পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটায় আবুল কালাম মৃধা (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে পরকীয়ায় জড়িয়ে অনেক নারীর সংসার ভাঙার অভিযোগ তুলে তাঁর বিচার দাবি করে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, ‘কালাম মৃধা প্রথম বিয়ে গোপন রেখে আমাকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তিন বছরের একটি মেয়েসন্তানসহ বিনা কারণে আমাকে তালাক দেন। আমার মতো এই গ্রামে আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
ভুক্তভোগী আরেক নারী বলেন, ‘আমার স্বামী ফটিক হোসেনের প্রথম স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে পাঁচ বছর আগে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন কালাম মৃধা। এরপর আমাকে বিয়ে করেন ফটিক। কালাম মৃধা আমাকেও কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিষয়টি আমি স্থানীয়দের জানালে তখন তিনি আর এমন করবেন না বলে ক্ষমা চান।’
বিধবা এক নারী বলেন, ‘দুই বছর আগে বাড়িতে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করেন কালাম মৃধা। এ ঘটনায় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হলে চার মাস জেল খেটে জামিনে বের হন তিনি। কয়েক দিন আগে আবার একজনের স্ত্রী নিয়ে পালিয়েছেন তিনি।’
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ পালিয়েছে কালাম মৃধা। এ নিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির, ফজিলা বেগম মানববন্ধনে বলেন, কালাম মৃধা একই এলাকার বেশ কয়েকটি সংসার নষ্ট করেছেন। অদৃশ্য শক্তির প্রভাব দেখিয়ে একের পর এক নারীর সংসার ভেঙে বিয়ে করেছেন তিনি। আবার সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সেই সংসার ভেঙেও দিচ্ছেন। এ ছাড়া কালমেঘা বাজার ও কুপধন বাজার এলাকায় অনৈতিক কাজের সময় ধরা পড়লে তাঁকে জুতাপেটা করা হয়। নানা কারণে ভুক্তভোগী অনেকে আইনি সহায়তা নিতে সাহস পাচ্ছেন না। কেউ আবার সামাজিক কারণে লজ্জায় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চান না।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আব্দুস সোবহান বলেন, কালাম মৃধার কারণে অনেক নারীর সংসার ভেঙেছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
তবে অভিযুক্ত আবুল কালাম মৃধার স্ত্রী মুক্তা বেগম দাবি করেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কালাম মৃধা বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার সঙ্গে একটি ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় স্থানীয় কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকাবাসীর মানববন্ধন করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়নি। তারপরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আদালতের কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
বরগুনার পাথরঘাটায় আবুল কালাম মৃধা (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে পরকীয়ায় জড়িয়ে অনেক নারীর সংসার ভাঙার অভিযোগ তুলে তাঁর বিচার দাবি করে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নবাসী।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, ‘কালাম মৃধা প্রথম বিয়ে গোপন রেখে আমাকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তিন বছরের একটি মেয়েসন্তানসহ বিনা কারণে আমাকে তালাক দেন। আমার মতো এই গ্রামে আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
ভুক্তভোগী আরেক নারী বলেন, ‘আমার স্বামী ফটিক হোসেনের প্রথম স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে পাঁচ বছর আগে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন কালাম মৃধা। এরপর আমাকে বিয়ে করেন ফটিক। কালাম মৃধা আমাকেও কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিষয়টি আমি স্থানীয়দের জানালে তখন তিনি আর এমন করবেন না বলে ক্ষমা চান।’
বিধবা এক নারী বলেন, ‘দুই বছর আগে বাড়িতে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করেন কালাম মৃধা। এ ঘটনায় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হলে চার মাস জেল খেটে জামিনে বের হন তিনি। কয়েক দিন আগে আবার একজনের স্ত্রী নিয়ে পালিয়েছেন তিনি।’
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ পালিয়েছে কালাম মৃধা। এ নিয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির, ফজিলা বেগম মানববন্ধনে বলেন, কালাম মৃধা একই এলাকার বেশ কয়েকটি সংসার নষ্ট করেছেন। অদৃশ্য শক্তির প্রভাব দেখিয়ে একের পর এক নারীর সংসার ভেঙে বিয়ে করেছেন তিনি। আবার সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সেই সংসার ভেঙেও দিচ্ছেন। এ ছাড়া কালমেঘা বাজার ও কুপধন বাজার এলাকায় অনৈতিক কাজের সময় ধরা পড়লে তাঁকে জুতাপেটা করা হয়। নানা কারণে ভুক্তভোগী অনেকে আইনি সহায়তা নিতে সাহস পাচ্ছেন না। কেউ আবার সামাজিক কারণে লজ্জায় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চান না।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য আব্দুস সোবহান বলেন, কালাম মৃধার কারণে অনেক নারীর সংসার ভেঙেছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না।
তবে অভিযুক্ত আবুল কালাম মৃধার স্ত্রী মুক্তা বেগম দাবি করেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কালাম মৃধা বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার সঙ্গে একটি ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় স্থানীয় কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকাবাসীর মানববন্ধন করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়নি। তারপরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আদালতের কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
৫ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে