Ajker Patrika

আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

চাঁদপুর ও শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ৫৮
আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

মা ইলিশের প্রজনন বাড়াতে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। আজ শনিবার রাত ১২টা থেকে ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। 

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকা। নদী উপকূলীয় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণে জড়িত নিবন্ধিত জেলে ৪৪ হাজার। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে সাগর থেকে ইলিশ মিঠাপানিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসে। এই সময় যাতে জেলেরা নদীতে নামতে না পারেন, সে জন্য উপকূলীয় জেলেপাড়াগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও আড়তগুলোতে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার। 

সদর উপজেলার রামদাসদী এলাকার জেলে শাহজাহান, মোজাম্মেল ও ইব্রাহীম বলেন, ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্য সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তা মানা হয়। কিন্তু জেলার বাইরে থেকে অন্য জেলেরা এসে মা ইলিশ ধরে নিয়ে যায়। নৌ-পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কিছু কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে তাদের ইলিশ ধরার সুযোগ করে দেয়। এসব বন্ধ করতে পারলে সরকারের উদ্যোগ সফল হবে। বেকার সময়ে সরকার যে সহায়তা করে, তা বাড়ানোর দাবি জেলেদের। 

বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, শিবচরের পদ্মা নদীর চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ী, বন্দরখোলা ইউনিয়নের নদীর পাড়ে মাছ বিক্রির অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। খুব ভোরে এবং বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ায় বরফ দিয়ে নদীর চরের মাটি খনন করেও ইলিশ সংরক্ষণ করে অসাধু চক্রটি। 

শিবচর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে জেলে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মতবিনিময়সহ নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত ছিল। শিবচরের মাছধরা জেলেদের তালিকা তৈরি করে বিনা মূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে। অসাধু জেলেরা যাতে পদ্মায় নামতে না পারে, সেই লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে। পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর বিশেষ তৎপরতা থাকবে এই সময়ে। 

শিবচরের চরজানাজাত নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণে আমরা এবার বদ্ধপরিকর। আমাদের টিম সার্বক্ষণিক নদীতে নজরদারি রাখবে। পদ্মা নদীর একাধিক পয়েন্ট চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।’

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সবাই একযোগে কাজ করব। জেলেসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে সভা-সেমিনার হয়েছে। এবার নদীতে আরও কঠোর নজরদারি থাকবে।’

চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর বিশাল জলরাশি। কয়েকটি নদী এখানে এসে মিলিত হয়েছে। মা ইলিশ প্রজননের এই সময়ে নৌ-পুলিশ যেমন কঠোর হবে, পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও থানার কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে জেলেদের অভিযোগ এসেছে। এসব খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবু কাওসার দিদার বলেন, ‘প্রজনন সময়ে সাগর থেকে ইলিশ নদ-নদীতে আসে। আজ রাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন জেলেরা যাতে ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকে। তাহলে ইলিশ প্রজননের সুযোগ তৈরি হবে এবং জাটকা উৎপাদন বাড়বে। তাতে আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিম ছাড়ার জন্য এই সময়টায় ইলিশ মিঠাপানিতে ছুটে আসে। যে কারণে সরকার আজ রাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে। মা ইলিশ রক্ষায় ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যৌতুকের জন্য গৃহবধূর চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ নীলগঞ্জ গ্রামের কালু হাওলাদারের স্ত্রী।

জানা গেছে, আট দিন আগে কালু হাওলাদার জমি ক্রয় করতে বায়না করেন। জমি কিনার জন্য স্ত্রী শাহিনুরের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। কিন্তু শাহিনুর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে শাহিনুরের কলহ বাধে। স্বামী কালু হাওলাদার, ননদ রেবেকা বেগম ও ননদের স্বামী হানিফ মুসল্লি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা শাহিনুরের চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন। মারধর শেষে তাঁকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। গৃহবধূর স্বজনেরা খবর পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেন। পরে দুপুরে পুলিশ গিয়ে শাহিনুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

গৃহবধূর বাবা হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘জমি কিনতে আমার মেয়ের কাছে জামাতা তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে মেয়েকে মেরে ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

ভুক্তভোগী গৃহবধূ শাহিনুর বেগম বলেন, ‘২০১১ সালে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে আসছেন স্বামী। টাকা না দিলেই আমার ওপর নির্যাতন চালায়। গত এক সপ্তাহ আগে জমি কিনবে বলে আমার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে আমার স্বামী, নুনুন্দা (ননদের জামাই) হানিফ মুসুল্লি ও ননদ রেবেকা বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

এদিকে যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করে কালু হাওলাদার বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকটি চর-থাপ্পড় দিয়েছি।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আহত নারীর চোখে যে সমস্যা হয়েছে, ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে, তবে সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাল্যবিবাহের অতিথি ইউএনও, জানতে পেরে খাবার না খেয়ে চলে গেলেন

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সপরিবারে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে জানতে পারেন কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে; এরপর খাবার না খেয়ে ফিরে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। পরে কাজিও বিয়ে না পড়িয়ে চলে যান।

ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দৈহারী গ্রামে।

জানা যায়, বর শেখ মো. অনিক (২৩) জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে এবং কনে মোসাম্মৎ মুন্নি আখতার (১৬) দৈহারী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে। শুক্রবার তাদের বিয়ের আয়োজন করে উভয় পরিবার। বিয়ে অনুষ্ঠানে পরিবারসহ ইউএনও অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

জানতে চাইলে বিয়ে পড়াতে আসা কাজি মো. ইসহাক আলী বলেন, ‘প্রথমে আমাকে জানানো হয় মেয়ের বয়স ১৮ বছর। পরে কনের প্রকৃত বয়স ১৬ জেনে আমি বিয়ে পড়াইনি। ইউএনও সাহেবও বিষয়টি জানার পর সপরিবারে না খেয়েই চলে যান।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীন জানান, ‘বিয়েবাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। ইউএনও সাহেব সপরিবারে এসেছিলেন। কনের বয়স কম শুনেই তিনি এবং কাজি চলে গেলে আমি নিজেও ফিরে এসেছি। আমরা কোনো খাওয়াদাওয়া করিনি।’

এ বিষয়ে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত অনুরোধে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কনের বয়স কম জেনে আইনগত ও নৈতিক দিক বিবেচনায় দাওয়াত না খেয়েই ফিরে এসেছি। পরে জানতে পেরেছি বিয়েটি আর হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কমলাপুর রেলস্টেশনে চাপাতি দেখিয়ে ভাইরাল যুবক গ্রেপ্তার

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রকাশ্যে চাপাতি বের করে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া যুবক শাহ আলী শিকদারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাঁর দেখানো স্থান থেকে ধারালো চাপাতিটি উদ্ধার করেছে।

ঢাকা জেলা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন, আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরের কাওলা রেলগেট এলাকা থেকে ধারালো চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়।

এসপি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ১৯ অক্টোবর রাতে শাহ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলী জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। বিভিন্ন সময় তিনি জনমনে ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিলেন, যার কারণে জেলও খেটেছেন।

এসপি জানান, গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এসে শাহ আলী যে তথ্য দেন, তার ভিত্তিতেই কাওলা রেলগেট এলাকা থেকে চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর রাতে শাহ আলী শিকদার কমলাপুর রেলস্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে চাপাতি বের করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। সে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২২ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আসামি হলেন অটোরিকশাচালক

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি 
চালসহ জব্দ অটোরিকশা।
চালসহ জব্দ অটোরিকশা।

শেরপুরের নকলায় খাদ্য অধিদপ্তরের ২২ বস্তা সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় অটোরিকশাচালক রানা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় খাদ্য বিভাগের খাদ্য পরিদর্শক মো. আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

গ্রেপ্তার অটোরিকশাচালক রানার বাড়ি নকলা পৌর শহরের জালালপুর মহল্লায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন এ্যানির নেতৃত্বে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ ও থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে নকলা পৌর শহর থেকে চালসহ রানার অটোরিকশাটি জব্দ করে।

পুলিশ, মামলার আসামি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঁচকাহনীয়া গাদুর মোড় এলাকা থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ২২ বস্তা সরকারি চাল কেনেন জালালপুর মহল্লার মিলমালিক আশরাফ মিয়া ওরফে বুড়া আশরাফ। বিকেলে তিনি ওই চাল তাঁর মিলে নেওয়ার জন্য অটোরিকশাচালক রানাকে ভাড়া করেন। চাল স্থানান্তরের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন এ্যানির নেতৃত্বে স্থানীয় খাদ্য বিভাগ ও থানা-পুলিশ অভিযানে নামেন। পরে সন্ধ্যার দিকে নকলা পৌর শহর থেকে অটোরিকশাসহ ওই ২২ বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশ। আটক করা হয় অটোচালক রানা মিয়াকে। এ ব্যাপারে মিলমালিক আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় নকলা থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত