নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নারীদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ান সেকশন (‘সিজার’ বলে পরিচিত) অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসব ১ হাজার ৫৫২টি বেশি হয়েছে। এর আগের ছয় মাসের সুনির্দিষ্ট তথ্য তৈরি না থাকলেও প্রশাসক ও চিকিৎসকদের ধারণা, জনসচেতনতা বাড়ায় স্বাভাবিক প্রসবের হার সাম্প্রতিক কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রাম জেলার প্রধান সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৬৯টি। এগুলোর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬ হাজার ৮৮৫টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১১ হাজার ১৮৪টি। অস্ত্রোপচার করা হয় ২৬ হাজার ৫১৭টি। সরকারি হাসপাতালে ১০ হাজার ৫১টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১৬ হাজার ৪২৬টি। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারি বেশি হওয়ার বিষয়টি বেশ ইতিবাচক। ডাক্তার, রোগীসহ সবাই আন্তরিক হলে স্বাভাবিক প্রসবের প্রবণতা আরও বাড়বে।’
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয় গত বছর প্রথমবারের মতো সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে পরিসংখ্যান তৈরি করে। সেই তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৭ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ১৭টি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ২৩টি। পরিসংখ্যানের আওতায় ছিল সরকারি পর্যায়ের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বেসরকারি পর্যায়ে চট্টগ্রাম নগর ও উপজেলার ২৩টি প্রতিষ্ঠান।
সিভিল সার্জন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ এই অঞ্চলের ৯০ লাখের বেশি মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করছে। আমরা দেশের চিকিৎসাসেবার প্রতি রোগীদের আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সব ধরনের সেবার পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।’
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ছয় মাসে হার্টের বাইপাস সার্জারি করা হয় ৭৬টি। এগুলোর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৬৬টি। এনজিওগ্রাম করা হয় ৪ হাজার ৯৫৯টি। এগুলোর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ১৩৪টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৮২৮টি। বড় ধরনের সার্জারি করা হয় ৫৬ হাজার ৭২টি। সার্জারিগুলোর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৪ হাজার ৮৪৫টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১১ হাজার ২৩৭টি। অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা নেন ৭ লাখ ৪২ হাজার ৫২০ জন। তাঁদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫ লাখ ২০ হাজার ৩৮ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৮২ জন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ৬৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ৫৭৮ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৭ জন।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউর মহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে। এটা ভালো দিক।’
চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নারীদের স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে সিজারিয়ান সেকশন (‘সিজার’ বলে পরিচিত) অস্ত্রোপচারের চেয়ে স্বাভাবিক প্রসব ১ হাজার ৫৫২টি বেশি হয়েছে। এর আগের ছয় মাসের সুনির্দিষ্ট তথ্য তৈরি না থাকলেও প্রশাসক ও চিকিৎসকদের ধারণা, জনসচেতনতা বাড়ায় স্বাভাবিক প্রসবের হার সাম্প্রতিক কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রাম জেলার প্রধান সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৬৯টি। এগুলোর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬ হাজার ৮৮৫টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১১ হাজার ১৮৪টি। অস্ত্রোপচার করা হয় ২৬ হাজার ৫১৭টি। সরকারি হাসপাতালে ১০ হাজার ৫১টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১৬ হাজার ৪২৬টি। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারি বেশি হওয়ার বিষয়টি বেশ ইতিবাচক। ডাক্তার, রোগীসহ সবাই আন্তরিক হলে স্বাভাবিক প্রসবের প্রবণতা আরও বাড়বে।’
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয় গত বছর প্রথমবারের মতো সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে পরিসংখ্যান তৈরি করে। সেই তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৭ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ১৭টি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ২৩টি। পরিসংখ্যানের আওতায় ছিল সরকারি পর্যায়ের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, ১৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বেসরকারি পর্যায়ে চট্টগ্রাম নগর ও উপজেলার ২৩টি প্রতিষ্ঠান।
সিভিল সার্জন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ এই অঞ্চলের ৯০ লাখের বেশি মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করছে। আমরা দেশের চিকিৎসাসেবার প্রতি রোগীদের আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সব ধরনের সেবার পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।’
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ছয় মাসে হার্টের বাইপাস সার্জারি করা হয় ৭৬টি। এগুলোর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৬৬টি। এনজিওগ্রাম করা হয় ৪ হাজার ৯৫৯টি। এগুলোর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ১৩৪টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৮২৮টি। বড় ধরনের সার্জারি করা হয় ৫৬ হাজার ৭২টি। সার্জারিগুলোর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৪ হাজার ৮৪৫টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১১ হাজার ২৩৭টি। অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা নেন ৭ লাখ ৪২ হাজার ৫২০ জন। তাঁদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫ লাখ ২০ হাজার ৩৮ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৮২ জন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ৬৭৫ জন। তাঁদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ৫৭৮ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৭ জন।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউর মহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে। এটা ভালো দিক।’
একসময় রাজশাহী নগরে পানি সরবরাহের জন্য প্রতিটি পাম্পে একাধিক অপারেটর থাকতে হতো। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই এই পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও পাম্পগুলোয় দুই থেকে তিনজন করে পাম্প অপারেটর রাখা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের কানাইঘাটের দরিদ্র পরিবারের সন্তান মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০০৯ সালে যোগ দেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) পদে। এরপর ‘জাল-জালিয়াতি, বদলি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে’ ১৭ বছরে তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হন।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজানের শুরু থেকে দেশের বৃহত্তম ইফতার মাহফিল চলছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের নলতা আহ্ছানিয়া মিশনে। প্রায় ৮ হাজার মানুষের ইফতার মাহফিল যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেশেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকার বনাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই প্রায় প্রতিদিন ঘটছে অগ্নিকাণ্ড। মরে যাচ্ছে শাল-গজারি গাছের চারা। বনের কীটপতঙ্গ ও পশুপাখিও মারা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গুল্মজাতীয় ঔষধি লতাপাতা ও বনের গাছ। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।
৬ ঘণ্টা আগে