শিমুল চৌধুরী, ভোলা

২০০৫ সাল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সালাউদ্দিন ফরাজির বয়স ছিল তখন ৪৫ বছর। পাঁচ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গাজীপুরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে রওনা দেন।
এর পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর মধ্যে কেটে গেছে ২০ বছর। সালাউদ্দিন ফরাজির কোনো সন্ধান নেই। অবশেষে দীর্ঘ ২০ বছর পর খোঁজ মিলেছে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ সালাউদ্দিন ফরাজির। ফিরে এলেন নিজ গ্রামে তাঁর পরিবারের কাছে।
সালাউদ্দিন ফরাজির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার নংলাপাতা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জয়নাল ফরাজির ছেলে।
নিখোঁজ সালাউদ্দিন ফরাজির পরিবারের সদস্যরা জানান, কর্মের জন্য স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রাজধানী ঢাকায় পাড়ি জমান সালাউদ্দিন। তিনি সেখানে রিকশা চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতেন।
২০০৫ সালের দিকে সালাউদ্দিন ফরাজির মেজ মেয়ের বাসা গাজীপুরে বেড়ানোর উদ্দেশে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হন। এর পর থেকে নিখোঁজ হন। তাঁর সন্ধান চেয়ে পরিবারের লোকজন বহু চেষ্টা করেও আর খোঁজ পাননি।
পরিবারের লোকজন ধরে নিয়েছিলেন হয়তো তিনি আর জীবিত নেই। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর নিজের বাড়ি ফিরলেন সালাউদ্দিন ফরাজি। বৃদ্ধ বয়সেও সালাউদ্দিনকে চিনতে ভুল করেননি তাঁর পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ ২০ বছর পর সালাউদ্দিন ফরাজিকে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁর পরিবারের লোকজনও।
সালাউদ্দিনের বড় মেয়ে রেখা বেগম জানান, তাঁর বাবা নিখোঁজের সময় তিনি এক সন্তানের জননী ছিলেন। মেজ বোনকে বিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা গাজীপুরে বসবাস শুরু করেন। ২০০৫ সালে দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। বাবা মেজ বোনের বাসায় বেড়াতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর বাবা নিখোঁজ। বহু খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর বাবাকে আর ফিরে পাননি। তাঁরা ভেবে নিয়েছেন, হয়তো তাঁদের বাবা আর বেঁচে নেই।
১৬ জুলাই চরফ্যাশন উপজেলার মায়া ব্রিজ এলাকায় কিছু লোক তাঁর বাবাকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবে নিয়েছেন, তিনিই সালাউদ্দিন ফরাজি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
রেখা বেগম বলেন, তাঁর বাবা বর্তমানে কথা বলতে পারছেন না। অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে বাবাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
তাঁর বাবা যেন বাকিটা সময় তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন, সেই আশা করেন সালাউদ্দিন ফরাজির বড় মেয়ে রেখা বেগম। তিনি আরও বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার পর ফিরে পাওয়া বাবাকে নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলায় থানায় জিডি করেছি। তবে আমার বাবা ও আমাদের ডিএনএ করবে পুলিশ।’
সালাউদ্দিন ফরাজির স্ত্রী মাসুমা জানান, তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ছেলেসন্তানদের নিয়ে বহু কষ্টে দিন পার করেছেন তিনি। কখনো খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের আগলে রেখেছেন। তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার আগে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে বাসায় রেখে অন্যের বাসায় কাজ করেছেন। পরে সন্তানেরাও কর্মে নেমে পড়েছেন।
মাসুমা বলেন, ‘স্বামীর অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘ ২০ বছর। ভেবেছি স্বামী বেঁচে থাকলে কোনো একসময় ফিরে আসবেন। আবার কখনো মনে হয়েছিল, তিনি হয়তো বেঁচে নেই। দীর্ঘ ২০ বছর পর স্বামীকে ফিরে পেয়ে তাঁকে নিয়েই বাকি জীবনটা পার করতে চাই।’
জানতে চাইলে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল আজ দুপুরে আজকের পত্রিকাকে জানান, সালাউদ্দিন ফরাজির মেয়ে রেখা এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে ফিরে আসা সালাউদ্দিন ফরাজি তাঁর বাবা কি না, তা শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তখনই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

২০০৫ সাল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সালাউদ্দিন ফরাজির বয়স ছিল তখন ৪৫ বছর। পাঁচ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গাজীপুরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে রওনা দেন।
এর পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর মধ্যে কেটে গেছে ২০ বছর। সালাউদ্দিন ফরাজির কোনো সন্ধান নেই। অবশেষে দীর্ঘ ২০ বছর পর খোঁজ মিলেছে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ সালাউদ্দিন ফরাজির। ফিরে এলেন নিজ গ্রামে তাঁর পরিবারের কাছে।
সালাউদ্দিন ফরাজির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার নংলাপাতা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জয়নাল ফরাজির ছেলে।
নিখোঁজ সালাউদ্দিন ফরাজির পরিবারের সদস্যরা জানান, কর্মের জন্য স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রাজধানী ঢাকায় পাড়ি জমান সালাউদ্দিন। তিনি সেখানে রিকশা চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতেন।
২০০৫ সালের দিকে সালাউদ্দিন ফরাজির মেজ মেয়ের বাসা গাজীপুরে বেড়ানোর উদ্দেশে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হন। এর পর থেকে নিখোঁজ হন। তাঁর সন্ধান চেয়ে পরিবারের লোকজন বহু চেষ্টা করেও আর খোঁজ পাননি।
পরিবারের লোকজন ধরে নিয়েছিলেন হয়তো তিনি আর জীবিত নেই। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর নিজের বাড়ি ফিরলেন সালাউদ্দিন ফরাজি। বৃদ্ধ বয়সেও সালাউদ্দিনকে চিনতে ভুল করেননি তাঁর পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ ২০ বছর পর সালাউদ্দিন ফরাজিকে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁর পরিবারের লোকজনও।
সালাউদ্দিনের বড় মেয়ে রেখা বেগম জানান, তাঁর বাবা নিখোঁজের সময় তিনি এক সন্তানের জননী ছিলেন। মেজ বোনকে বিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা গাজীপুরে বসবাস শুরু করেন। ২০০৫ সালে দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। বাবা মেজ বোনের বাসায় বেড়াতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর বাবা নিখোঁজ। বহু খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর বাবাকে আর ফিরে পাননি। তাঁরা ভেবে নিয়েছেন, হয়তো তাঁদের বাবা আর বেঁচে নেই।
১৬ জুলাই চরফ্যাশন উপজেলার মায়া ব্রিজ এলাকায় কিছু লোক তাঁর বাবাকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবে নিয়েছেন, তিনিই সালাউদ্দিন ফরাজি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
রেখা বেগম বলেন, তাঁর বাবা বর্তমানে কথা বলতে পারছেন না। অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে বাবাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
তাঁর বাবা যেন বাকিটা সময় তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন, সেই আশা করেন সালাউদ্দিন ফরাজির বড় মেয়ে রেখা বেগম। তিনি আরও বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার পর ফিরে পাওয়া বাবাকে নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলায় থানায় জিডি করেছি। তবে আমার বাবা ও আমাদের ডিএনএ করবে পুলিশ।’
সালাউদ্দিন ফরাজির স্ত্রী মাসুমা জানান, তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ছেলেসন্তানদের নিয়ে বহু কষ্টে দিন পার করেছেন তিনি। কখনো খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের আগলে রেখেছেন। তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার আগে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে বাসায় রেখে অন্যের বাসায় কাজ করেছেন। পরে সন্তানেরাও কর্মে নেমে পড়েছেন।
মাসুমা বলেন, ‘স্বামীর অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘ ২০ বছর। ভেবেছি স্বামী বেঁচে থাকলে কোনো একসময় ফিরে আসবেন। আবার কখনো মনে হয়েছিল, তিনি হয়তো বেঁচে নেই। দীর্ঘ ২০ বছর পর স্বামীকে ফিরে পেয়ে তাঁকে নিয়েই বাকি জীবনটা পার করতে চাই।’
জানতে চাইলে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল আজ দুপুরে আজকের পত্রিকাকে জানান, সালাউদ্দিন ফরাজির মেয়ে রেখা এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে ফিরে আসা সালাউদ্দিন ফরাজি তাঁর বাবা কি না, তা শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তখনই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শিমুল চৌধুরী, ভোলা

২০০৫ সাল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সালাউদ্দিন ফরাজির বয়স ছিল তখন ৪৫ বছর। পাঁচ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গাজীপুরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে রওনা দেন।
এর পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর মধ্যে কেটে গেছে ২০ বছর। সালাউদ্দিন ফরাজির কোনো সন্ধান নেই। অবশেষে দীর্ঘ ২০ বছর পর খোঁজ মিলেছে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ সালাউদ্দিন ফরাজির। ফিরে এলেন নিজ গ্রামে তাঁর পরিবারের কাছে।
সালাউদ্দিন ফরাজির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার নংলাপাতা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জয়নাল ফরাজির ছেলে।
নিখোঁজ সালাউদ্দিন ফরাজির পরিবারের সদস্যরা জানান, কর্মের জন্য স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রাজধানী ঢাকায় পাড়ি জমান সালাউদ্দিন। তিনি সেখানে রিকশা চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতেন।
২০০৫ সালের দিকে সালাউদ্দিন ফরাজির মেজ মেয়ের বাসা গাজীপুরে বেড়ানোর উদ্দেশে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হন। এর পর থেকে নিখোঁজ হন। তাঁর সন্ধান চেয়ে পরিবারের লোকজন বহু চেষ্টা করেও আর খোঁজ পাননি।
পরিবারের লোকজন ধরে নিয়েছিলেন হয়তো তিনি আর জীবিত নেই। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর নিজের বাড়ি ফিরলেন সালাউদ্দিন ফরাজি। বৃদ্ধ বয়সেও সালাউদ্দিনকে চিনতে ভুল করেননি তাঁর পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ ২০ বছর পর সালাউদ্দিন ফরাজিকে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁর পরিবারের লোকজনও।
সালাউদ্দিনের বড় মেয়ে রেখা বেগম জানান, তাঁর বাবা নিখোঁজের সময় তিনি এক সন্তানের জননী ছিলেন। মেজ বোনকে বিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা গাজীপুরে বসবাস শুরু করেন। ২০০৫ সালে দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। বাবা মেজ বোনের বাসায় বেড়াতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর বাবা নিখোঁজ। বহু খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর বাবাকে আর ফিরে পাননি। তাঁরা ভেবে নিয়েছেন, হয়তো তাঁদের বাবা আর বেঁচে নেই।
১৬ জুলাই চরফ্যাশন উপজেলার মায়া ব্রিজ এলাকায় কিছু লোক তাঁর বাবাকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবে নিয়েছেন, তিনিই সালাউদ্দিন ফরাজি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
রেখা বেগম বলেন, তাঁর বাবা বর্তমানে কথা বলতে পারছেন না। অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে বাবাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
তাঁর বাবা যেন বাকিটা সময় তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন, সেই আশা করেন সালাউদ্দিন ফরাজির বড় মেয়ে রেখা বেগম। তিনি আরও বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার পর ফিরে পাওয়া বাবাকে নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলায় থানায় জিডি করেছি। তবে আমার বাবা ও আমাদের ডিএনএ করবে পুলিশ।’
সালাউদ্দিন ফরাজির স্ত্রী মাসুমা জানান, তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ছেলেসন্তানদের নিয়ে বহু কষ্টে দিন পার করেছেন তিনি। কখনো খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের আগলে রেখেছেন। তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার আগে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে বাসায় রেখে অন্যের বাসায় কাজ করেছেন। পরে সন্তানেরাও কর্মে নেমে পড়েছেন।
মাসুমা বলেন, ‘স্বামীর অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘ ২০ বছর। ভেবেছি স্বামী বেঁচে থাকলে কোনো একসময় ফিরে আসবেন। আবার কখনো মনে হয়েছিল, তিনি হয়তো বেঁচে নেই। দীর্ঘ ২০ বছর পর স্বামীকে ফিরে পেয়ে তাঁকে নিয়েই বাকি জীবনটা পার করতে চাই।’
জানতে চাইলে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল আজ দুপুরে আজকের পত্রিকাকে জানান, সালাউদ্দিন ফরাজির মেয়ে রেখা এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে ফিরে আসা সালাউদ্দিন ফরাজি তাঁর বাবা কি না, তা শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তখনই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

২০০৫ সাল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সালাউদ্দিন ফরাজির বয়স ছিল তখন ৪৫ বছর। পাঁচ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গাজীপুরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে রওনা দেন।
এর পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর মধ্যে কেটে গেছে ২০ বছর। সালাউদ্দিন ফরাজির কোনো সন্ধান নেই। অবশেষে দীর্ঘ ২০ বছর পর খোঁজ মিলেছে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ সালাউদ্দিন ফরাজির। ফিরে এলেন নিজ গ্রামে তাঁর পরিবারের কাছে।
সালাউদ্দিন ফরাজির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার নংলাপাতা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জয়নাল ফরাজির ছেলে।
নিখোঁজ সালাউদ্দিন ফরাজির পরিবারের সদস্যরা জানান, কর্মের জন্য স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রাজধানী ঢাকায় পাড়ি জমান সালাউদ্দিন। তিনি সেখানে রিকশা চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ জোগাতেন।
২০০৫ সালের দিকে সালাউদ্দিন ফরাজির মেজ মেয়ের বাসা গাজীপুরে বেড়ানোর উদ্দেশে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হন। এর পর থেকে নিখোঁজ হন। তাঁর সন্ধান চেয়ে পরিবারের লোকজন বহু চেষ্টা করেও আর খোঁজ পাননি।
পরিবারের লোকজন ধরে নিয়েছিলেন হয়তো তিনি আর জীবিত নেই। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর নিজের বাড়ি ফিরলেন সালাউদ্দিন ফরাজি। বৃদ্ধ বয়সেও সালাউদ্দিনকে চিনতে ভুল করেননি তাঁর পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ ২০ বছর পর সালাউদ্দিন ফরাজিকে ফিরে পেয়ে খুশি তাঁর পরিবারের লোকজনও।
সালাউদ্দিনের বড় মেয়ে রেখা বেগম জানান, তাঁর বাবা নিখোঁজের সময় তিনি এক সন্তানের জননী ছিলেন। মেজ বোনকে বিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা গাজীপুরে বসবাস শুরু করেন। ২০০৫ সালে দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। বাবা মেজ বোনের বাসায় বেড়াতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর বাবা নিখোঁজ। বহু খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর বাবাকে আর ফিরে পাননি। তাঁরা ভেবে নিয়েছেন, হয়তো তাঁদের বাবা আর বেঁচে নেই।
১৬ জুলাই চরফ্যাশন উপজেলার মায়া ব্রিজ এলাকায় কিছু লোক তাঁর বাবাকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবে নিয়েছেন, তিনিই সালাউদ্দিন ফরাজি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
রেখা বেগম বলেন, তাঁর বাবা বর্তমানে কথা বলতে পারছেন না। অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে বাবাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
তাঁর বাবা যেন বাকিটা সময় তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন, সেই আশা করেন সালাউদ্দিন ফরাজির বড় মেয়ে রেখা বেগম। তিনি আরও বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার পর ফিরে পাওয়া বাবাকে নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলায় থানায় জিডি করেছি। তবে আমার বাবা ও আমাদের ডিএনএ করবে পুলিশ।’
সালাউদ্দিন ফরাজির স্ত্রী মাসুমা জানান, তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ছেলেসন্তানদের নিয়ে বহু কষ্টে দিন পার করেছেন তিনি। কখনো খেয়ে না খেয়ে সন্তানদের আগলে রেখেছেন। তাঁর স্বামী নিখোঁজ হওয়ার আগে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে বাসায় রেখে অন্যের বাসায় কাজ করেছেন। পরে সন্তানেরাও কর্মে নেমে পড়েছেন।
মাসুমা বলেন, ‘স্বামীর অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘ ২০ বছর। ভেবেছি স্বামী বেঁচে থাকলে কোনো একসময় ফিরে আসবেন। আবার কখনো মনে হয়েছিল, তিনি হয়তো বেঁচে নেই। দীর্ঘ ২০ বছর পর স্বামীকে ফিরে পেয়ে তাঁকে নিয়েই বাকি জীবনটা পার করতে চাই।’
জানতে চাইলে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল আজ দুপুরে আজকের পত্রিকাকে জানান, সালাউদ্দিন ফরাজির মেয়ে রেখা এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে ফিরে আসা সালাউদ্দিন ফরাজি তাঁর বাবা কি না, তা শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তখনই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছ
২ মিনিট আগে
বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি করে অভিযানকারীদের ফিরে আসার মতো ঘটনাও ঘটছে। এদিকে হিজলা উপজেলায় জেলেদের হামলা প্রতিহতে নদীতে জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ দিনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অন্তত ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে
৯ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দ ভিজিডি কার্ড (ভিডব্লিউবি) বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত দরিদ্ররা নয়, কার্ড পেয়েছেন ইউপি সদস্যের মেয়ে, প্রবাসীর স্ত্রী, চাকরিজীবীর পরিবার, এমনকি ১৫ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ির মালিকেরাও।
১৩ মিনিট আগে
দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। একসময় উদ্যানটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাস ছিল। ছিল তাদের অবাধ বিচরণ। তবে সম্প্রতি অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা, চুরি করে গাছ-বাঁশ উজাড়, বনের ভেতরে রেল, সড়কপথসহ বিভিন্ন কারণে প্রাণীর অবাধ বিচরণ কমে গেছে।
১৯ মিনিট আগেকার্গো ভিলেজে আগুন
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছু পুড়ে যায়। বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বেবিচক বলেছে, ভবনটির যেখানে আগুন লাগে, তার সামনে একটি টিনের শেড এবং নিচে আমদানি করা টন টন পণ্যের স্তূপ থাকায় বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ গাড়ি নিয়ে দ্রুত পানি দিতে পারেনি। এতে দেরি হয়। পরে তারা বাইরে ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
বেবিচক জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের উত্তর পাশে বেবিচক কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের দপ্তর। এই বিভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন পরিচালক আবু সালেহ মো. খালেক। এই বিভাগের সদস্যরা দুই বছর পরপর শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে ডামি উড়োজাহাজ তৈরি করে আগুন নেভানোর মহড়া করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে মহড়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জনবল, যানবাহন, প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা রয়েছে।
বেবিচক সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের আগুন নেভানোর চারটি যানবাহন রয়েছে, একটি প্রোটেক্টর গাড়ি, একটি রোজেনবাওয়ার ও দুটি মরিতা। তবে একটি মরিতা গাড়ি নষ্ট। প্রোটেক্টর গাড়িতে একবারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার লিটার পানি ও ১ হাজার ৫০০ লিটার ফোম বহন করা যায়। অপর গাড়িগুলোতে ১০ হাজার লিটার পানি ও ১ হাজার ২০০ লিটার ফোম বহন করা যায়। গাড়ির পানি বা ফোম শেষ হলে আবার ভরতে হয়।
সূত্র জানায়, এসব গাড়ির নকশা আলাদা। এগুলো উড়োজাহাজের আগুন নেভানোর জন্য তৈরি। এসব গাড়ির সঙ্গে বড় পাইপের সংযোগ কম করা থাকে। অর্থাৎ ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ির চেয়ে এগুলো ভিন্ন। তাই বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের আগুনে পানি ছুড়ে তেমন সফল হয়নি।
দুটি সংস্থার প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ৯ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা শুরুর দিকে বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ দলকে সাহায্য করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলের ৩০০ মিটারের মধ্যেই বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ। কিন্তু তারা আগুনের কাছে এসে তাৎক্ষণিক পানি দিতে পারেনি। প্রথমে ধোঁয়া দেখে ভবনটির সামনের সড়কের আনসার সদস্যরা দ্রুত বিষয়টি জানান। এরপর বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ দলের একটি গাড়ি মাঠ দিয়ে আগুনের দিকে এগোনের চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের সূত্রপাতস্থলের সামনে একটি টিনের বড় শেড ও তার সামনে খোলা মাঠে কয়েক শ’ টন আমদানি করা ভারি মালামাল রাখা ছিল। এসব মালামাল সরিয়ে ওই গাড়ির পানি পৌঁছাতে পারেনি। এরপর বাইরে এসে পানি দেওয়ার চেষ্টা করার সময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে এলাকাটির প্রতিটি ফটকে ছিল কড়াকড়ি। কেউ প্রথমে ধারণা করেননি, আগুন এত তীব্র হবে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে যোগ দেয়। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক কুরিয়ার এলাকার সামনের ফটক ভেঙে ফেলেন। কিন্তু আগুন এর মধ্যেই ছড়িয়ে যায়।
সূত্র জানায়, বেবিচকের অগ্নিনির্বাপক দলের প্রতিটি গাড়ির জন্য চালকসহ ছয়জন স্টাফ রয়েছেন। সেই হিসাবে চার গাড়ির জন্য ২৪ জন ফায়ার ফাইটার রয়েছেন। তারা শিফটে দায়িত্ব পালন করেন।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেনটেইন্যান্স শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আগুন নেভার পর সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য যথেষ্ট প্রটেকশন ছিল না।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বেবিচকের কর্মকর্তারা জানান, বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক আজ মঙ্গলবার সব বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের জায়গায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ৩৬ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসাধীন এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বিপুল নামে আনসারের এক সদস্য গাড়ি চাপায় বিমানবন্দরের সামনের সড়কে নিহত হন।
গতকাল দেখা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় বিকল্প ব্যবস্থা চালু হলেও আমদানি পণ্য ছাড় ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি। সচল করা যায়নি পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজের নেটওয়ার্কিং সিস্টেম। ফলে আমদানির মালামাল ছাড়ের আংশিক কার্যক্রম চলছে বিমানের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ দিয়ে। এতে কার্যক্রমে ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানিকারক ও এজেন্টরা।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছু পুড়ে যায়। বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বেবিচক বলেছে, ভবনটির যেখানে আগুন লাগে, তার সামনে একটি টিনের শেড এবং নিচে আমদানি করা টন টন পণ্যের স্তূপ থাকায় বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ গাড়ি নিয়ে দ্রুত পানি দিতে পারেনি। এতে দেরি হয়। পরে তারা বাইরে ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
বেবিচক জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের উত্তর পাশে বেবিচক কর্তৃপক্ষের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের দপ্তর। এই বিভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন পরিচালক আবু সালেহ মো. খালেক। এই বিভাগের সদস্যরা দুই বছর পরপর শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে ডামি উড়োজাহাজ তৈরি করে আগুন নেভানোর মহড়া করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুনে মহড়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জনবল, যানবাহন, প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা রয়েছে।
বেবিচক সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের আগুন নেভানোর চারটি যানবাহন রয়েছে, একটি প্রোটেক্টর গাড়ি, একটি রোজেনবাওয়ার ও দুটি মরিতা। তবে একটি মরিতা গাড়ি নষ্ট। প্রোটেক্টর গাড়িতে একবারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার লিটার পানি ও ১ হাজার ৫০০ লিটার ফোম বহন করা যায়। অপর গাড়িগুলোতে ১০ হাজার লিটার পানি ও ১ হাজার ২০০ লিটার ফোম বহন করা যায়। গাড়ির পানি বা ফোম শেষ হলে আবার ভরতে হয়।
সূত্র জানায়, এসব গাড়ির নকশা আলাদা। এগুলো উড়োজাহাজের আগুন নেভানোর জন্য তৈরি। এসব গাড়ির সঙ্গে বড় পাইপের সংযোগ কম করা থাকে। অর্থাৎ ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ির চেয়ে এগুলো ভিন্ন। তাই বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের আগুনে পানি ছুড়ে তেমন সফল হয়নি।
দুটি সংস্থার প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ৯ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা শুরুর দিকে বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ দলকে সাহায্য করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলের ৩০০ মিটারের মধ্যেই বেবিচকের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ। কিন্তু তারা আগুনের কাছে এসে তাৎক্ষণিক পানি দিতে পারেনি। প্রথমে ধোঁয়া দেখে ভবনটির সামনের সড়কের আনসার সদস্যরা দ্রুত বিষয়টি জানান। এরপর বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ দলের একটি গাড়ি মাঠ দিয়ে আগুনের দিকে এগোনের চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনের সূত্রপাতস্থলের সামনে একটি টিনের বড় শেড ও তার সামনে খোলা মাঠে কয়েক শ’ টন আমদানি করা ভারি মালামাল রাখা ছিল। এসব মালামাল সরিয়ে ওই গাড়ির পানি পৌঁছাতে পারেনি। এরপর বাইরে এসে পানি দেওয়ার চেষ্টা করার সময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে এলাকাটির প্রতিটি ফটকে ছিল কড়াকড়ি। কেউ প্রথমে ধারণা করেননি, আগুন এত তীব্র হবে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে যোগ দেয়। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক কুরিয়ার এলাকার সামনের ফটক ভেঙে ফেলেন। কিন্তু আগুন এর মধ্যেই ছড়িয়ে যায়।
সূত্র জানায়, বেবিচকের অগ্নিনির্বাপক দলের প্রতিটি গাড়ির জন্য চালকসহ ছয়জন স্টাফ রয়েছেন। সেই হিসাবে চার গাড়ির জন্য ২৪ জন ফায়ার ফাইটার রয়েছেন। তারা শিফটে দায়িত্ব পালন করেন।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেনটেইন্যান্স শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আগুন নেভার পর সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য যথেষ্ট প্রটেকশন ছিল না।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বেবিচকের কর্মকর্তারা জানান, বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক আজ মঙ্গলবার সব বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো ভবনের আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের জায়গায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ৩৬ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসাধীন এবং বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বিপুল নামে আনসারের এক সদস্য গাড়ি চাপায় বিমানবন্দরের সামনের সড়কে নিহত হন।
গতকাল দেখা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় বিকল্প ব্যবস্থা চালু হলেও আমদানি পণ্য ছাড় ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি। সচল করা যায়নি পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজের নেটওয়ার্কিং সিস্টেম। ফলে আমদানির মালামাল ছাড়ের আংশিক কার্যক্রম চলছে বিমানের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ দিয়ে। এতে কার্যক্রমে ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানিকারক ও এজেন্টরা।

২০০৫ সাল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সালাউদ্দিন ফরাজির বয়স ছিল তখন ৪৫ বছর। পাঁচ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গাজীপুরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে রওনা দেন।
৩০ জুলাই ২০২৫
বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি করে অভিযানকারীদের ফিরে আসার মতো ঘটনাও ঘটছে। এদিকে হিজলা উপজেলায় জেলেদের হামলা প্রতিহতে নদীতে জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ দিনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অন্তত ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে
৯ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দ ভিজিডি কার্ড (ভিডব্লিউবি) বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত দরিদ্ররা নয়, কার্ড পেয়েছেন ইউপি সদস্যের মেয়ে, প্রবাসীর স্ত্রী, চাকরিজীবীর পরিবার, এমনকি ১৫ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ির মালিকেরাও।
১৩ মিনিট আগে
দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। একসময় উদ্যানটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাস ছিল। ছিল তাদের অবাধ বিচরণ। তবে সম্প্রতি অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা, চুরি করে গাছ-বাঁশ উজাড়, বনের ভেতরে রেল, সড়কপথসহ বিভিন্ন কারণে প্রাণীর অবাধ বিচরণ কমে গেছে।
১৯ মিনিট আগেখান রফিক, বরিশাল

বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি করে অভিযানকারীদের ফিরে আসার মতো ঘটনাও ঘটছে। এদিকে হিজলা উপজেলায় জেলেদের হামলা প্রতিহতে নদীতে জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ দিনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অন্তত ১২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে চলতি মাসের ৪ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৬ দিনে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় অভিযানের সংখ্যা ২ হাজার ৩৯৭টি, মামলা করা হয়েছে ৮৭০টি, জেল হয়েছে ৫৮৯ জনের। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় অভিযানের সংখ্যা ৭৭৪টি, মামলা ৫০৬টি, জেল হয়েছে ৩৩৫ জনের।
শুধু অভিযানকারী দলের ওপরই হামলা নয়; ইলিশ নিধনকারী দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে এ কয়েকদিনে।
১৯ অক্টোবর হিজলার মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অভিযানকারী দলের ১৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৮টি গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে ১৮ অক্টোবর বরিশাল ও মেহেন্দীগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নসংলগ্ন কালাবদর নদীতেও জেলেদের হামলার শিকার হয় আভিযানিক দল। ওই দিনের বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসাইন বলেন, ‘জান নিয়ে কোনো রকমে পালিয়ে এসেছি। হামলাকারীদের মোকাবিলা করতে আনসার সদস্যরা ২০টি ফাঁকা গুলি করেছেন। তা না হলে আমরা প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না।’
এদিকে ১৩ অক্টোবর বাবুগঞ্জ উপজেলার সুগন্ধা নদীতে ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই গ্রুপ মৌসুমি জেলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়।
১১ অক্টোবর মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলার একাংশের গভীর মেঘনায় ইলিশ নিধনকারী জেলেদের হামলায় ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিনসহ ১০ জন আহত হন। ১০ অক্টোবর হাজিরহাট এলাকার কালাবদর নদীর লাল বয়াসংলগ্ন এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শাকিল হাওলাদার (২৪) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার জেলে তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘তাঁরা নদীতে নামবেন না। কিন্তু প্রায় এক মাস পেট চলবে কী করে? দেনা কীভাবে মেটাবেন? সব জেলে নদীতে নামে না। যারা এখন নামে তারা মৌসুমে এসেছে, এরপর আর তাদের দেখা যাবে না। কিন্তু মামলা আর জেলে পচে মরে সাধারণ জেলেরা।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাবুল মীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মা ইলিশ নিধন এবং অভিযানে হামলা করা দুঃখজনক ঘটনা। এভাবে মা ইলিশ ধ্বংস করলে জেলেরা একসময় বেকার হয়ে যাবে। মৌসুমি জেলেরা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে মৎস্য উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এক সভায় তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, নিরীহ জেলেদের জেল-জরিমানা না দিয়ে বিকল্প শাস্তি দিতে। জেল দিলে জেলেদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। উপদেষ্টাও এসব কথায় একমত পোষণ করেছেন।
জানতে চাইলে ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অধিকাংশ সাধারণ জেলে এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। কিছু আছে ডাকাতের মতো। অপেশাদার লোকজন ইলিশ নিধনে যুক্ত হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এদের মদদ দিচ্ছে। বড় ট্রলারে সশস্ত্র হয়ে তারা হামলা করে আমার মাথাও ফাটিয়েছে। এজন্য সতর্ক হয়ে আমাদের এগোতে হয়।’ তিনি দাবি করেন, ‘অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছরের জেল দেওয়া দরকার। জনবল এবং বড় স্পিডবোট আরও দরকার। হামলা এবং বেপরোয়াভাবে মাছ ধরলে আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া কিছু করার নেই। তবে জেলেদের মাছ ধরায় বিরত রাখতে পারাটাই আমাদের সর্বাগ্রে প্রয়োজন।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওমর সানি বলেন, এ বছর মেহেন্দীগঞ্জে হামলার ঘটনা কম, যত হামলা সব হিজলায় হয়েছে।
হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, জেলেদের ইটপাটকেল ও বাঁশের হামলা প্রতিহত করতে গতকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস নদীতে জলকামান ব্যবহার করছে।
অভিযানে জেলেদের হামলার প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ আজকের পত্রিকাকে জানান, উভয়পক্ষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না সে বিষয় মাথায় রেখে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি করে অভিযানকারীদের ফিরে আসার মতো ঘটনাও ঘটছে। এদিকে হিজলা উপজেলায় জেলেদের হামলা প্রতিহতে নদীতে জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ দিনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অন্তত ১২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে চলতি মাসের ৪ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৬ দিনে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় অভিযানের সংখ্যা ২ হাজার ৩৯৭টি, মামলা করা হয়েছে ৮৭০টি, জেল হয়েছে ৫৮৯ জনের। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় অভিযানের সংখ্যা ৭৭৪টি, মামলা ৫০৬টি, জেল হয়েছে ৩৩৫ জনের।
শুধু অভিযানকারী দলের ওপরই হামলা নয়; ইলিশ নিধনকারী দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে এ কয়েকদিনে।
১৯ অক্টোবর হিজলার মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অভিযানকারী দলের ১৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৮টি গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে ১৮ অক্টোবর বরিশাল ও মেহেন্দীগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নসংলগ্ন কালাবদর নদীতেও জেলেদের হামলার শিকার হয় আভিযানিক দল। ওই দিনের বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসাইন বলেন, ‘জান নিয়ে কোনো রকমে পালিয়ে এসেছি। হামলাকারীদের মোকাবিলা করতে আনসার সদস্যরা ২০টি ফাঁকা গুলি করেছেন। তা না হলে আমরা প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না।’
এদিকে ১৩ অক্টোবর বাবুগঞ্জ উপজেলার সুগন্ধা নদীতে ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই গ্রুপ মৌসুমি জেলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়।
১১ অক্টোবর মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলার একাংশের গভীর মেঘনায় ইলিশ নিধনকারী জেলেদের হামলায় ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিনসহ ১০ জন আহত হন। ১০ অক্টোবর হাজিরহাট এলাকার কালাবদর নদীর লাল বয়াসংলগ্ন এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শাকিল হাওলাদার (২৪) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার জেলে তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘তাঁরা নদীতে নামবেন না। কিন্তু প্রায় এক মাস পেট চলবে কী করে? দেনা কীভাবে মেটাবেন? সব জেলে নদীতে নামে না। যারা এখন নামে তারা মৌসুমে এসেছে, এরপর আর তাদের দেখা যাবে না। কিন্তু মামলা আর জেলে পচে মরে সাধারণ জেলেরা।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাবুল মীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মা ইলিশ নিধন এবং অভিযানে হামলা করা দুঃখজনক ঘটনা। এভাবে মা ইলিশ ধ্বংস করলে জেলেরা একসময় বেকার হয়ে যাবে। মৌসুমি জেলেরা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে মৎস্য উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এক সভায় তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, নিরীহ জেলেদের জেল-জরিমানা না দিয়ে বিকল্প শাস্তি দিতে। জেল দিলে জেলেদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়। উপদেষ্টাও এসব কথায় একমত পোষণ করেছেন।
জানতে চাইলে ইলিশসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অধিকাংশ সাধারণ জেলে এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। কিছু আছে ডাকাতের মতো। অপেশাদার লোকজন ইলিশ নিধনে যুক্ত হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এদের মদদ দিচ্ছে। বড় ট্রলারে সশস্ত্র হয়ে তারা হামলা করে আমার মাথাও ফাটিয়েছে। এজন্য সতর্ক হয়ে আমাদের এগোতে হয়।’ তিনি দাবি করেন, ‘অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছরের জেল দেওয়া দরকার। জনবল এবং বড় স্পিডবোট আরও দরকার। হামলা এবং বেপরোয়াভাবে মাছ ধরলে আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া কিছু করার নেই। তবে জেলেদের মাছ ধরায় বিরত রাখতে পারাটাই আমাদের সর্বাগ্রে প্রয়োজন।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওমর সানি বলেন, এ বছর মেহেন্দীগঞ্জে হামলার ঘটনা কম, যত হামলা সব হিজলায় হয়েছে।
হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, জেলেদের ইটপাটকেল ও বাঁশের হামলা প্রতিহত করতে গতকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস নদীতে জলকামান ব্যবহার করছে।
অভিযানে জেলেদের হামলার প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ আজকের পত্রিকাকে জানান, উভয়পক্ষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না সে বিষয় মাথায় রেখে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

২০০৫ সাল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সালাউদ্দিন ফরাজির বয়স ছিল তখন ৪৫ বছর। পাঁচ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গাজীপুরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে রওনা দেন।
৩০ জুলাই ২০২৫
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছ
২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দ ভিজিডি কার্ড (ভিডব্লিউবি) বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত দরিদ্ররা নয়, কার্ড পেয়েছেন ইউপি সদস্যের মেয়ে, প্রবাসীর স্ত্রী, চাকরিজীবীর পরিবার, এমনকি ১৫ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ির মালিকেরাও।
১৩ মিনিট আগে
দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। একসময় উদ্যানটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাস ছিল। ছিল তাদের অবাধ বিচরণ। তবে সম্প্রতি অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা, চুরি করে গাছ-বাঁশ উজাড়, বনের ভেতরে রেল, সড়কপথসহ বিভিন্ন কারণে প্রাণীর অবাধ বিচরণ কমে গেছে।
১৯ মিনিট আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দ ভিজিডি কার্ড (ভিডব্লিউবি) বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত দরিদ্ররা নয়, কার্ড পেয়েছেন ইউপি সদস্যের মেয়ে, প্রবাসীর স্ত্রী, চাকরিজীবীর পরিবার, এমনকি ১৫ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ির মালিকেরাও। ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, সচিব ও এক প্রভাবশালী ইউপি সদস্য মিলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রকৃত দুস্থদের বাদ দিয়ে এই তালিকা করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, কার্ডের জন্য দিতে হয়েছে সাত থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ।
এ ঘটনায় মো. আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তি ইউএনও কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে নানা অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। সরেজমিন অনুসন্ধানেও এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি প্রশাসক ও সচিব একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েছেন। এ ছাড়া তদন্ত চলাকালেই কার্ডধারীরা আগামী দুই মাসের চাল তুলে নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। নির্বাচিত চেয়ারম্যান না থাকায় ইউপি সচিব মো. মহব্বত তালুকদার বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি বিএনপি-সমর্থিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মো. সোলায়মান হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্প, জন্ম ও মৃত্যুসনদ এবং ট্রেড লাইসেন্সসহ সব কাজে অবৈধভাবে টাকা আদায় করে আসছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিজিডি কার্ডের জন্য ইউনিয়নে আবেদন পড়ে ৫৬০টি। গত ডিসেম্বর মাসে যাচাই-বাছাই শেষে ১৬০ জনকে মনোনীত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, কার্ডধারীদের অন্তত ৫০ শতাংশই সচ্ছল পরিবার। প্রতিটি কার্ডের জন্য সাত থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। যাঁরা টাকা দিতে পারেননি, তাঁরা নীতিমালার আওতায় থাকলেও বাদ পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বৃ-পাচান গ্রামে ১১ জন নারী ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৯ জনেরই আধা পাকা বাড়ি ও তিন থেকে ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, এই ওয়ার্ডেই সর্বাধিক কার্ড বিতরণ হয়েছে। ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেম্বর মো. সোলায়মান হোসেনের মেয়ে রুপিয়া খাতুনের নামেও রয়েছে ভিজিডি কার্ড, অথচ তাঁর বিয়ে হয়েছে পাশের উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামে। একই ওয়ার্ডে বিশাল পাকা বাড়ির মালিক মো. আনিসুর রহমান ফনিক্সের মেয়েও কার্ড পেয়েছেন। এর কাছাকাছি জহুরুল ইসলামের পাকা বাড়ি, তাঁর স্ত্রী আকলিমা খাতুনের নামেও রয়েছে কার্ড।
বরাদ্দের ১৬০ কার্ডের মধ্যে শুধু বোয়ালিয়া গ্রামেই দেওয়া হয়েছে ৮৫টি। তার মধ্যে ৫০ জনই সচ্ছল। তাঁদের কারও আধা পাকা বাড়ি, কারও ১০-১৫ বিঘা জমি, কারও স্বামী প্রবাসী বা চাকরিজীবী। অথচ ওই গ্রামের শতাধিক অসচ্ছল নারী কার্ড বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মরিয়ম, আর্জিনা খাতুন ও রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা টাকা দিতে পারিনি বলে কার্ড পাইনি। অথচ ধনীরা টাকা দিয়ে ঠিকই কার্ড পেয়েছেন।’
জানতে চাইলে অভিযোগকারী মো. আবু হানিফ বলেন, ‘তদন্তে প্রতিকার না পেলে আমি আদালতে যাব।’ অভিযোগের বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মো. সোলায়মান হোসেন ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিছুটা তো ভুলত্রুটি হয়েই গেছে। লেখালেখি করলে ক্ষতি হয়ে যাবে।
ইউপি সচিব মো. মহব্বত তালুকদার বলেন, ‘আমি তো হুকুমের মালিক নই, প্রশাসক যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেটাই বাস্তবায়ন করেছি।’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ইউপি প্রশাসক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সব ভিজিডি কার্ড নির্ধারণ করেছেন ইউপি সচিব ও মেম্বর সোলায়মান। আমি শুধু স্বাক্ষর করেছি।’
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলার ইউএনও নুসরাত জাহান বলেন, ‘তাড়াশ সদর ইউনিয়নে কোনো লটারি হয়নি। সচিব ও মেম্বররা মিলে তালিকা করেছেন। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে দায় তাঁদের। এ-সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দ ভিজিডি কার্ড (ভিডব্লিউবি) বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত দরিদ্ররা নয়, কার্ড পেয়েছেন ইউপি সদস্যের মেয়ে, প্রবাসীর স্ত্রী, চাকরিজীবীর পরিবার, এমনকি ১৫ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ির মালিকেরাও। ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, সচিব ও এক প্রভাবশালী ইউপি সদস্য মিলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রকৃত দুস্থদের বাদ দিয়ে এই তালিকা করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, কার্ডের জন্য দিতে হয়েছে সাত থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ।
এ ঘটনায় মো. আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তি ইউএনও কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে নানা অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। সরেজমিন অনুসন্ধানেও এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি প্রশাসক ও সচিব একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েছেন। এ ছাড়া তদন্ত চলাকালেই কার্ডধারীরা আগামী দুই মাসের চাল তুলে নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। নির্বাচিত চেয়ারম্যান না থাকায় ইউপি সচিব মো. মহব্বত তালুকদার বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি বিএনপি-সমর্থিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মো. সোলায়মান হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্প, জন্ম ও মৃত্যুসনদ এবং ট্রেড লাইসেন্সসহ সব কাজে অবৈধভাবে টাকা আদায় করে আসছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিজিডি কার্ডের জন্য ইউনিয়নে আবেদন পড়ে ৫৬০টি। গত ডিসেম্বর মাসে যাচাই-বাছাই শেষে ১৬০ জনকে মনোনীত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, কার্ডধারীদের অন্তত ৫০ শতাংশই সচ্ছল পরিবার। প্রতিটি কার্ডের জন্য সাত থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। যাঁরা টাকা দিতে পারেননি, তাঁরা নীতিমালার আওতায় থাকলেও বাদ পড়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বৃ-পাচান গ্রামে ১১ জন নারী ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৯ জনেরই আধা পাকা বাড়ি ও তিন থেকে ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, এই ওয়ার্ডেই সর্বাধিক কার্ড বিতরণ হয়েছে। ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেম্বর মো. সোলায়মান হোসেনের মেয়ে রুপিয়া খাতুনের নামেও রয়েছে ভিজিডি কার্ড, অথচ তাঁর বিয়ে হয়েছে পাশের উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামে। একই ওয়ার্ডে বিশাল পাকা বাড়ির মালিক মো. আনিসুর রহমান ফনিক্সের মেয়েও কার্ড পেয়েছেন। এর কাছাকাছি জহুরুল ইসলামের পাকা বাড়ি, তাঁর স্ত্রী আকলিমা খাতুনের নামেও রয়েছে কার্ড।
বরাদ্দের ১৬০ কার্ডের মধ্যে শুধু বোয়ালিয়া গ্রামেই দেওয়া হয়েছে ৮৫টি। তার মধ্যে ৫০ জনই সচ্ছল। তাঁদের কারও আধা পাকা বাড়ি, কারও ১০-১৫ বিঘা জমি, কারও স্বামী প্রবাসী বা চাকরিজীবী। অথচ ওই গ্রামের শতাধিক অসচ্ছল নারী কার্ড বঞ্চিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মরিয়ম, আর্জিনা খাতুন ও রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা টাকা দিতে পারিনি বলে কার্ড পাইনি। অথচ ধনীরা টাকা দিয়ে ঠিকই কার্ড পেয়েছেন।’
জানতে চাইলে অভিযোগকারী মো. আবু হানিফ বলেন, ‘তদন্তে প্রতিকার না পেলে আমি আদালতে যাব।’ অভিযোগের বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মো. সোলায়মান হোসেন ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কিছুটা তো ভুলত্রুটি হয়েই গেছে। লেখালেখি করলে ক্ষতি হয়ে যাবে।
ইউপি সচিব মো. মহব্বত তালুকদার বলেন, ‘আমি তো হুকুমের মালিক নই, প্রশাসক যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেটাই বাস্তবায়ন করেছি।’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ইউপি প্রশাসক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সব ভিজিডি কার্ড নির্ধারণ করেছেন ইউপি সচিব ও মেম্বর সোলায়মান। আমি শুধু স্বাক্ষর করেছি।’
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলার ইউএনও নুসরাত জাহান বলেন, ‘তাড়াশ সদর ইউনিয়নে কোনো লটারি হয়নি। সচিব ও মেম্বররা মিলে তালিকা করেছেন। কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে দায় তাঁদের। এ-সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেখান থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০০৫ সাল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সালাউদ্দিন ফরাজির বয়স ছিল তখন ৪৫ বছর। পাঁচ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গাজীপুরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে রওনা দেন।
৩০ জুলাই ২০২৫
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছ
২ মিনিট আগে
বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি করে অভিযানকারীদের ফিরে আসার মতো ঘটনাও ঘটছে। এদিকে হিজলা উপজেলায় জেলেদের হামলা প্রতিহতে নদীতে জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ দিনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অন্তত ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে
৯ মিনিট আগে
দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। একসময় উদ্যানটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাস ছিল। ছিল তাদের অবাধ বিচরণ। তবে সম্প্রতি অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা, চুরি করে গাছ-বাঁশ উজাড়, বনের ভেতরে রেল, সড়কপথসহ বিভিন্ন কারণে প্রাণীর অবাধ বিচরণ কমে গেছে।
১৯ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ
মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। একসময় উদ্যানটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাস ছিল। ছিল তাদের অবাধ বিচরণ। তবে সম্প্রতি অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা, চুরি করে গাছ-বাঁশ উজাড়, বনের ভেতরে রেল, সড়কপথসহ বিভিন্ন কারণে প্রাণীর অবাধ বিচরণ কমে গেছে। যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ বন বিভাগ।
এদিকে উদ্যানে বর্তমানে কতসংখ্যক প্রাণী রয়েছে, তারও সঠিক তথ্য নেই বন বিভাগের কাছে। তবে ২০১৪ সালের একটি জরিপে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল। এ ছাড়া বন বিভাগ জানে না, এই সংরক্ষিত বনে কতটুকু জায়গা রয়েছে।
উদ্যানটির আয়তন ১ হাজার ২৫০ হেক্টর লেখা থাকলেও নেই সীমানাপ্রাচীর। বনের পাশে যাদের বাড়িঘর ও জমি রয়েছে, তাদের অনেকে বনের জমি দখল করে রেখেছে। অনেকে আবার দখল করে গড়েছে বাগান। মাঝেমধ্যে অভিযান হলেও সীমানাচিহ্ন না থাকায় বাধাগ্রস্ত হয় উদ্ধারকাজ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ সালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটক প্রবেশ করেছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮১২ জন। দেড় বছর করোনার বন্ধ ছিল। ২০২৩-২০২৪ সালে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৭২। সবশেষে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৫ জন পর্যটক টিকিট কেটে উদ্যানে প্রবেশ করেছেন।
বন বিভাগ বলছে, বনে প্রাণীর সংখ্যা কমেনি। বন্যপ্রাণী, পাখি, শূকরসহ বিভিন্ন প্রাণী বেড়েছে। দিনের বেলায় প্রাণী দেখা না গেলেও ভোরে দেখা যায়। অতিরিক্ত পর্যটকের হট্টগোল, গাড়ি ও ট্রেনের আওয়াজ এবং জনসংখ্যা বাড়ার কারণে প্রাণীরা লোকালয় থেকে একটু দূরে চলে যায়। এসব কারণে প্রাণী কম দেখা যায় বনে। এ ছাড়া পর্যটন আর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা কঠিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, একদল বানর উদ্যানের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক পর্যটক বানরের দলকে বিভিন্ন খাবার দিচ্ছেন। এ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী দেখা যায়নি। বনের ভেতরে সড়কপথে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল এবং রেলপথে ট্রেন চলাচলের কারণে সব সময় একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ থাকে। তাই প্রাণীরা থাকলেও খুব একটা দেখা মেলে না।
স্থানীয়রা বলেন, একটা সময়ে এই বনের ঘনত্বের কারণে সূর্যের আলো সরাসরি পড়ত না। এখন সেই ঘনত্ব নেই। আগে বনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বন্যপ্রাণী দেখা গেলেও এখন বানর ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনের প্রাণী কমে গেছে। যেগুলো আছে, সেগুলোও অবাধে বিচরণ করতে পারছে না। বন ও বনের প্রাণী রক্ষা করা খুবই প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি সালেহ সোহেল বলেন, ‘লাউয়াছড়ায় প্রাণীরা এখন নিরাপদ নয়, এ জন্য কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে বনে খাবারের সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার না থাকলে বনে প্রাণীরা থাকবে না। চা-বাগানের কীটনাশক মেশানো পানি ছড়ায় এসে পড়ে, এ জন্য অনেক প্রাণী মারা যায়। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া পর্যটক প্রবেশ কমাতে হবে। রেল ও সড়কপথে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, তাহলে যেসব প্রাণী আছে, সেগুলো রক্ষা করা যাবে।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘লাউয়াছড়া বনে বানর ও শূকর প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। অন্যান্য প্রাণী বেড়েছে না কমেছে, সে বিষয়ে গবেষণা ও জরিপ করলে জানা যাবে।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর নিরাপদে চলাচলের জন্য বন বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে এখন বনে প্রাণী কম দেখা যায়। এ ছাড়া উদ্যানের সীমানা নির্ধারণের জন্য সেটেলমেন্ট অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি।’

দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। একসময় উদ্যানটি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাস ছিল। ছিল তাদের অবাধ বিচরণ। তবে সম্প্রতি অতিরিক্ত মানুষের আনাগোনা, চুরি করে গাছ-বাঁশ উজাড়, বনের ভেতরে রেল, সড়কপথসহ বিভিন্ন কারণে প্রাণীর অবাধ বিচরণ কমে গেছে। যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ বন বিভাগ।
এদিকে উদ্যানে বর্তমানে কতসংখ্যক প্রাণী রয়েছে, তারও সঠিক তথ্য নেই বন বিভাগের কাছে। তবে ২০১৪ সালের একটি জরিপে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল। এ ছাড়া বন বিভাগ জানে না, এই সংরক্ষিত বনে কতটুকু জায়গা রয়েছে।
উদ্যানটির আয়তন ১ হাজার ২৫০ হেক্টর লেখা থাকলেও নেই সীমানাপ্রাচীর। বনের পাশে যাদের বাড়িঘর ও জমি রয়েছে, তাদের অনেকে বনের জমি দখল করে রেখেছে। অনেকে আবার দখল করে গড়েছে বাগান। মাঝেমধ্যে অভিযান হলেও সীমানাচিহ্ন না থাকায় বাধাগ্রস্ত হয় উদ্ধারকাজ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ সালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটক প্রবেশ করেছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮১২ জন। দেড় বছর করোনার বন্ধ ছিল। ২০২৩-২০২৪ সালে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৭২। সবশেষে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৫ জন পর্যটক টিকিট কেটে উদ্যানে প্রবেশ করেছেন।
বন বিভাগ বলছে, বনে প্রাণীর সংখ্যা কমেনি। বন্যপ্রাণী, পাখি, শূকরসহ বিভিন্ন প্রাণী বেড়েছে। দিনের বেলায় প্রাণী দেখা না গেলেও ভোরে দেখা যায়। অতিরিক্ত পর্যটকের হট্টগোল, গাড়ি ও ট্রেনের আওয়াজ এবং জনসংখ্যা বাড়ার কারণে প্রাণীরা লোকালয় থেকে একটু দূরে চলে যায়। এসব কারণে প্রাণী কম দেখা যায় বনে। এ ছাড়া পর্যটন আর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা কঠিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, একদল বানর উদ্যানের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক পর্যটক বানরের দলকে বিভিন্ন খাবার দিচ্ছেন। এ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী দেখা যায়নি। বনের ভেতরে সড়কপথে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল এবং রেলপথে ট্রেন চলাচলের কারণে সব সময় একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ থাকে। তাই প্রাণীরা থাকলেও খুব একটা দেখা মেলে না।
স্থানীয়রা বলেন, একটা সময়ে এই বনের ঘনত্বের কারণে সূর্যের আলো সরাসরি পড়ত না। এখন সেই ঘনত্ব নেই। আগে বনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বন্যপ্রাণী দেখা গেলেও এখন বানর ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনের প্রাণী কমে গেছে। যেগুলো আছে, সেগুলোও অবাধে বিচরণ করতে পারছে না। বন ও বনের প্রাণী রক্ষা করা খুবই প্রয়োজন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি সালেহ সোহেল বলেন, ‘লাউয়াছড়ায় প্রাণীরা এখন নিরাপদ নয়, এ জন্য কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে বনে খাবারের সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার না থাকলে বনে প্রাণীরা থাকবে না। চা-বাগানের কীটনাশক মেশানো পানি ছড়ায় এসে পড়ে, এ জন্য অনেক প্রাণী মারা যায়। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া পর্যটক প্রবেশ কমাতে হবে। রেল ও সড়কপথে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, তাহলে যেসব প্রাণী আছে, সেগুলো রক্ষা করা যাবে।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘লাউয়াছড়া বনে বানর ও শূকর প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। অন্যান্য প্রাণী বেড়েছে না কমেছে, সে বিষয়ে গবেষণা ও জরিপ করলে জানা যাবে।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর নিরাপদে চলাচলের জন্য বন বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে এখন বনে প্রাণী কম দেখা যায়। এ ছাড়া উদ্যানের সীমানা নির্ধারণের জন্য সেটেলমেন্ট অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি।’

২০০৫ সাল। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সালাউদ্দিন ফরাজির বয়স ছিল তখন ৪৫ বছর। পাঁচ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গাজীপুরে মেয়ের বাসায় বেড়াতে রওনা দেন।
৩০ জুলাই ২০২৫
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুন নেভানোর জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিজস্ব একটি বিভাগ রয়েছে। তবে গত শনিবার কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার পর বিভাগটি বিভিন্ন কারণে তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের সবকিছ
২ মিনিট আগে
বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি করে অভিযানকারীদের ফিরে আসার মতো ঘটনাও ঘটছে। এদিকে হিজলা উপজেলায় জেলেদের হামলা প্রতিহতে নদীতে জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৬ দিনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অন্তত ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে
৯ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সদর ইউনিয়নে দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দ ভিজিডি কার্ড (ভিডব্লিউবি) বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত দরিদ্ররা নয়, কার্ড পেয়েছেন ইউপি সদস্যের মেয়ে, প্রবাসীর স্ত্রী, চাকরিজীবীর পরিবার, এমনকি ১৫ বিঘা জমি ও পাকা বাড়ির মালিকেরাও।
১৩ মিনিট আগে