অ্যান্টিভেনমও রয়েছে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ের কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসিইউ নেই। তাই ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জেলা সদরে পাঠানো হয়। কারণ, রোগীর মৃত্যু হলে অনেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকে। চিকিৎসকেরা অনেকটা বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নেন না।

আনছের আলীর ভাতিজা ইমরান হোসেন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় চাচা বংশাই নদে মাছ ধরতে যান। এ সময় বিষধর সাপ তাঁকে ছোবল দেয়। এ সময় তিনি সাপের দিকে টর্চলাইট ধরলে সাপটি আবার তাঁকে ছোবল দিতে আসে। তখন চাচা তাঁর হাতে থাকা ফছকা (মাঝ ধরার দেশীয় যন্ত্র) দিয়ে সাপ আটকান এবং পরে পিটিয়ে মেরে বাড়িতে আসেন। এরই মধ্যে চাচার অবস্থার অবনতি ঘটলে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

ওঝা আনোয়ার হোসেন বানুরগাছী মাদরাসার হেড মোহাদ্দিছ। তিনি তুলা রাশির লোকের সহযোগিতা নিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলেন। তাঁর ভাষ্য, প্রতিদিন তিনি দু-তিনজন সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা দেন। গত ৯ মাসে প্রায় ৮০০ সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসা করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ফরাজী মো. আজমল হোসেন বলেন, ‘সবার আগে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন। সাপে দংশন করলে সঙ্গে সঙ্গে ওঝার কাছে ছোটাছুটি না করে হাসপাতালে নিয়ে আসাই বাঞ্ছনীয়। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা দিতে পারলে রোগী অবশ্যই সুস্থ হয়ে ওঠে। মুমূর্ষু হয়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করতেই হবে।’ তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতি আছে, কিন্তু আইসিইউ চালু নেই। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জনবলের অভাবে আইসিইউ বন্ধ। আর ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ এখনো নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেঁধে মারধর, সালিসে তালাক নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চুরি মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কারাগারে

ফেনী প্রতিনিধি
চুরি মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কারাগারে

ফেনীতে গরু চুরির মামলায় দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

গ্রেপ্তার আলা উদ্দিন পৌর এলাকার উত্তর শ্রীধরপুর এলাকার মজিবুল হকের ছেলে। তিনি দাগনভূঞা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

জানা গেছে, ৫ অক্টোবর গভীর রাতে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনিয়া খুশিপুর এলাকায় দুই বাড়ি থেকে ছয়টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। এ ঘটনায় সর্বশেষ ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে পৌর এলাকার উত্তর শ্রীধরপুর এলাকা থেকে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলা উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তার আলা উদ্দিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি হয়েছিলেন। ওই মামলাগুলোয় জামিনে আছেন। বর্তমানে প্রতিহিংসা করে তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’

দাগনভূঞা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যদি এ ঘটনা সত্য হয়, তাহলে তা দলের জন্য বিব্রতকর। ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে যদি তিনি জড়িত থাকেন, অবশ্যই তাঁর বিচার হোক। আইন সবার জন্য সমান। এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হবে।   

এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, গরু চুরির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দাগনভূঞা ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেঁধে মারধর, সালিসে তালাক নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত