মনজুর রহমান, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার লালমোহনে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বসেছে পুরোনো শীতের পোশাকের দোকান। নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা ওই সব দোকান। ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। অগ্রহায়ণ মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি হতে থাকে। আর শীতের সময়ে হিমশীতলতা ও ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে উষ্ণ পোশাকের প্রতি সাধারণের কদর বেড়ে যায়।
অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহে দেশে শীতের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাই বেড়েছে উষ্ণ পোশাকের কদর। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নতুন পোশাক ক্রয়ের সামর্থ্য থাকলেও সে সাধ্য নেই নিম্নবিত্তের ভাগ্যে। তাই তাঁরা ভিড় করছেন ফুটপাতে বসা পুরোনো পোশাকের দোকানে। গজারিয়া বাজারে বসেছে পুরোনো শীতের দুইটি পোশাকের দোকান। পৌরসভার বাজারের স্বর্ণকার পট্টিতে বসেছে পুরোনো পোশাকের তিনটি দোকান। ওই সব দোকানে শীতের উষ্ণতা খোঁজা ক্রেতাদের ভিড়। এ ছাড়াও আবুগঞ্জ, কর্তার হাট, লর্ড হার্ডিঞ্জ, মঙ্গলসিকদার, বদরপুর, বাংলাবাজার, রায়চাঁদ বাজার, চৌমুহনী বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক বেশি।
মাইনুদ্দিন নামের এক ক্রেতা পোশাক ঘেঁটে ঘেঁটে জ্যাকেট দেখছিলেন। আলাপকালে মাইনুদ্দিন বলেন, ‘আমি পেশায় রিকশাচালক। গত তিন-চার দিনের শীতের কারণে রাতে যাত্রী বহন করতে পারছি না। আর শীত থেকে রক্ষা পেতে নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্যও নেই। তাই অল্প দামে পুরোনো পোশাকের দোকানে জ্যাকেট কিনতে এসেছি।’
এসব দোকানে যে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষজন পোশাক কিনতে আসেন তা নয়, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও আসেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন ক্রেতা বলেন, ‘ভাই কথায় আছে “রসিক ভাতেও মরে, শীতেও মরে”। নতুন পোশাকের দোকানে বেশি দামে শীতের পোশাক কিনলেও তা দিয়ে শীত রক্ষা হয় না। তাই উষ্ণ কাপড় কিনতে এ দোকানে আসা। পাতলা সোয়েটার নিয়েছি, দামও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।’
আমেনা বেগম তাঁর মেয়েকে নিয়ে উষ্ণ পোশাক কিনতে এসে বলেন, ‘মেয়েকে নতুন পোশাক কিনে দিয়েছি। দাম বেশি ও মান ভালো। তবে শীত রক্ষা হয় না। তাই পাতলা দেখে গরম কাপড় খুঁজছি। যাতে নতুন পোশাকের ভেতরে পড়া যায়।’
পুরোনো পোশাকের দোকানি কাজী হিরণ বলেন, ‘জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, মাফলার, কানটুপি, ট্রাউজারসহ নানা রকমের গরম কাপড় রয়েছে আমার দোকানে। তবে এখনো ক্রেতাসমাগম বাড়েনি। ধীরে ধীরে শীত বাড়বে, ক্রেতাও বাড়বে।’
একই দোকানমালিক কাজী জাফর বলেন, ‘এবারের শীতে বিক্রির জন্য ১৮টি গাঁইট এনেছি। প্রতিটি গাঁইটের দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা করে। তবে পোশাকের মান অনুযায়ী গাঁইটের দাম ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকাও রয়েছে।’
পুরোনো পোশাকের দোকানি সিদ্দিক বলেন, দোকান বসিয়েছি প্রায় মাসখানেক আগে। প্রতিদিন ইজারাদারকে ৫০ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হয়। পুরোপুরি শীত না নামায় আশানুরূপ বেচা না হওয়ায় সেটাও পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। তবে গত তিন-চার দিন শীত বেড়েছে। তাই ক্রেতাও আসতে শুরু করেছেন।
দোকানি সিদ্দিক আরও বলেন, ‘এসব কাপড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারণ, বেশি দামে গাইড কিনে ও যাতায়াত খরচ দিয়ে আশানুরূপ বেচাবিক্রি না হলে লোকসানে পড়তে হবে। এতে দোকান খরচ ও নিজেদের পারিশ্রমিকও হবে না।’
গত বছর শীতের প্রকোপ বেশি দিন না থাকায় অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
ভোলার লালমোহনে গ্রামের হাটবাজারগুলোতে বসেছে পুরোনো শীতের পোশাকের দোকান। নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা ওই সব দোকান। ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। অগ্রহায়ণ মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি হতে থাকে। আর শীতের সময়ে হিমশীতলতা ও ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে উষ্ণ পোশাকের প্রতি সাধারণের কদর বেড়ে যায়।
অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহে দেশে শীতের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তাই বেড়েছে উষ্ণ পোশাকের কদর। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নতুন পোশাক ক্রয়ের সামর্থ্য থাকলেও সে সাধ্য নেই নিম্নবিত্তের ভাগ্যে। তাই তাঁরা ভিড় করছেন ফুটপাতে বসা পুরোনো পোশাকের দোকানে। গজারিয়া বাজারে বসেছে পুরোনো শীতের দুইটি পোশাকের দোকান। পৌরসভার বাজারের স্বর্ণকার পট্টিতে বসেছে পুরোনো পোশাকের তিনটি দোকান। ওই সব দোকানে শীতের উষ্ণতা খোঁজা ক্রেতাদের ভিড়। এ ছাড়াও আবুগঞ্জ, কর্তার হাট, লর্ড হার্ডিঞ্জ, মঙ্গলসিকদার, বদরপুর, বাংলাবাজার, রায়চাঁদ বাজার, চৌমুহনী বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা অনেক বেশি।
মাইনুদ্দিন নামের এক ক্রেতা পোশাক ঘেঁটে ঘেঁটে জ্যাকেট দেখছিলেন। আলাপকালে মাইনুদ্দিন বলেন, ‘আমি পেশায় রিকশাচালক। গত তিন-চার দিনের শীতের কারণে রাতে যাত্রী বহন করতে পারছি না। আর শীত থেকে রক্ষা পেতে নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্যও নেই। তাই অল্প দামে পুরোনো পোশাকের দোকানে জ্যাকেট কিনতে এসেছি।’
এসব দোকানে যে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষজন পোশাক কিনতে আসেন তা নয়, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও আসেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন ক্রেতা বলেন, ‘ভাই কথায় আছে “রসিক ভাতেও মরে, শীতেও মরে”। নতুন পোশাকের দোকানে বেশি দামে শীতের পোশাক কিনলেও তা দিয়ে শীত রক্ষা হয় না। তাই উষ্ণ কাপড় কিনতে এ দোকানে আসা। পাতলা সোয়েটার নিয়েছি, দামও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।’
আমেনা বেগম তাঁর মেয়েকে নিয়ে উষ্ণ পোশাক কিনতে এসে বলেন, ‘মেয়েকে নতুন পোশাক কিনে দিয়েছি। দাম বেশি ও মান ভালো। তবে শীত রক্ষা হয় না। তাই পাতলা দেখে গরম কাপড় খুঁজছি। যাতে নতুন পোশাকের ভেতরে পড়া যায়।’
পুরোনো পোশাকের দোকানি কাজী হিরণ বলেন, ‘জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, মাফলার, কানটুপি, ট্রাউজারসহ নানা রকমের গরম কাপড় রয়েছে আমার দোকানে। তবে এখনো ক্রেতাসমাগম বাড়েনি। ধীরে ধীরে শীত বাড়বে, ক্রেতাও বাড়বে।’
একই দোকানমালিক কাজী জাফর বলেন, ‘এবারের শীতে বিক্রির জন্য ১৮টি গাঁইট এনেছি। প্রতিটি গাঁইটের দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা করে। তবে পোশাকের মান অনুযায়ী গাঁইটের দাম ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকাও রয়েছে।’
পুরোনো পোশাকের দোকানি সিদ্দিক বলেন, দোকান বসিয়েছি প্রায় মাসখানেক আগে। প্রতিদিন ইজারাদারকে ৫০ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হয়। পুরোপুরি শীত না নামায় আশানুরূপ বেচা না হওয়ায় সেটাও পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। তবে গত তিন-চার দিন শীত বেড়েছে। তাই ক্রেতাও আসতে শুরু করেছেন।
দোকানি সিদ্দিক আরও বলেন, ‘এসব কাপড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারণ, বেশি দামে গাইড কিনে ও যাতায়াত খরচ দিয়ে আশানুরূপ বেচাবিক্রি না হলে লোকসানে পড়তে হবে। এতে দোকান খরচ ও নিজেদের পারিশ্রমিকও হবে না।’
গত বছর শীতের প্রকোপ বেশি দিন না থাকায় অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
১০ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে এক কারখানার দুই শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে মুক্তপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দাবির ফোন পেয়েই এক মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। অপহরণকারীরা দুজনকে তুলে নিয়ে বেদম মারধর করে বাড়িতে মুক্তিপণ দাবি করে ফোন দেয়। সন্তান অপহরণের শিকার এমন খবর পেয়ে এক নারী (মা) মারা গেল
২৮ মিনিট আগেবিশ্ব হিজাব দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বর থেকে র্যালিটি শুরু হয়। টিএসসি হয়ে রাসেল টাওয়ার ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে এটি শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
১ ঘণ্টা আগেঅবৈধপথে ইতালি যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে হত্যার ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবারের অভিযোগ, ইতালি যাওয়ার জন্য প্রত্যেক পরিবার দালাল চক্রকে ১৬ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু সেই টাকা লিবিয়ার মাফিয়াদের দেওয়া হয়নি বলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বা
১ ঘণ্টা আগে