আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীতে একই সময়ে উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা শহরের সদর রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির কর্মী ও ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া শামিম হাসান, যুবদলের সদস্যসচিব রিয়াজুল ইসলাম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কৃষক দলের জেলা সহসভাপতি হারুন অর রশিদ ও উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাফর।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের সমর্থকেরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। একই সময়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্যসচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু হয়। কর্মসূচি চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তাঁর নির্দেশে নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘণ্টাব্যাপী লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় তালতলী শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন আব্দুর রহিম, কবির হোসেন, রুবেল, আদাউদ্দিন, সাইদুর রহমান, মিজানুর রহমান, নুর মোহাম্মদ, আব্দুল হাই, সাবিত, আল আমিন, সিদ্দিকুর রহমান মামুন, শাকিল, রবিউল মুসুল্লি, মহসিন খান, মানু আলী প্রমুখ। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সব আহত ব্যক্তিকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম মনিরুল ইসলাম জানান, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন গুরুতর আহত থাকায় শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্যসচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক একজন ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আমরা উপজেলা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। এ কর্মসূচি চলাকালে ব্যবসায়ীদের ওপর শহিদুল হকের সমর্থকেরা হামলা করেছে। এতে ব্যবসায়ী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা আহত হন।’
তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিল। এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্যসচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তালতলীর ইউএনও উম্মে সালমা বলেন, ‘নৌবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের দোকানপাট ২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বরগুনার তালতলীতে একই সময়ে উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা শহরের সদর রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির কর্মী ও ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া শামিম হাসান, যুবদলের সদস্যসচিব রিয়াজুল ইসলাম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কৃষক দলের জেলা সহসভাপতি হারুন অর রশিদ ও উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাফর।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের সমর্থকেরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। একই সময়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্যসচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু হয়। কর্মসূচি চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তাঁর নির্দেশে নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘণ্টাব্যাপী লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় তালতলী শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন আব্দুর রহিম, কবির হোসেন, রুবেল, আদাউদ্দিন, সাইদুর রহমান, মিজানুর রহমান, নুর মোহাম্মদ, আব্দুল হাই, সাবিত, আল আমিন, সিদ্দিকুর রহমান মামুন, শাকিল, রবিউল মুসুল্লি, মহসিন খান, মানু আলী প্রমুখ। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সব আহত ব্যক্তিকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম মনিরুল ইসলাম জানান, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন গুরুতর আহত থাকায় শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্যসচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক একজন ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আমরা উপজেলা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। এ কর্মসূচি চলাকালে ব্যবসায়ীদের ওপর শহিদুল হকের সমর্থকেরা হামলা করেছে। এতে ব্যবসায়ী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা আহত হন।’
তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিল। এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্যসচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তালতলীর ইউএনও উম্মে সালমা বলেন, ‘নৌবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের দোকানপাট ২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
রাজধানীর উত্তরায় ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হয়েছে। এ সময় নয় দফা দাবি প্রস্তাবনা করা হয়েছে। উত্তরার মুগ্ধ মঞ্চে আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় এ ঘোষণা পত্র পাঠ করেন জুলাই বিপ্লবে গুলিতে আহত তরুণ রাইসুল ইসলাম রাতুল। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে উত্তরার সাধারণ ছাত্র জনতার ব্যানারে।
১ ঘণ্টা আগেবিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি কথিত ট্রাভেল এজেন্সির মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, উত্তরা ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ার কাউন্সিলের মালিক আতিকুল হক ওরফে আতিফ (৪৫) ও লাকী আক্তার (৪০) এবং তাদের সহযোগী নাছির সিকদার (২১)।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর বাউফলে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ফাহিম বয়াতি (১৮) নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদার দাবিতে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম স্বাক্ষরিত...
২ ঘণ্টা আগে