Ajker Patrika

পিরোজপুরে বেড়েছে মাছের দাম, ভোগান্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরে বেড়েছে মাছের দাম, ভোগান্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

সরবরাহ না থাকায় পিরোজপুরে বেড়েছে মাছের দাম। আজ মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন বাজার ও পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গত সাত দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি মাছের দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

সামুদ্রিক মাছের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকায় শীতের এ সময়টিতে সামুদ্রিক মাছের ট্রলারগুলো বেশির ভাগই পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়ে। মাছ ব্যবসায়ীরা এখানে মাছ নিতে এলেও সরবরাহ না থাকায় অনেকটা খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। অনেককে আবার মাছ কিনছেন বাড়তি দামে।

পিরোজপুরে প্রতি কেজি ছোট ইলিশ ৬০০, বড় ইলিশ ১ হাজার ৮০০, পোয়া ২০০ টাকা, লাক্ষ্যা ১ হাজার ২০০, পাঙাশ ২০০, জাভা ৪৫০, তুলা ডাডি ৪০০, মরমা ৪৫০, ভোল ৮০০, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা। মাছের আমদানি কম থাকায় বেড়েছে দাম বলছে আড়তদারেরা।

পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের আড়তদার আবুল কালাম আকন বলেন, মৌসুমের এ সময় পাড়েরহাটের এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিন ১৫-২০টি ট্রলার মাছ নিয়ে ঘাটে ভেড়ার কথা থাকলেও গত ১ সপ্তাহে প্রতিদিন ট্রলারের সংখ্যা কমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। সাগরে মাছ কম ধরা পড়া এবং আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ট্রলার আসছে না বলে জানান আড়তদারেরা।

আড়তদার ইকবাল হোসেন বলেন, যে টাকা খরচ করে একটি ট্রলার নিয়ে জেলেরা সাগরে যায় তার অর্ধের খরচও তুলতে পারছে না। এর কারণ সাগরে তেমন মাছ পাচ্ছে না জেলেরা।

বাজারে সব ধরনের মাছেরই দাম বেড়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছে। প্রত্যেক মাছেই কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে বলে জানান ক্রেতা আজমল।

আরেক ক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই মাছের দাম বাড়ছে। বড় ইলিশ কেজিতে দুই-আড়াই শ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়াও ছোট ইলিশ, ভোল মাছ, মরমা মাছ কেজিতে দেড় থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে।

দক্ষিণ উপকূলীয় মৎস্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, শীতের তীব্রতার কারণে সাগর থেকে মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা। একটি ট্রলারে ৫০-৬০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হলেও খরচ হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। এতে মাছের দাম বেড়েছে।

ট্রলার মালিক মো. জাকির হাওলাদার বলেন, জেলার পাড়েরহাটএ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় এ বাজারে অর্ধ কোটি টাকার মাছ কেনা-বেচা হলেও বর্তমানে তা নেমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। মাছের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সৈকত মল্লিক বলেন, ‘সকল পণ্যেরই দাম বেড়েছে। শীতের তীব্রতা এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ফলে মাছের দামে কিছুটা প্রভাব পরছে। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। অতিরিক্ত দামের বিষয়টি আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, শীতের প্রভাব, বৈরী আবহাওয়া এতে জেলেদের ওপরে কিছুটা প্রভাব পড়বে। ধারণা করা হচ্ছে শীত কমে গেলে সাগরে মাছ পাবে জেলেরা। মাত্রাতিরিক্ত দামের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত