মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে আট বছর চাকরি করেছিলেন সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) মো. কবির হোসেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষায় ধরা পড়লে ১২ লক্ষ টাকা ফেরতের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। টাকা ফেরত না দিয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে নিরুদ্দেশ হন তিনি।
তিন বছরেও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় ওই পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কত দিনে নতুন শিক্ষক নিয়োগ হবে তাও বলতে পারছেন না প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, কবির হোসেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল গ্রামের আবদুর রহমান ব্যাপারী ছেলে। তিনি ২০১০ সালে পাস দেখিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের একটি নিবন্ধন সনদ (বিজ্ঞান) তৈরি করেন এবং নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৮ বছর চাকরি করেছেন।
নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, কবির হোসেন ২০১০ সালে বিজ্ঞান শিক্ষক পদের জন্য একটি ভুয়া নিবন্ধন সনদ তৈরি করেছিলেন। ওই জাল সনদ দিয়ে ২০১২ সালে ডিসেম্বর মাসে নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং অবৈধ উপায়ে এমপিওভুক্ত হন।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকলেছুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে মো. কবির হোসেনের সনদের বিষয়ে সন্দেহ হয়। তিনি তার সনদটি যাচাইয়ের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কাছে পাঠান। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক ফারজানা রসুলের স্বাক্ষরিত পত্রে মো. কবির হোসেনের সনদটি নকল বলে জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. কবির হোসেনের নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয়। ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর তিনি এমপিওভুক্ত হন। ফলে ওই দিন থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সরকারি কোষাগার থেকে মোট ১০ লাখ ৭৭ হাজার ২৫০ টাকা গ্রহণ করেছেন, যা ফেরতযোগ্য। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়।
ওই প্রতিবেদনের পরেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় মো. কবির হোসেন ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে দেখা যায়, শিক্ষক মো. কবির হোসেন ১২ লক্ষাধিক টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে চাপ প্রয়োগ করা হলে ফেরত না দিয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে নিরুদ্দেশ হন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক আবদুল হক জানান, বিজ্ঞান শিক্ষক না থাকায় শ্রেণি কার্যক্রম ব্যবহৃত হচ্ছে। অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান পাঠদান ঠিকভাবে হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা আক্তার জানান, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২০ জুলাই মাস থেকে সহকারী শিক্ষক মো. কবির হোসেনের বেতনভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি পদত্যাগপত্র এবং সরকারি টাকা ফেরত দেননি। তাই প্রায় ৩ বছরেও বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে কিছুটা সমস্যা থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিগগিরই ওই শিক্ষকের নামে মামলা এবং পদশূন্য করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মুলাদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত জাল সনদধারী শিক্ষক মো. কবির হোসেন সরকারি টাকা ফেরত না দিলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। এ ছাড়া দ্রুত পদটি শূন্য করে নতুন শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে আট বছর চাকরি করেছিলেন সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) মো. কবির হোসেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষায় ধরা পড়লে ১২ লক্ষ টাকা ফেরতের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। টাকা ফেরত না দিয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে নিরুদ্দেশ হন তিনি।
তিন বছরেও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় ওই পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কত দিনে নতুন শিক্ষক নিয়োগ হবে তাও বলতে পারছেন না প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, কবির হোসেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল গ্রামের আবদুর রহমান ব্যাপারী ছেলে। তিনি ২০১০ সালে পাস দেখিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের একটি নিবন্ধন সনদ (বিজ্ঞান) তৈরি করেন এবং নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৮ বছর চাকরি করেছেন।
নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, কবির হোসেন ২০১০ সালে বিজ্ঞান শিক্ষক পদের জন্য একটি ভুয়া নিবন্ধন সনদ তৈরি করেছিলেন। ওই জাল সনদ দিয়ে ২০১২ সালে ডিসেম্বর মাসে নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং অবৈধ উপায়ে এমপিওভুক্ত হন।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকলেছুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে মো. কবির হোসেনের সনদের বিষয়ে সন্দেহ হয়। তিনি তার সনদটি যাচাইয়ের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কাছে পাঠান। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক ফারজানা রসুলের স্বাক্ষরিত পত্রে মো. কবির হোসেনের সনদটি নকল বলে জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. কবির হোসেনের নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয়। ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর তিনি এমপিওভুক্ত হন। ফলে ওই দিন থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সরকারি কোষাগার থেকে মোট ১০ লাখ ৭৭ হাজার ২৫০ টাকা গ্রহণ করেছেন, যা ফেরতযোগ্য। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়।
ওই প্রতিবেদনের পরেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় মো. কবির হোসেন ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে দেখা যায়, শিক্ষক মো. কবির হোসেন ১২ লক্ষাধিক টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে চাপ প্রয়োগ করা হলে ফেরত না দিয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে নিরুদ্দেশ হন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক আবদুল হক জানান, বিজ্ঞান শিক্ষক না থাকায় শ্রেণি কার্যক্রম ব্যবহৃত হচ্ছে। অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান পাঠদান ঠিকভাবে হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিমা আক্তার জানান, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২০ জুলাই মাস থেকে সহকারী শিক্ষক মো. কবির হোসেনের বেতনভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি পদত্যাগপত্র এবং সরকারি টাকা ফেরত দেননি। তাই প্রায় ৩ বছরেও বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে কিছুটা সমস্যা থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিগগিরই ওই শিক্ষকের নামে মামলা এবং পদশূন্য করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মুলাদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত জাল সনদধারী শিক্ষক মো. কবির হোসেন সরকারি টাকা ফেরত না দিলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। এ ছাড়া দ্রুত পদটি শূন্য করে নতুন শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির ১ নম্বর সদস্য রফিকুল ইসলাম লাবু পদত্যাগ করেছেন। কারণ হিসেবে লাবু পদত্যাগপত্রে কমিটির নেতাদের শৃঙ্খলাবর্জিত কর্মকাণ্ড, সমন্বয়হীনতা, অবাঞ্ছিত কার্যক্রম ও ব্যাপক অনিয়মের কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি এক খোলা চিঠিতে উপজেলা নেতাদের বিরুদ্ধে
৩ মিনিট আগেহাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে বগুড়ার কুন্দারহাটে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা। আজ সোমবার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার সামনে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেনকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সেগুলো ভেঙে সঠিক জায়গায় নেওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম। আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ডিআরইউ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সমস্যার..
১৩ মিনিট আগেবগুড়ার শেরপুরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁর অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর শামছুল উলুম বালিকা দাখিল মাদ্রাসায়।
১৯ মিনিট আগে