আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠুর কাছ থেকে জোরপূর্বক দায়িত্ব হস্তান্তরপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক ফিরোজ খান তাপসের বিরুদ্ধে। ওই চিঠিতে উল্লেখ আছে, ‘চেয়ারম্যান অসুস্থতার কারণে ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফিরোজ খানকে (তাপস) ১৯ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার জেলার আমতলী উপজেলা পরিষদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফিরোজ খান তাপস গত ১৬ জুন থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে অফিসে যেতে দেয়নি। আজ দুপুরে আমি শ্যামলের চায়ের দোকানে বসা ছিলাম। ওই সময় তাপস খানসহ যুবদল নেতা-কর্মী এসে আমাকে তার লেখা একটি পত্রে স্বাক্ষর দিতে বলে। আমি স্বাক্ষর দিতে চাইনি। পরে হুমকি দেয় “হয় স্বাক্ষর দেন, নইলে থানায় চলেন”। আমি নিরুপায় হয়ে স্বাক্ষর দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই পত্রে কী লেখা আছে, তা আমি জানি না। আমাকে চিঠি পড়তেও দেওয়া হয়নি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা গত বছরের ২১ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৬ জুন চেয়ারম্যানকে পরিষদে যেতে নিষেধ করেন ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস। অফিসে এলে তাঁকে মারধর ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। ভয়ে তিন দিন ধরে অফিস যাওয়া বন্ধ রেখেছেন চেয়ারম্যান।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু উপজেলা পরিষদ সড়কের সামনে শ্যামলের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এই সময় ফিরোজ খান তাপস, ইউপি সদস্য মাসুদ, জসিমসহ যুবদলের নেতা-কর্মী নিয়ে চেয়ারম্যানকে চায়ের দোকানে আটকে রাখেন এবং তাঁকে চিঠিতে স্বাক্ষর দিতে বলেন। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর দিতে রাজি না হলে তাপস বলেন, ‘হয় স্বাক্ষর দেন, নইলে থানায় চলেন।’ পরে তাপসের লেখা একটি পত্রে জোরপূর্বক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর রেখে দেন। স্বাক্ষরের পর তাঁরা চেয়ারম্যানকে অন্যত্র সরে যেতে বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু চায়ের দোকানে বসা ছিলেন। ওই সময় আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক তাপন খান আরও কিছু লোক নিয়ে এসে চেয়ারম্যানকে একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর দিতে রাজি ছিলেন না। পরে নিরুপায় হয়ে চিঠিতে স্বাক্ষর দিয়ে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জানতে চাইলে চা দোকানদার শ্যামল বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার দোকানে বসা ছিল। পরে তাপন খানসহ কয়েকজন লোক এসে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপর কী হয়েছে আমি জানি না? এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
তবে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান অসুস্থতার কারণে আমাকে ১৯ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন।’
চেয়ারম্যান কেন আপনাকে চায়ের দোকানে বসে দায়িত্ব দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ফিরোজ খান তাপস বলেন, ‘তা আমি বলতে পারব না। চেয়ারম্যানকে আপনি তিন দিন অফিসে আসতে দেননি, বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন—এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সংযোগ কেটে দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক মো. কবির ফকির বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। ফিরোজ খান তাপস আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক। তিনি দলের নাম ভাঙিয়ে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (তাপস) সংগঠনবিরোধী কোনো কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকলে জেলা যুবদল আহ্বায়কের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘ফিরোজ খানকে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কি না, তা আমি জানি না। আমি এমন কোনো চিঠি পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যানের মিঠু কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’
বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠুর কাছ থেকে জোরপূর্বক দায়িত্ব হস্তান্তরপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক ফিরোজ খান তাপসের বিরুদ্ধে। ওই চিঠিতে উল্লেখ আছে, ‘চেয়ারম্যান অসুস্থতার কারণে ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফিরোজ খানকে (তাপস) ১৯ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার জেলার আমতলী উপজেলা পরিষদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফিরোজ খান তাপস গত ১৬ জুন থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আমাকে অফিসে যেতে দেয়নি। আজ দুপুরে আমি শ্যামলের চায়ের দোকানে বসা ছিলাম। ওই সময় তাপস খানসহ যুবদল নেতা-কর্মী এসে আমাকে তার লেখা একটি পত্রে স্বাক্ষর দিতে বলে। আমি স্বাক্ষর দিতে চাইনি। পরে হুমকি দেয় “হয় স্বাক্ষর দেন, নইলে থানায় চলেন”। আমি নিরুপায় হয়ে স্বাক্ষর দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই পত্রে কী লেখা আছে, তা আমি জানি না। আমাকে চিঠি পড়তেও দেওয়া হয়নি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা গত বছরের ২১ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৬ জুন চেয়ারম্যানকে পরিষদে যেতে নিষেধ করেন ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস। অফিসে এলে তাঁকে মারধর ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। ভয়ে তিন দিন ধরে অফিস যাওয়া বন্ধ রেখেছেন চেয়ারম্যান।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু উপজেলা পরিষদ সড়কের সামনে শ্যামলের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এই সময় ফিরোজ খান তাপস, ইউপি সদস্য মাসুদ, জসিমসহ যুবদলের নেতা-কর্মী নিয়ে চেয়ারম্যানকে চায়ের দোকানে আটকে রাখেন এবং তাঁকে চিঠিতে স্বাক্ষর দিতে বলেন। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর দিতে রাজি না হলে তাপস বলেন, ‘হয় স্বাক্ষর দেন, নইলে থানায় চলেন।’ পরে তাপসের লেখা একটি পত্রে জোরপূর্বক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর রেখে দেন। স্বাক্ষরের পর তাঁরা চেয়ারম্যানকে অন্যত্র সরে যেতে বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু চায়ের দোকানে বসা ছিলেন। ওই সময় আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক তাপন খান আরও কিছু লোক নিয়ে এসে চেয়ারম্যানকে একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর দিতে রাজি ছিলেন না। পরে নিরুপায় হয়ে চিঠিতে স্বাক্ষর দিয়ে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জানতে চাইলে চা দোকানদার শ্যামল বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার দোকানে বসা ছিল। পরে তাপন খানসহ কয়েকজন লোক এসে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপর কী হয়েছে আমি জানি না? এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
তবে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান অসুস্থতার কারণে আমাকে ১৯ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন।’
চেয়ারম্যান কেন আপনাকে চায়ের দোকানে বসে দায়িত্ব দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ফিরোজ খান তাপস বলেন, ‘তা আমি বলতে পারব না। চেয়ারম্যানকে আপনি তিন দিন অফিসে আসতে দেননি, বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন—এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সংযোগ কেটে দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক মো. কবির ফকির বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। ফিরোজ খান তাপস আমতলী সদর ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক। তিনি দলের নাম ভাঙিয়ে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (তাপস) সংগঠনবিরোধী কোনো কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকলে জেলা যুবদল আহ্বায়কের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘ফিরোজ খানকে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কি না, তা আমি জানি না। আমি এমন কোনো চিঠি পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যানের মিঠু কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) নুসরাত সুলতানা এবং একাধিক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (এডিসি) সামনে স্থানীয় সাংবাদিক ও আজকের পত্রিকার কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে মারতে তেড়ে আসেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নওশেল আহমেদ অনি (৩৫) জামিনে বেরিয়ে কারা ফটকে আবার আটক হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে এক দর্শনার্থীর ওপর হামলা ও তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর আমলি আদালতে এই মামলার আবেদন করেন শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা শাহনেওয়াজের স্ত্রী ছাবরিনা...
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারি আট দপ্তরের কার্যক্রম চলছে একটি তিনতলা পুরোনো ভবনে। কিন্তু ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোটবড় পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। দেয়াল ও বিম ফেটে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পড়ে পানি। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই আতঙ্ক নিয়েই অফিস করছেন
২ ঘণ্টা আগে