Ajker Patrika

সরকারের কাছে জানতে চাই, আমাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো না কেন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী মিলন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৩৮
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। তাঁর বিদেশযাত্রা কেন আটকে দেওয়া হলো, তার ব্যাখ্যা তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চেয়েছেন।

মিলন বলেছেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। আমাকেও অপ্রত্যাশিতভাবে বিদেশে যেতে না দেওয়ার ঘটনা অতীতের সেই ন্যক্কারজনক স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এসব কথা বলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল এহছানুল হক মিলনের। সে সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, তাঁর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে মিলন বলেন, ‘অতীতে বিরোধীপক্ষের কাউকে বিদেশ গমন করতে না দেওয়া অত্যাচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমি ও আমার পরিবারসহ বিএনপি তথা ভিন্নমতাদর্শী ব্যক্তিদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের ইতিহাস রয়েছে। আমি বর্তমান সরকারের কাছে জানতে চাই, কেন আমাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হলো না? এই সরকার মহান চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে।’

মিলন আরও বলেন, ‘আমি ২০ অক্টোবর থেকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে অবস্থান করছিলাম। সেখানে অবস্থানকালেই জানতে পারি, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বৈঠকে আমাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দলের নির্দেশনা পেয়ে আমি চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে ২৫ অক্টোবর ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফিরে আসি। দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করি। ৩০ অক্টোবর পুনরায় ব্যাংককে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। যাত্রাকালীন সময়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কাউন্টারে জানতে পারি, আমার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চেয়ে কোনো সদুত্তর পাইনি।’

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সরকারের কোনো সংস্থা বা বিভাগ কারও ভুল তথ্যে বা ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। আমিসহ দেশের সব নাগরিকের অধিকার রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি।’

১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন মিলন। পরে ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে পরাজিত করে তিনি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হন এবং পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ