Ajker Patrika

নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারালে সাথে সাথে ব্যবস্থা: ইসি আনিছুর 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮: ২৭
নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারালে সাথে সাথে ব্যবস্থা: ইসি আনিছুর 

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারালে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থারও মুখোমুখি হতে হবে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।’ 

আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সন্মেলনকক্ষে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা নির্বাচনে দায়িত্বে আছেন, তাঁরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা রাষ্ট্রের কর্মচারী, কোনো দলের কর্মচারী না। কোনো সরকারের কর্মচারী না। তাঁকে চাকরিতে থাকতে হলে, নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যাঁকে যেখানে প্রয়োজন তাঁকে সেখানে দায়িত্ব দিয়েছে। যদি সে দায়িত্ব পালন না করেন তাহলে তিনি অপরাধের জন্য দায়ী হবেন।’ 

শেষে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতা রিজভী একটি মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘সিলেকশনের কোনো সুযোগ নেই, জনগণকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে হবে। ওনার কাছে তালিকা থাকলে তা প্রকাশ করতে বলুন। এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘উনি (রিজভী) রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। সেটা নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নাই। এটা ওনার অমূলক ধারণা। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’ 

মো. আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘ব্যালট পেপার সকালে কেন্দ্রে যাবে। পাশাপাশি ব্যালটের যে অংশ ভোটারকে দেওয়া হবে, তাতে আগে শুধু সিল দিলে হতো–এখন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর থাকতে হবে।’ 

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ, ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড: স্বল্পমূল্যের পণ্যবঞ্চিত দেড় কোটির বেশি দরিদ্র মানুষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির অবস্থান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঝুঁকিতে ফেলছে: ডা. তাহের

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লায় আজ শুক্রবার একটি সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লায় আজ শুক্রবার একটি সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘সংস্কার প্রক্রিয়া থেকে সরে গিয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে বিএনপি এমন এক অবস্থান নিয়েছে, যা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঝুঁকিতে ফেলছে।’

আজ শুক্রবার সকালে কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে চৌদ্দগ্রামের কেন্দ্র পরিচালকদের সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন।

তাহের বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের সাংবিধানিক বৈধতা ও রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একাধিক দফা সংলাপ হয়েছে। সংস্কার প্রশ্নে সব দলের মধ্যে যে সমঝোতা তৈরি হয়েছিল, বিএনপির হঠাৎ ভিন্ন সুর সেই ঐক্যে আঘাত করেছে। তারা কি আবার সেই ব্যর্থ শাসন ও দমন-পীড়নের অতীতে ফিরে যেতে চায়?’

জামায়াতের জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন না হলে বিদেশে পালিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারী মহল সুযোগ নেবে। দেশে অস্থিরতা তৈরি করে জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা আবার মাথাচাড়া দেবে। দেশের মানুষ আর কোনো অন্ধকার শাসনে ফিরে যেতে রাজি নয়।’

তাহের সতর্ক করে বলেন, ‘সংস্কার, আরপিও সংশোধন ও গণভোট—এই তিন অঙ্গীকারেই স্থির থাকতে হবে। কোনো দল জন-আকাঙ্ক্ষা বিরুদ্ধে গিয়ে অপকৌশল করলে জনগণ রাস্তায় নামবে। দেশের মানুষ গণ-আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।’

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘ঘোষণা অনুযায়ী নিরপেক্ষ ভূমিকা থেকে কেউ সরে গেলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নির্বাচন আয়োজন করবেন, তাঁদের নিরপেক্ষতার সামান্য বিচ্যুতিও সন্দেহ তৈরি করবে। জনগণের আস্থা হারালে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মু. মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য ও সাবেক জেলা আমির আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ শাহজাহান, কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মু. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক উপজেলা জামায়াতের আমির ভিপি সাহাব উদ্দিন।

উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা ইব্রাহীম, আয়ুব আলী ফরায়েজী, সাবেক উপজেলা দক্ষিণ আমির শাহ মিজানুর রহমান, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, পৌর সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন ওপেল প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড: স্বল্পমূল্যের পণ্যবঞ্চিত দেড় কোটির বেশি দরিদ্র মানুষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচন ঠেকানোর কোনো শক্তি নাই: শফিকুল আলম

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫৭
আজ দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দল থাকলে মতবিরোধ থাকবে, একেক পার্টি একেক কথা বলবে, এটাই নিয়ম; সারা বিশ্বে এমনই হয়। কিন্তু কোনো উত্তাপই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারণ, অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটাকে ঠেকানোর কোনো শক্তি নাই।’

আজ শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মাইন্ড ব্রিজ অ্যান্ড নলেজ কম্পিটিশন’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে অনেকগুলো বড় কাজ করেছে। সকলকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা দেশের মানুষের মঙ্গলে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং সকল দলের জন্য মঙ্গল—এমন সব কাজই করবে। ইতিমধ্যে সরকার জুলাই সনদ ডিক্লার (ঘোষণা) করেছে, জুলাই সনদে স্বাক্ষর হয়েছে। এর আগে অনেকগুলো কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে, অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা গেছে, ট্রায়ালের কাজগুলোও হচ্ছে।’

‘মাইন্ড ব্রিজ অ্যান্ড নলেজ কম্পিটিশন’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শফিকুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘মাইন্ড ব্রিজ অ্যান্ড নলেজ কম্পিটিশন’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শফিকুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রেস সচিব জানান, ‘আগামী ১৩ তারিখ কোর্ট হয়তো শেখ হাসিনার বিচারের দিনক্ষণ জানাবে। অন্যান্য যত ইস্যু আছে, সবগুলো ইস্যু নিয়েই কাজ হচ্ছে।’

এ সময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাইলসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড: স্বল্পমূল্যের পণ্যবঞ্চিত দেড় কোটির বেশি দরিদ্র মানুষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপির রাজশাহী মহানগর কমিটি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
মোবাশ্বের আলী (বাঁয়ে) ও আতিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
মোবাশ্বের আলী (বাঁয়ে) ও আতিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ৬ মাসের জন্য ৬৪ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন দেন।

এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে সদ্য বিলুপ্ত সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীকে। আর সদস্যসচিব করা হয়েছে জুলাই যোদ্ধা আতিকুর রহমানকে। এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার মো. মোবাশ্বের হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, মাহফুজুর রহমান জুয়েলকে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব এবং আবির হাসনাতকে মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানবিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।

কমিটিতে চারজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, পাঁচজনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, তিনজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৪৭ জনকে সদস্য করা হয়েছে। এর আগে গত জুনে সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

দ্রুতই রাজশাহী জেলা ও বিভাগের অন্য জেলাগুলোয় নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার কথা রয়েছে। এ জন্য গত মঙ্গলবার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রাজশাহী এসেছিলেন। তাঁরা পদপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড: স্বল্পমূল্যের পণ্যবঞ্চিত দেড় কোটির বেশি দরিদ্র মানুষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরকারের কাছে জানতে চাই, আমাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো না কেন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী মিলন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৩৮
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। তাঁর বিদেশযাত্রা কেন আটকে দেওয়া হলো, তার ব্যাখ্যা তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চেয়েছেন।

মিলন বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। আমাকেও অপ্রত্যাশিতভাবে বিদেশে যেতে না দেওয়ার ঘটনা অতীতের সেই ন্যক্কারজনক স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসব কথা বলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল এহছানুল হক মিলনের। সে সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মিলন বলেন, ‘অতীতে বিরোধীপক্ষের কাউকে বিদেশ গমন করতে না দেওয়া অত্যাচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমি ও আমার পরিবারসহ বিএনপি তথা ভিন্নমতাদর্শী ব্যক্তিদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের ইতিহাস রয়েছে। আমি বর্তমান সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন আমাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হলো না? এই সরকার মহান চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে।’

মিলন আরও বলেন, ‘আমি ২০ অক্টোবর থেকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে অবস্থান করছিলাম। সেখানে অবস্থানকালেই জানতে পারি, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠকে আমাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দলের নির্দেশনা পেয়ে আমি চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে ২৫ অক্টোবর ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফিরে আসি। দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করি। ৩০ অক্টোবর পুনরায় ব্যাংককে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। যাত্রাকালীন সময়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কাউন্টারে জানতে পারি, আমার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়ে কোনো সদুত্তর পাইনি।’

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকারের কোনো সংস্থা বা বিভাগ কারও ভুল তথ্যে বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। আমিসহ দেশের সব নাগরিকের অধিকার রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি।’

১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন মিলন। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে পরাজিত করে তিনি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন এবং পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড: স্বল্পমূল্যের পণ্যবঞ্চিত দেড় কোটির বেশি দরিদ্র মানুষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত