বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জন। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের এক-চতুর্থাংশ রোগীই বরগুনার।
আজ বৃহস্পতিবার বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৬৭ রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ভর্তি রয়েছে ২৬১ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বরগুনায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০৮।
এদিকে গতকাল বুধবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলার মোট ৯ জন মারা গেলেন। তাঁদের মধ্যে বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় পাঁচজন এবং বাকি চারজন উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার বাইরের হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে মারা যান।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে শয্যা দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। রোগীদের মেঝেতে বিছানা পেতে থাকতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্যালাইনের সংকটে ব্যাহত হচ্ছে সেবাদান। এ ছাড়া পর্যাপ্ত কিটের অভাবে রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে রক্ত পরীক্ষা করতে হচ্ছে। আজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের প্রতিনিধিরা রক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন রোগীদের মধ্যে বিতরণ করছেন।
এ সময় দেড় বছরের শিশু আবদুল্লাহকে হাতে ক্যানুলা নিয়ে মেঝেতে পাতা বিছানার আশপাশে দু-এক পা করে হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়। তখন বিছানার একপাশে শুয়েছিলেন তার মা শিল্পী বেগম। তাঁর হাতেও ক্যানুলা লাগানো। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তাঁরা গত মঙ্গলবার রাতে ফুলঝুড়ি থেকে ভর্তি হয়েছেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। ছেলেকে শিশু ওয়ার্ডে বাবার তত্ত্বাবধানে রেখে শিল্পী থাকছেন সাধারণ ডেঙ্গু ওয়ার্ডে মেঝেতে বিছানা করে। আজ দুপুরে বাবা হাসপাতালের বাইরে ওষুধ কিনতে গেলে ছেলে চলে আসে মায়ের বিছানায়।
শিল্পী বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে এসেছি। এখান থেকে কিছুই দেওয়া হয় না। শুধু নাপা ওষুধ দিয়েছে। স্যালাইন কিনেছি বাইর থেকে। রক্ত পরীক্ষাও করিয়েছি বাইরের ডায়াগনস্টিক থেকে। আমার স্বামী রিকশাশ্রমিক। কতই-বা আর আয় করে। এ দিয়েই চলে সংসার। ঘরের দুজনে এখানে ভর্তি। আমাদের চিকিৎসা খরচ মিটাতে কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালে ওষুধ পেলে আর পরীক্ষা করা হলে ধার করে টাকা এনে চিকিৎসায় খরচ করা লাগত না।’
বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমার স্বামী মঙ্গলবার এখানে ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থাই এখানে নেই। আমার স্বামীর দিন দিন প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে। আমি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র নিয়ে যাব। এখানে রাখলে তাকে বাঁচাতে পারব না।’
বরগুনার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে রোগী এলে আমরা চিকিৎসা দিই। যার যার বাসার আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর জমা পানি না থাকলে ডেঙ্গু বরগুনায় এতটা বিস্তার লাভ করত বলে মনে হয় না। সামাজিকভাবে সবারই দায়িত্ব আছে ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করার। আর আমরা চিকিৎসার কাজটা চালিয়ে যাচ্ছি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বরগুনায় মাত্রাতিরিক্ত। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবল-সংকট তো সব সময় বরগুনা হাসপাতালে থাকেই, এখনো আছে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র চিকিৎসকের পাশাপাশি আরও যাঁরা জড়িত তাঁদেরও ব্যাপক সংকট আছে বিধায় বর্তমানে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমাদের যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে।’
বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জন। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের এক-চতুর্থাংশ রোগীই বরগুনার।
আজ বৃহস্পতিবার বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৬৭ রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ভর্তি রয়েছে ২৬১ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বরগুনায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬০৮।
এদিকে গতকাল বুধবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলার মোট ৯ জন মারা গেলেন। তাঁদের মধ্যে বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় পাঁচজন এবং বাকি চারজন উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার বাইরের হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে মারা যান।
এদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে শয্যা দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। রোগীদের মেঝেতে বিছানা পেতে থাকতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্যালাইনের সংকটে ব্যাহত হচ্ছে সেবাদান। এ ছাড়া পর্যাপ্ত কিটের অভাবে রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে রক্ত পরীক্ষা করতে হচ্ছে। আজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের প্রতিনিধিরা রক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন রোগীদের মধ্যে বিতরণ করছেন।
এ সময় দেড় বছরের শিশু আবদুল্লাহকে হাতে ক্যানুলা নিয়ে মেঝেতে পাতা বিছানার আশপাশে দু-এক পা করে হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়। তখন বিছানার একপাশে শুয়েছিলেন তার মা শিল্পী বেগম। তাঁর হাতেও ক্যানুলা লাগানো। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তাঁরা গত মঙ্গলবার রাতে ফুলঝুড়ি থেকে ভর্তি হয়েছেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। ছেলেকে শিশু ওয়ার্ডে বাবার তত্ত্বাবধানে রেখে শিল্পী থাকছেন সাধারণ ডেঙ্গু ওয়ার্ডে মেঝেতে বিছানা করে। আজ দুপুরে বাবা হাসপাতালের বাইরে ওষুধ কিনতে গেলে ছেলে চলে আসে মায়ের বিছানায়।
শিল্পী বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে এসেছি। এখান থেকে কিছুই দেওয়া হয় না। শুধু নাপা ওষুধ দিয়েছে। স্যালাইন কিনেছি বাইর থেকে। রক্ত পরীক্ষাও করিয়েছি বাইরের ডায়াগনস্টিক থেকে। আমার স্বামী রিকশাশ্রমিক। কতই-বা আর আয় করে। এ দিয়েই চলে সংসার। ঘরের দুজনে এখানে ভর্তি। আমাদের চিকিৎসা খরচ মিটাতে কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালে ওষুধ পেলে আর পরীক্ষা করা হলে ধার করে টাকা এনে চিকিৎসায় খরচ করা লাগত না।’
বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমার স্বামী মঙ্গলবার এখানে ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থাই এখানে নেই। আমার স্বামীর দিন দিন প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে। আমি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র নিয়ে যাব। এখানে রাখলে তাকে বাঁচাতে পারব না।’
বরগুনার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে রোগী এলে আমরা চিকিৎসা দিই। যার যার বাসার আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর জমা পানি না থাকলে ডেঙ্গু বরগুনায় এতটা বিস্তার লাভ করত বলে মনে হয় না। সামাজিকভাবে সবারই দায়িত্ব আছে ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করার। আর আমরা চিকিৎসার কাজটা চালিয়ে যাচ্ছি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বরগুনায় মাত্রাতিরিক্ত। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবল-সংকট তো সব সময় বরগুনা হাসপাতালে থাকেই, এখনো আছে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র চিকিৎসকের পাশাপাশি আরও যাঁরা জড়িত তাঁদেরও ব্যাপক সংকট আছে বিধায় বর্তমানে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমাদের যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে।’
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ বর্ষা খাতুনের মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় নদীতে লাশটি ভেসে উঠলে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
৭ মিনিট আগেভারতের গুমশি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সীমান্তের ২৫১/১ এস পিলারের পাশ দিয়ে ১৫ ব্যক্তিকে বাংলাদেশের ভেতরে পুশ ইন করে। এ সময় বিএসএফ তাদের সীমান্তের লাইট বন্ধ করে দেয়।
২১ মিনিট আগেকুষ্টিয়ায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গত সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা থেকে আসা দুজন কোভিড পজিটিভ রোগী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামে নতুন করে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরে এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল আট। আজ শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে