Ajker Patrika

কাউখালীর হাটবাজার ও রাস্তায় ময়লার ভাগাড়, দুর্ভোগে এলাকাবাসী 

এনামুল হক, কাউখালী (পিরোজপুর)
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ২০
কাউখালীর হাটবাজার ও রাস্তায় ময়লার ভাগাড়, দুর্ভোগে এলাকাবাসী 

কাউখালীর হাটবাজারগুলো একসময় দক্ষিণ অঞ্চলের প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক বন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। সেই পরিচিতি দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আধুনিক সুব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় কালের প্রবাহে আগের মতো বিস্তার ঘটাতে পারে না এই বন্দর। কিছু অসাধু মানুষের কোপানলে পড়ে অযত্নে অবহেলায় হাটবাজারের পুরোনো ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও নাগরিক সুবিধা নেই বললেও চলে। 

ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, যে বাজারে কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়, সেখানে নেই কোনো সাধারণ মানুষের জন্য গণশৌচাগার, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টোলঘর ও সেটঘর। যেটুকু সেটঘর আছে, তাও ময়লা-আবর্জনায় ভরে আছে। বাজারে নেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থা। মনে হচ্ছে অভিভাবকহীন এক বৃদ্ধ কালের সাক্ষী হিসেবে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে বাজারটি। উপজেলা কোট বিল্ডিং থেকে আবু তালুকদারের বাসার পাশ থেকে বাজারের মূল সংযোগ সড়কটির পাশেই রয়েছে ময়লার স্তূপ। এই সংযোগ সড়ক থেকে প্রতিদিন হাটবাজারে শত শত লোক যাতায়াত করে। ময়লা স্তূপের দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে হাটবাজারে যেতে হয় তাঁদের।

হাট বাজারে আসা কয়েকজন বলেন, উত্তর বাজার মসজিদের দক্ষিণ পাশের রাস্তাসহ বাজারের মধ্যের সব সড়ক খানাখন্দে ভরা। চারদিকেই ময়লার স্তূপ রয়েছে। টোলঘরে প্রবেশ করলে সাবান পানি দিয়ে গোসল ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না। এক কথায় কাউখালী বাজার এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া বাজারের রাস্তার দুই পাশের ফুটপাত দখল করে পণ্য কেনাবেচা হয়। তাতে করে হাটবাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা চলাফেরা করার সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মাঝে মাঝে এমনও দেখা যায় যে ক্রেতারা মানুষের ভিড়ে জায়গার সংকীর্ণতার কারণে রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল করা পণ্যের ওপর পড়ে যান। 

এ বিষয়ে উত্তর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম রতন খান বলেন, সমস্যার কথা উপজেলা প্রশাসনকে বারবার বলা হয়েছে। বর্তমানে এ কাজের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। 

হাটবাজার ইজারাদার হারুন অর রশিদ খান বলেন, যেহেতু এখানে পৌরসভা নেই। সমস্যার বিষয় বহুবার প্রশাসনকে জানানোর পর সামান্য রাস্তা ও ড্রেনের কাজ শুরু করেছিলেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। অজানা কারণে কাজ বেশি দূর এগোয়নি। 

হাটবাজার ইজারাদার আরও বলেন, রাস্তা এবং স্থায়ী ব্যবসায়ীদের চারপাশের ময়লা পরিষ্কার করা ইজারাদারের কাজ নয়। রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. বদরুল আমিন বলেন, উপজেলার দক্ষিণ থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের কাজ চলমান আছে। তবে ড্রেন নির্মাণের জন্য কিছু জায়গা এখনো উপজেলা প্রশাসন নির্ধারণ করে দিতে না পারায় বিলম্ব হচ্ছে। 

সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ সমস্যা বেশি দিন থাকবে না। এর ব্যবস্থা করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত