প্রতিনিধি, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার কার্যক্রম। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষ অনলাইনে আবেদনের ব্যাপারে সচেতন নন। একদিকে নেটওয়ার্ক সমস্যা অন্যদিকে সবার কাছে নেই স্মার্ট ফোন। আর বাণিজ্যিক দোকানে জনপ্রতি নিবন্ধন ফি নেওয়া হচ্ছে ৫০-১৫০ টাকা। এ অবস্থায় ইচ্ছা থাকার পরও অনেকে করোনা টিকা প্রাপ্তির নিবন্ধন করতে সমস্যায় পড়ছেন।
গ্রামাঞ্চলের টিকা প্রত্যাশীদের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সামাজিক সংগঠন `পশ্চিম আমিরাবাদ রয়েলস ক্লাব' এর সদস্যরা বিনা মূল্যে টিকা নিবন্ধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তাঁরা বিনা মূল্যে করোনা টিকা প্রাপ্তির নিবন্ধন কার্যক্রম করছেন।
জানা যায়, গত ১৪ জুলাই থেকে পশ্চিম আমিরাবাদ আদর্শ পাঠাগারের সহযোগিতায় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে রয়েলস ক্লাবের সদস্যরা। এই কার্যক্রমের সমন্বয়ক এলাকার সন্তান ও দিল্লির সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন। তাঁর নেতৃত্বে রয়েলস ক্লাব ও আদর্শ পাঠাগারের ১৫ জন সদস্য তিনটি টিমে ভাগ হয়ে উপজেলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ক্যাম্প করে করোনা টিকার ফ্রি নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে টিকা কার্ড প্রিন্ট করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে বিনা মূল্যে। ২০ জুলাই পর্যন্ত ৭ দিন উক্ত কার্যক্রম করে দুই হাজার ২০০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন জানান, করোনার টিকা সহজলভ্য হলেও টিকা নিবন্ধন জটিলতায় মানুষের মধ্যে টিকা গ্রহণ নিয়ে অনাগ্রহ রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষই নিবন্ধন করতে জানছেন না। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা তিনটি ভ্রাম্যমাণ ফ্রি নিবন্ধন ক্যাম্প চালানোর উদ্যোগ নিয়েছি। গত ১৪ জুলাই উক্ত কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রম ১০ দিন চালানোর পরিকল্পনা থাকলেও ২০ তারিখ পর্যন্ত সাত দিন কর্মসূচি পালন করেছি। ঈদের পরপর পুনরায় লকডাউন শুরু হওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।
তিনি আরও জানান, পাঁচ হাজার মানুষকে করোনার টিকার নিবন্ধন করে টিকা কার্ড পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল আমাদের। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২০০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পেরেছি। আমাদের একদিনে ৫০০ নিবন্ধন করে দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করলে আমরা লকডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চালাতে আগ্রহী হব। এই পর্যন্ত দেশের চারটি জেলায় এই ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে যাদের সঙ্গে আমরা অভিজ্ঞতা বিনিময় করছি।
লোহাগাড়ার চুনতি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হক বলেন, শাহাদাত হোসাইন স্বাধীনের করোনা টিকার ফ্রি নিবন্ধন কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তাঁর এই কার্যক্রমে এলাকার মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান হাবিব জিতু জানান, শাহাদাত হোসাইন স্বাধীনের চিন্তাভাবনাটি খুবই ভালো। করোনাভাইরাসের টিকা প্রাপ্তি সংক্রান্ত নিবন্ধনের কার্যক্রমে তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। তাঁর কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য ইতিমধ্যে উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে বলে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার কার্যক্রম। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষ অনলাইনে আবেদনের ব্যাপারে সচেতন নন। একদিকে নেটওয়ার্ক সমস্যা অন্যদিকে সবার কাছে নেই স্মার্ট ফোন। আর বাণিজ্যিক দোকানে জনপ্রতি নিবন্ধন ফি নেওয়া হচ্ছে ৫০-১৫০ টাকা। এ অবস্থায় ইচ্ছা থাকার পরও অনেকে করোনা টিকা প্রাপ্তির নিবন্ধন করতে সমস্যায় পড়ছেন।
গ্রামাঞ্চলের টিকা প্রত্যাশীদের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সামাজিক সংগঠন `পশ্চিম আমিরাবাদ রয়েলস ক্লাব' এর সদস্যরা বিনা মূল্যে টিকা নিবন্ধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তাঁরা বিনা মূল্যে করোনা টিকা প্রাপ্তির নিবন্ধন কার্যক্রম করছেন।
জানা যায়, গত ১৪ জুলাই থেকে পশ্চিম আমিরাবাদ আদর্শ পাঠাগারের সহযোগিতায় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে রয়েলস ক্লাবের সদস্যরা। এই কার্যক্রমের সমন্বয়ক এলাকার সন্তান ও দিল্লির সাউথ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন। তাঁর নেতৃত্বে রয়েলস ক্লাব ও আদর্শ পাঠাগারের ১৫ জন সদস্য তিনটি টিমে ভাগ হয়ে উপজেলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ক্যাম্প করে করোনা টিকার ফ্রি নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে টিকা কার্ড প্রিন্ট করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে বিনা মূল্যে। ২০ জুলাই পর্যন্ত ৭ দিন উক্ত কার্যক্রম করে দুই হাজার ২০০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন জানান, করোনার টিকা সহজলভ্য হলেও টিকা নিবন্ধন জটিলতায় মানুষের মধ্যে টিকা গ্রহণ নিয়ে অনাগ্রহ রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষই নিবন্ধন করতে জানছেন না। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা তিনটি ভ্রাম্যমাণ ফ্রি নিবন্ধন ক্যাম্প চালানোর উদ্যোগ নিয়েছি। গত ১৪ জুলাই উক্ত কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রম ১০ দিন চালানোর পরিকল্পনা থাকলেও ২০ তারিখ পর্যন্ত সাত দিন কর্মসূচি পালন করেছি। ঈদের পরপর পুনরায় লকডাউন শুরু হওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।
তিনি আরও জানান, পাঁচ হাজার মানুষকে করোনার টিকার নিবন্ধন করে টিকা কার্ড পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল আমাদের। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২০০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পেরেছি। আমাদের একদিনে ৫০০ নিবন্ধন করে দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করলে আমরা লকডাউনেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চালাতে আগ্রহী হব। এই পর্যন্ত দেশের চারটি জেলায় এই ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে যাদের সঙ্গে আমরা অভিজ্ঞতা বিনিময় করছি।
লোহাগাড়ার চুনতি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হক বলেন, শাহাদাত হোসাইন স্বাধীনের করোনা টিকার ফ্রি নিবন্ধন কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তাঁর এই কার্যক্রমে এলাকার মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান হাবিব জিতু জানান, শাহাদাত হোসাইন স্বাধীনের চিন্তাভাবনাটি খুবই ভালো। করোনাভাইরাসের টিকা প্রাপ্তি সংক্রান্ত নিবন্ধনের কার্যক্রমে তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। তাঁর কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য ইতিমধ্যে উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে বলে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
৫ ঘণ্টা আগেআসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
৫ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৫ ঘণ্টা আগে