Ajker Patrika

অপহরণের নাটক করেছিলেন সেই ব্যাংকার, টাকা উদ্ধার

প্রতিনিধি, উখিয়া ও টেকনাফ (কক্সবাজার)
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২১, ০১: ৫৪
Thumbnail image

ওষুধ ব্যবসায়ীর প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করা উদ্দেশ্যেই অপহরণ নাটক সাজিয়েছিলেন কুতুপালংয়ের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেন। তিন দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর গত শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন তিনি।

আজ রোববার সন্ধ্যায় টেকনাফের কাঞ্জরপাড়ার নিজ বাসা থেকে আত্মসাতের ১৯ লাখ ৯২ হাজার টাকাসহ হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় হামিদ ও তাঁর বাবাকে আটক করেছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, হামিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন ইকবাল নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী। পুলিশ অভিযোগ তদন্তে নামার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন হামিদ। এক পর্যায়ে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যায়, একটি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ তাঁকে অপহরণ করেছে। তাঁকে মুক্তি দেওয়ার খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করে। পরে তাঁর জবানবন্দির ভিত্তিতে বাড়ির পাশে জাহাঙ্গীর নামে একজনের বাড়ি থেকে ১৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি–না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন রোহিঙ্গাদের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হামিদকে অপহরণ করেছে বলে উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হামিদের বাবা খাইরুল আলম। অভিযোগে লেখা হয়, হোয়াইক্যংয়ের কাঞ্জরপাড়া থেকে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক কুতুপালং শাখায় যাওয়ার পথে বালুখালী পানবাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হন হামিদ হোসাইন। থানায় অভিযোগ করার পর থেকে অপরিচিত এক নম্বর (০১৯৫৬০৭৪২৬৮) থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয় বলে জানান তাঁর বাবা। পরে গত ২ জুলাই রাতে ফিরে এসে হামিদ জানান, তাঁকে সন্ত্রাসীরা বালুখালীর মরা গাছ তলা এলাকায় ছেড়ে দিয়েছে।

এদিকে হামিদের কর্মস্থল আল আরফাহ ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামিদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়। আমরা সবাই উদগ্রীব ছিলাম তাঁকে নিয়ে, অথচ সে নাটক করেছে!’

হামিদের বিরুদ্ধে ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে বেলাল বলেন, ‘আমরা তাঁকে শোকজ করে সাসপেন্ড করবো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত