খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট পড়ে শ্রাবন দেওয়ান (৬) নামের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টা সদর উপজেলার খবংপুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শ্রাবন দেওয়ান খাগড়াছড়ি পৌরসভার নারায়ন খাইয়া এলাকার বাসিন্দা প্রনয় দেওয়ানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী শ্রাবন দেওয়ান সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় হঠাৎ গেটটি ভেঙে তার ওপর পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
বিদ্যালয়ের লাগায়ো পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপুলিশ পরিদর্শক গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, স্কুলের গেটটি দীর্ঘ দিন ধরে নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। গেটটি গাছে খুঁটি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থায় না নেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। নিহত মরদেহের সুরতহাল করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। যদি শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মায়ের সঙ্গে স্কুলে ঢোকার সময় হঠাৎ করে গেট ভেঙে তার গায়ের উপড়ে পড়ে। সেখান থেকে লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা স্কুল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন। এই ঘটনায় নির্মাণকাজের ক্রুটিকে দায়ী করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গেটের যে কন্ডিশন দেখলাম। গেটের যে পরিমাণ ওজন সে অনুযায়ী টানিয়ে রাখার লোহার অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করা হয়নি। যে অ্যাঙ্গেল দেওয়া হয়েছে তা লোহার গেটটি ঝুলিয়ে রাখার মতো ধারণ ক্ষমতার না। বিদ্যালয়ের গেটের পাতলা লোহার রড দেওয়া হয়েছে। যে কারণে গেটটি ভেঙে পরেছে। কয়েক দিন আগে বিদ্যালয়ের নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাকের ধাক্কা লেগে গেটটি নড়বড়ে হয়ে যায়। এরপর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অবগত করার পরও ঠিকাদারের লোকজন কেউ আসেনি।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার পর আমরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
খাগড়াছড়ির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে গেটটি নির্মাণকাজ করেছে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা গেটটি নির্মাণ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এরপর গেটের ত্রুটি নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে বিদ্যালয়ের নির্মাণ সামগ্রী নেওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় গেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে শুনেছি।’
খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট পড়ে শ্রাবন দেওয়ান (৬) নামের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টা সদর উপজেলার খবংপুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শ্রাবন দেওয়ান খাগড়াছড়ি পৌরসভার নারায়ন খাইয়া এলাকার বাসিন্দা প্রনয় দেওয়ানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী শ্রাবন দেওয়ান সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় হঠাৎ গেটটি ভেঙে তার ওপর পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
বিদ্যালয়ের লাগায়ো পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপুলিশ পরিদর্শক গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, স্কুলের গেটটি দীর্ঘ দিন ধরে নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। গেটটি গাছে খুঁটি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থায় না নেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। নিহত মরদেহের সুরতহাল করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। যদি শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মায়ের সঙ্গে স্কুলে ঢোকার সময় হঠাৎ করে গেট ভেঙে তার গায়ের উপড়ে পড়ে। সেখান থেকে লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা স্কুল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন। এই ঘটনায় নির্মাণকাজের ক্রুটিকে দায়ী করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গেটের যে কন্ডিশন দেখলাম। গেটের যে পরিমাণ ওজন সে অনুযায়ী টানিয়ে রাখার লোহার অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করা হয়নি। যে অ্যাঙ্গেল দেওয়া হয়েছে তা লোহার গেটটি ঝুলিয়ে রাখার মতো ধারণ ক্ষমতার না। বিদ্যালয়ের গেটের পাতলা লোহার রড দেওয়া হয়েছে। যে কারণে গেটটি ভেঙে পরেছে। কয়েক দিন আগে বিদ্যালয়ের নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাকের ধাক্কা লেগে গেটটি নড়বড়ে হয়ে যায়। এরপর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অবগত করার পরও ঠিকাদারের লোকজন কেউ আসেনি।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার পর আমরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
খাগড়াছড়ির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে গেটটি নির্মাণকাজ করেছে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা গেটটি নির্মাণ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এরপর গেটের ত্রুটি নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে বিদ্যালয়ের নির্মাণ সামগ্রী নেওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় গেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে শুনেছি।’
দখলের সংক্রমণ থেকে বেরই হতে পারছে না রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল। দখলের থাবায় ক্রমে আয়তন কমছে বিশেষায়িত এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটির। সীমানা প্রাচীরের বাইরে জমি দখল করে গড়ে উঠেছে সাততলা বস্তি, ঘর, দোকান, কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
১ ঘণ্টা আগেঅবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনার পর রংপুরের বদরগঞ্জের প্রশাসন কিছুটা তৎপর হয়ে উঠলেও ঘাটাবিল শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ঘেঁষে প্রধান শিক্ষকের অবৈধ দুটি ইটভাটা বন্ধ করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে২০ বছর আগে গ্রাহককে প্রদান করা ঋণের টাকা আদায় না করায় উদাসীনতার দায়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) রৌমারী উপজেলা কার্যালয়ের জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিআরডিবি, কুড়িগ্রামের উপপরিচালককে এ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেবরিশাল নগরের পোর্ট রোড মোকাম এখন ইলিশের বদলে তরমুজে সয়লাব। রোজায় আগাম এ ফলের যেমন চাহিদা, তেমনি দরও চড়া। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হলো, আগাম আসা এ তরমুজের একাংশ এখনো অপরিপক্ব। অতি মুনাফার লোভে কৃষক অতিরিক্ত রাসায়নিক ও হরমোন প্রয়োগ করে বাজারে তুলেছেন। এ কারণে স্বাদের তরমুজ অনেকটা বিস্বাদ।
২ ঘণ্টা আগে